ট্রেভর মিল
ট্রেভর মিল (ইংরেজি: Trevor Meale; জন্ম: ১১ নভেম্বর, ১৯২৮ - মৃত্যু: ২১ মে, ২০১০) অকল্যান্ডের পাপাতোতো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ট্রেভর মিল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পাপাতোতো, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ১১ নভেম্বর ১৯২৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২১ মে ২০১০ অরিউয়া, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৮১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮২) | ৫ জুন ১৯৫৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ আগস্ট ১৯৫৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা
১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ট্রেভর মিলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ও বামহাতে সীমিত দক্ষতার অধিকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন ট্রেভর মিল। সহজাত যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে অপরিসীম ধৈর্য্যগুণ তার মাঝে লক্ষ্য করা যায়। ওয়েলিংটনের পক্ষে তিনটি সাধারণমানের খেলা উপহার দেয়ার পর ইংল্যান্ডে ভাগ্যের সন্ধানে বের হন। সেখানে তিনি ইলিং দলের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেন। এছাড়াও, কেন্টের পক্ষে অংশগ্রহণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালান।
বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ট্রেভর মিল। ১৯৫০-এর দশকের শুরুতে প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ওয়েলিংটনের পক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। তবে, তার সেঞ্চুরিগুলো কেবলমাত্র সফররত দলসমূহের বিপক্ষেই এসেছিল। ১৯৫১-৫২ মৌসুমের অভিষেক পর্যায়ে ওয়েলিংটনের সদস্যরূপে অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে দলকে পরাজয় থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে, প্রায় চার বছরের ব্যবধানে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে ফিজি দলের বিপক্ষে শেষ ইনিংসে ১৩০ রান তুলেন। এ সংগ্রহটিই পরবর্তীকালে সর্বোচ্চ রান হিসেবে রয়ে যায়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের পথে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করলেও সফলকাম হননি।[১]
চার বছর পূর্বে একটি খেলায় অংশ নেয়ার পর নিউজিল্যান্ডে তিনি যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় পুনরায় অংশ নেন। এ খেলার মাধ্যমে ১৯৫৮ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যদের মনোনীত করা হয়। ৪৮ রান তুলে এ সফরে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করেন।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ট্রেভর মিল। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৫ জুন, ১৯৫৮ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২১ আগস্ট, ১৯৫৮ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
পুরো দলের সাথে তাকেও ঐ গ্রীষ্মে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এ দলটি ইংল্যান্ড গমনে অন্যতম বাজে দল হিসেবে পরিচিতি পায়। দুই টেস্টে অংশ নিয়ে ৫.২৫ গড়ে ২১ রান তুলেন। অত্যন্ত গরমের ইংরেজ গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ড তাদের বিপর্যয়কর সফরে যুক্ত হয়। তিনি তেমন সফলতা পাননি। পাঁচ শতাধিক রান মাত্র ২১ গড়ে সংগ্রহ করেন। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৮৯ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন[১] এছাড়াও, সমারসেটের বিপক্ষে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার ফলে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাকে রাখা হয়। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে এক চার ও এক ছক্কা সহযোগে ১০ রান তুলতে সক্ষম হন। পরবর্তী তিন টেস্টে তাকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত ওভালের চূড়ান্ত টেস্টে তাকে দলে রাখা হয়। তিনি মাত্র ১ ও ৩ রান তুলেন।
অবসর সম্পাদনা
ইংল্যান্ড সফর শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। হক কাপে হাট ভ্যালি’র পক্ষে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন ট্রেভর মিল।[২] ২১ মে, ২০১০ তারিখে ৮১ বছর বয়সে অকল্যান্ডের অরিউয়া এলাকায় ট্রেভর মিলের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
আরও দেখুন সম্পাদনা
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ট্রেভর মিল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ট্রেভর মিল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)