ঠাকুরনগরের মেলা
ঠাকুরনগরের মেলা বা ঠাকুরনগর মতুয়াধর্ম মহামেলা হল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিখ্যাত মেলা। মেলাটি প্রতিবছর চৈত্র মাসের প্রথম বা মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এবং মেলা সাত দিন ধরে চলে। মেলাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ছত্তিসগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা-সহ দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই মতুয়া ভক্তেরা ঠাকুরবাড়ি আসেন। বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকেও আসেন অনেক ভক্ত। ‘কামনা সাগর’-এ ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান সারতে চান সকলে। প্রতি বছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্ণত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে ওই মেলা শুরু হয় মধু কৃষ্ণএয়োদশীতে পুন্যস্নানের পুণ্যতিথি ভক্তরা কামনা সাগরে ডুব দেয কারন তারা মনে করেন যে এই তিথিতে তারা স্নান করলে নাকি মনের কামনা পূরন হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা
১৮৯৭ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে ওই মেলার সূচনা হয়। ভারতের স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ঠাকুরনগরে মেলার সূচনা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরই চৈত্র মাসে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।[১] তবে করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে মেলাটি স্থগিত করা হয় এবং ২০২১ সালে পুনরায় মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।[২][৩]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "এলাকার ঘরে ঘরেও ঢালাও খাওয়া-দাওয়া"।
- ↑ "করোনা আশঙ্কায় মতুয়া মেলা বন্ধ করল মহাসঙ্ঘ, আগ্রহীরা চাইলে মেলা করতে পারেন, জানালেন শান্তনু ঠাকুরপন্থীরা"। bengali.abplive.com। ১৭ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২১।
- ↑ "ঠাকুরনগরের বারুণীর মেলা হচ্ছে না, করোনার জেরে সিদ্ধান্ত মতুয়া মহাসংঘের"। bengali.news18.com। ১৭ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২১।