ট্রু গ্রিট (২০১০-এর চলচ্চিত্র)
ট্রু গ্রিট ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জুয়েল ও ইথান কয়েন এবং ছবিটি ১৯৬৮ সালের চার্লস পোর্টিস এর একই নামে উপন্যাস থেকে তৈরি দ্বিতীয় চলচ্চিত্র।
ট্রু গ্রিট | |
---|---|
পরিচালক | জুয়েল ও ইথান কয়েন |
প্রযোজক | জুয়েল কয়েন ইথান কয়েন স্কট রাডিন মেগান এলিসন |
চিত্রনাট্যকার | জুয়েল কয়েন ইথান কয়েন |
উৎস | চার্লস পোর্টিস কর্তৃক ট্রু গ্রিট |
শ্রেষ্ঠাংশে | জেফ ব্রিজেস ম্যাট ডামোন জশ ব্রোলিন হেইলি স্টিনফেল্ড |
বর্ণনাকারী | এলিজাবেথ মার্বেল |
সুরকার | কার্টার বারোয়েল |
চিত্রগ্রাহক | রজার ডিকিন্স |
সম্পাদক | রোডরিক জেনিস |
প্রযোজনা কোম্পানি | স্কাইডেন্স প্রোডাকসন্স এমব্লিন্ এন্টারটেইনমেন্ট মাইক জোশ প্রোডাকসন্স স্কট রাডিন প্রোডাকসন্স |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১১ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৩৮ মিলিয়ন |
আয় | $২৫১,১২৩,৭৯১[১] |
ট্রু গ্রিটের চলচ্চিত্রায়ন শুরু হয় ২০১০ সালের মার্চে ও ২২ ডিসেম্বর, ২০১০ সালে অফিসিয়ালি এটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়।[২] ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্রটি ৬১তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[৩] ছবিটি দশটি একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ঃ শ্রেষ্ঠ ছবি, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিযোজিত চিত্রনাট্যের, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, সহযোগী চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার, সেরা কস্টিউম ডিজাইন, মিক্সিং সেরা সাউন্ড ও সেরা সাউন্ড সম্পাদনা। ছবিটি ব্লুরে ও ডিভিডিতে ৭ জুন, ২০১১ সালে মুক্তি পায়।
কাহিনী
সম্পাদনা১৪ বছরের ম্যাটি রসের বাবাকে টম চেনি নামে এক ডাকাত গুলি করে হত্যা করে ও তার ঘোড়া নিয়ে পালিয়ে যায়। ম্যাটি রস ইয়েল কাউন্টি থেকে তার বাবার লাশ দাফন করতে ও তার বাবার খুনিকে আইনের হাতে তুলে দিতে যে শহরে তার বাবা খুন হন সে শহরে চলে আসে।ম্যাটি প্রথমে তার বাবার খুনিকে ধরার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা শেরিফের কাছে জানতে চায় ও সে আরো জানতে চায় সবচেয়ে ভালো মার্শাল কে? যাকে ভাড়া করলে তার বাবার হত্যাকারীকে ধরে দিতে পারবে। শেরিফ কগবার্ন নামে এক মার্শালের খবর জানায়।
ম্যাটি তার বাবা যার কাছে কাজ করত তার কাছ থেকে ৩২০ ডলার নিয়ে ১০০ ডলার দিয়ে কগবার্নকে ভাড়া করে তার বাবার খুনিকে ধরার জন্য। লাবোইফ নামে আরেক বাউন্টি হান্টারের (যে টাকার লোভে মানুষ খুন করে) সাথে তাদের পরিচয় হয়। লাবোইফ জানায় এক সেনেটরকে খুন করার জন্য টম চেনির নামে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে তাকে মারতে যাচ্ছে। তাদের তিনজনের উদ্দেশ্য একই হওয়াতে তারা একসাথে যাত্রা করে। পথে লাবোইফ ও কগবার্ন এর সাথে বাগবিতন্ডা হয় ও তারা আলাদা হয়ে যায়। এরপর তারা আবার একত্র হয়।
যাত্রাপথে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ম্যাটি নদীতে পানি আনতে গেলে সে নদীর অপর পাশে টমকে দেখতে পায় এবং তাকে গুলি করে। কিন্তু অহত অবস্থাতেও টম ম্যাটিকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর লাবোইফ ম্যাটিকে উদ্ধার করে। তারপর লাবোইফ ও কগবার্ন সিলে টম চেনি ও তার দলকে হত্যা করে। ফেরার সময় ম্যাটি একটি কূপে পড়ে যায় এবং কগবার্ন ও লাবোইফ মিলে তাকে সেখান থেকে টেনে তুলে কিন্তু ম্যাটিকে সাপ দংশন করে। তখন কগবার্ন ম্যাটিকে নিয়ে এক বাড়িতে উপস্থিত হয়।বড় হয়ে ম্যাটি একদিন ম্যাটি কগবার্নকে খুজতে যায় এবং শুনতে পায় কগবার্ন দুইদিন আগেই মারা গেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "True Grit"। Boxoffice Mojo। ৭ মে ২০১১।
- ↑ Washington, DC, Film Society website.
- ↑ "Coen Brothers' True Grit to Open the 61st Berlinale"। berlinale.de। ২০১০-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- True Grit at the Internet Movie Database
- True Grit at Metacritic
- True Grit at Rotten Tomatoes
- বক্স অফিস মোজোতে ট্রু গ্রিট (ইংরেজি)
- Roger Ebert Review ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১৩ তারিখে