ডন’স প্লাম (২০০১-এর চলচ্চিত্র)

ডন'স প্লাম ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্বল্প বাজেটের সাদাকালো ইন্ডি চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন আর. ডি. রব এবং এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, কেভিন কনোলি, স্কট ব্লুম, জেনি লুইস, টোবি ম্যাগুইর[১] চলচ্চিত্রটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন বিটনি অস্টন, টড বেকম্যান, আর. ডি. রব, ডেভিড স্টুটম্যান, ডেল হুইটলি এবং এটি ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে ধারণ করা হয়। এক রাতের দৃশ্যে শেষ হওয়া এই চলচ্চিত্রে রাতে খাবার টেবিলে বসে কয়েকজন যুবকের জীবন নিয়ে আলোচনা দেখানো হয়েছে।

ডন'স প্লাম
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকআর. ডি. রব
প্রযোজকডেভিড স্টুটম্যান
ডেল হুইটলি
রচয়িতাবিটনি অস্টন
টড বেকম্যান
আর. ডি. রব
ডেভিড স্টুটম্যান
ডেল হুইটলি
শ্রেষ্ঠাংশেস্কট ব্লুম
কেভিন কনোলি
টোবি ম্যাগুইর
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
জেনি লুইস
অ্যাম্বার বেনস্টন
সুরকারব্লেক সিনেট
চিত্রগ্রাহকস্টিভ অ্যাডকক
ব্রায়ান বেলামি
সম্পাদকপাল হেইম্যান
নাবিল মেহচি
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকপোলো পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট
মুক্তিবার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
১০ ফেব্রুয়ারি ২০০১ (2001-02-10)
ডেনমার্ক
২৪ আগস্ট ২০০১
স্থিতিকাল৮৯ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ডেনমার্ক
সুইডেন
ভাষাইংরেজি
আয়€৬,২৯৭

ডিক্যাপ্রিও ও ম্যাগুইরকে প্রতি দিনের জন্য $৫৭৫ করে দেওয়া হয়। তার পরবর্তীতে চেয়েছিল এই ছবিটা যেন মুক্তি না পায়। ছবিটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দেখানো বন্ধ রয়েছে।[২]

রিলো কিলের ব্ল্যাক সিনেট এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীতায়োজন করেছেন। এছাড়া তার ব্যান্ডমেট জেনি লুইসও এই চলচ্চিত্রে সারা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

অভিনয়শিল্পী সম্পাদনা

  • স্কট ব্লুম - ব্র্যাড
  • কেভিন কনোলি - জেরেমি
  • টোবি ম্যাগুইর - ইয়ান
  • লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও - ডেরেক
  • জেনি লুইস - সারা
  • মিডো সিস্টো - জুলিয়েট
  • মারিসা রিবিসি - ট্রেসি
  • অ্যাম্বার বেনসন - অ্যামি
  • আন্দ্রে বেরিম্যান - ব্যান্ডদলের সদস্য
  • জন ব্রোকস - ব্যান্ডদলের সদস্য
  • জেরেমি সিস্টো - বারনার্ড
  • জেফ্রি কনর - ব্যান্ডদলের সদস্য
  • টোলেডো ডায়মন্ড - এসিড জাজ শিল্পী
  • ওয়াল্টার ডেভিস - ব্যান্ডদলের সদস্য
  • পলা ভার্সি - একক শিল্পী

আইনি ঝামেলা সম্পাদনা

১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল প্রযোজক ডেভিড স্টুটম্যান লস অ্যাঞ্জেলেস কোর্টে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও টোবি ম্যাগুইরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং B C1894C0। পরে ডিক্যাপ্রিও, ম্যাগুইর, স্টুটম্যান, হুইটলি, এবং জেরি মিডরসের মধ্যে মীমাংসা হয় যে ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরে মুক্তি দিতে হবে।[২]

মূল্যায়ন সম্পাদনা

চলচ্চিত্রটি ২০০১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। টাইম আউট নিউ ইয়র্ক-এর লেখক মাইক ডি'অ্যাঞ্জেলো এটিকে বার্লিনে তার দেখা শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন[৩] ভ্যারাইটি ম্যাগাজিন এটিকে নিরস ও বিরক্তিকর বলে উল্লেখ করেছে।[৪]

অবাধ স্ট্রিমিং সম্পাদনা

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডেল হুইটলি ডন'স প্লামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ডিক্যাপ্রিওর উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠি প্রকাশ করে এবং চলচ্চিত্রটি ওয়েবসাইটে আপলোড করে যাতে দর্শক অবাধে তা দেখতে পারে।[১] ডিক্যাপ্রিও ও ম্যাগুইর আইনভঙ্গের অভিযোগ করলে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়।[৫] হুইটলি ফক্স নিউজকে এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন যে ২০১৬ সালে এসেও একজন জনপ্রিয় মার্কিন তারকার এমন আচরণ তাকে কষ্ট দেয়।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Lyne, Charlie (২০১৬-০১-০২)। "Don's Plum: the film Leonardo DiCaprio would rather forget"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "Producer: DiCaprio Capsized My Film"The Smoking Gun। ১৯৯৮-০৬-২২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. "Berlin 2011"Panix। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. Cockrell, Eddie (২০০১-০২-১২)। "Review: 'Don's Plum'"ভ্যারাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. "Video unavailable"Vimeo। ২০১৬-০১-২৭। ২০১৪-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  6. Falzone, Diana (২০১৬-০১-২৮)। "Leonardo DiCaprio, Tobey Maguire have film 'Don's Plum' removed from streaming site"Fox News। ২০১৬-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা