ডায়না মন্দির (মিউনিখ)
ডায়ানা মন্দির (জার্মান: Dianatempel) জার্মানির মিউনিখ হোফগার্টেনের অবস্থিত মিউনিখ আবাসনেরর একটি বাগান। এটি রেনেসাঁস যুগের বারোটি পার্শ্বযুক্ত গাজেবো যার আটটি উন্মুক্ত এবং চারটি বৃত্তাকার বন্ধ আর্কেড (তোরণ) রয়েছে। এটি হোফগার্টেনের প্রধান এবং তির্যক অক্ষগুলির সংযোগস্থলে অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাডায়ানা মন্দিরটি প্রথম ম্যাক্সিমিলান, বাভারিয়ার নির্বাচকের আমলে হোফগার্টেনের পাশাপাশি ইতালিয় শৈলীতে ১৬১৩ - ১৬১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি বাগানের কেন্দ্রে সম্ভবত ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে হাইনরিখ শন কর্তৃক নির্মিত হয়।[১]
এখানে একটি বিখ্যাত ব্রোঞ্জ মুর্তি রয়েছে যা মূলত স্থপতি হবার্ট গেরহার্ডের বাভারিয়া ব্রোঞ্জ মূর্তির অনুকরণ। মূল মূর্তিটি রেসিডেঞ্জমিউজিয়ামে (Residenzmuseum) সংরক্ষিত রয়েছে। এর ছাদের ব্রোঞ্জ চিত্র ১৯৫৪ সালে হান্স ক্রাম্পারের কর্তৃক নির্মিত যা বাভারিয়ার ধনীদের প্রতীক।
মন্দিরের আভ্যন্তরে রয়েছে চারটি প্রাচীরে আবৃত শেল ঝর্ণা।
ব্যবহার
সম্পাদনাহোফগার্টেনের মতো, সাধারণত ডায়ানা মন্দিরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ব্যতিক্রমগুলি বিরল, যেমন যখন এটি চিত্রগ্রহণের জন্য ব্যাকড্রপ হিসাবে ব্যবহৃত হয় (উদাহরণস্বরূপ, দ্য থ্রি মাসকেটিয়ারসের (২০১১)), এবং অডিয়ান্সপ্লাৎজের প্রবেশাধিকার কখনও কখনও প্রধান অনুষ্ঠানগুলোর বন্ধ রাখা হয়।
প্যাভিলিয়নে প্রায়ই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় এবং পথ সঙ্গীতশিল্পীরা উদ্যানে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে থাকে;[২] গ্রীষ্মকালে সন্ধ্যায়, এটি নৃত্যশিল্পীদের (আর্জেন্টাইন ট্যাঙ্গো, সালসা এবং সুইং)[৩] জন্য একটি বেসরকারি এবং অনানুষ্ঠানিক সমাবেশ স্থান হিসাবে কাজ করে। এসকল অ-বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানগুলো ততক্ষণ চলে যতক্ষণ না বাসিন্দাদের কোনও গোলমাল বা অন্য দর্শক হয়রানির স্বীকার হয়। রবিবার বিকেলে কখনও কখনও মানুষ নৃত্যশিল্পীদের দেখতে ভিড় জমায়।
এসকল ব্যবহারের জন্য, রাজ্য মালিকানাধীন প্রাসাদ, উদ্যান এবং হ্রদের সাথে চুক্তি করতে হয় যা পথ সঙ্গীতশিল্পীদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি প্রদান করে তাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Baudenkmäler" (পিডিএফ) (জার্মান ভাষায়)। Bayerisches Landesamt für Denkmalpflege। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Cellist im Hofgarten im Dianatempel in München" (German ভাষায়)। YouTube। ৫ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Dianatempel" (German ভাষায়)। Süddeutsche Zeitung। ৩ জুলাই ২০০৮। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।