টোবা টেক সিং

সাদাত হোসেন মান্টো'র ছোটগল্প

টোবা টেক সিং (উর্দু: ٹوبہ ٹیک سنگھ‎‎‎) হল উর্দু সাহিত্যিক সাদত হাসান মান্টোর একটি বহু আলোচিত ও বিখ্যাত ছোটগল্প। ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত এই গল্পটি ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা। দেশভাগের ঘটনা ও রাষ্ট্রের মানবতাবিরোধী নীতিকে তীব্র ব্যাঙ্গ ও শ্লেষাত্মক আক্রমনে বিঁধে এটি লিখেছেন লেখক মান্টো।[]

কাহিনী

সম্পাদনা

ভারত, পাকিস্তান স্বাধীনতা ও দেশভাগের দুই তিন বছর পরে দুই দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় পাগলদেরও ভাগাভাগি হবে। অর্থাৎ হিন্দু পাগলদের ভারত এবং মুসলিম পাগলদের পাকিস্তানে পাঠানো হবে। লাহোরের মানসিক হাসপাতালে থাকা একজন পাগল বিষান সিং বাকি সহবন্দীদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। যেহেতু সে একজন হিন্দু তাই ভারতে চলে যাওয়ার হুকুম হয়। কিন্তু তার বাড়ি পাকিস্তানের টোবা টেক সিং এ। সে শুধুমাত্র টোবা টেক সিং নামক গ্রামটিতেই যেতে চায়। রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের নীতি যদিও তা অনুমোদন করেনা। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় দুই দেশের সীমানায়, কাঁটাতারের দুপাশে দুই পা রেখে বিষান সিং মারা যায়। মৃত্যুর আগে সেই জায়গাটাই বিষান সিং এর কাছে হয়ে যায় টোবা টেক সিং।[]

অন্যান্য মাধ্যম

সম্পাদনা

পাকিস্তানের চলচ্চিত্রকার আফিয়া নাথানিয়েল এই ছোটগল্পটির চলচ্চিত্রায়ন করেন ২০০৫ সালে। ভারতের পরিচালক কেতন মেহতা টোবা টেক সিং নামে অপর একটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন যেটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "about the story"columbia.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  2. "সাদত হাসান মান্টো ও দাঙ্গার ইতিহাস"। ১২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Filmmaker Ketan Mehta: Society is more violent and polarised now"timesofindia.indiatimes.com। ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)