টিম ও’ব্রায়ান
স্যার টিমোথি কারিও ও’ব্রায়ান, ৩য় ব্যারোনেট (ইংরেজি: Tim O'Brien; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৮৬১ - মৃত্যু: ৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮) আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৪ থেকে ১৮৯৬ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে বোলিং করতেন টিম ও’ব্রায়ান।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টিমোথি কারিও ও’ব্রায়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড | ৫ নভেম্বর ১৮৬১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮ র্যামসে, আইল অব ম্যান | (বয়স ৮৭)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ১০ জুলাই ১৮৮৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ মার্চ ১৮৯৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯০২–১৯০৭ | আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৮১–১৮৯৮ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৮৪–১৮৮৫ | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ |
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাআয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে টিম ও’ব্রায়ানের জন্ম। সমারসেটের ডাউনসাইডের ক্যাথলিক স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন।[১] এরপর অক্সফোর্ডের নিউ ইন হলে ভর্তি হন। এরফলে ক্রিকেট খেলার সাথে আরও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠে তার।[১]
মারকুটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম ও’ব্রায়ানের সুনাম ছিল। ১৮৮৪ ও ১৮৮৫ সালে ব্লু লাভ করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ২৬৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। ১৮৮৪ সালে অক্সফোর্ডের সদস্যরূপে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে খেলে ৯২ রান সংগ্রহ করেন। এরফলে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় দলটি একমাত্র জয় পায়।
কাউন্টি ক্রিকেটে বিধ্বংসী ইনিংস খেলার জন্য সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন টিম ও’ব্রায়ান। ১৮৯৫ সালে সাসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০২ রানের ইনিংস খেলেন। এ পর্যায়ে রবার্ট স্ল্যাড লুকাসের সাথে জুটি গড়ে মাত্র ২০০ মিনিটে ৩৩৮ রান তুলেছিলেন।[২]
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ১০ জুলাই, ১৮৮৪ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে টিম ও’ব্রায়ানের। ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের মুখোমুখি হন। চারবছর পর পুনরায় লর্ডসে খেলেন। তবে উভয়ক্ষেত্রেই নিজের নামের প্রতি মর্যাদা রাখতে পারেননি তিনি।
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরূপে দুইবার বিদেশ সফরে যান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে জর্জ ভার্ননের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এবং ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে মার্টিন হকের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। তন্মধ্যে, ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ খেলায় জর্জ লোহম্যানের ৭/৩৮ ও ৮/৭ বোলিং পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড দল বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।[৩]
আয়ারল্যান্ডের অধিনায়কসহ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন টিম ও’ব্রায়ান। সংক্ষিপ্ত সময়ের ইংল্যান্ড সফরে নিজ জন্মদিনে প্রাক্তন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে রেকর্ড গড়েন। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তার এ রেকর্ড টিকেছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাদ্বিতীয় ব্যারন স্যার হামফ্রে ডি ট্রাফোর্ডের কন্যা অ্যানেট টেরেসা ডি ট্রাফোর্ডের সাথে ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ তারিখে বার্টন-আপোন-ইরওয়েলের অল সেইন্টস চার্চে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ দম্পতির ১০ সন্তান ছিল। তন্মধ্যে, টিমোথি জুনিয়র প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্ল্যান্ডার্সে নিহত হন। অপর কন্যা সিসেল ও’ব্রায়ান সুপরিচিত পাইলট হিসেবে পথিকৃৎ হয়ে আছেন।
৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে আইল অব ম্যানের র্যামসে এলাকায় ৮৭ বছর বয়সে টিমও’ব্রায়ানের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্ববয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত ক্রিকেটার ছিলেন। অপর ভ্রাতা জন আয়ারল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Wisden 1949, pp. 867–68.
- ↑ "Sussex v Middlesex 1895"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "1st Test, England tour of South Africa at Port Elizabeth, Feb 13-14 1896"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টিম ও’ব্রায়ান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টিম ও’ব্রায়ান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- "O'Brien, Sir Timothy Carew"। Who Was Who 1920–2008। Oxford University Press। ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০০৯।
Baronetage of the United Kingdom | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী প্যাট্রিক ও’ব্রায়ান |
ব্যারোনেট মেরিওন স্কয়ার ও বরিস-ইন-অসরি ১৮৯৫–১৯৪৮ |
উত্তরসূরী রবার্ট ও’ব্রায়ান |