টাকি, উত্তর চব্বিশ পরগনা
টাকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর ও প্রাচীন পৌরসভা এলাকা।
টাকি | |
---|---|
শহর | |
Taki | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′ উত্তর ৮৮°৫৫′ পূর্ব / ২২.৫৯° উত্তর ৮৮.৯২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | উত্তর চব্বিশ পরগনা |
উচ্চতা | ৫ মিটার (১৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৩৭,৩০২ |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৬৯ সালে টাকি পুরসভার প্রতিষ্ঠা হয়। ওই সময়ে টাকির বেশির ভাগ জায়গা ছিল জঙ্গলে ভরা। রাজা প্রতাপাদিত্যের বংশধর কৃষ্ণদাস রায়চৌধুরী টাকিতে বসতি স্থাপন করেন। বর্তমান ইছামতি নদীর সে সময়ে নাম ছিল যমুনা-ইছামতী। কৃষ্ণদাসের চেষ্টায় টাকি সম্ভ্রান্ত এবং ব্রাহ্মণ পরিবারের বাসভূমিতে পরিণত হয়। নন্দদুলালের বিগ্রহ স্থাপনের জন্য টাকিতে জালালপুর গ্রামের বেশ নামডাক ছিল। রাজা মানসিংহ প্রতাপাদিত্যের সাম্রাজ্যে আক্রমণ শানানোর জন্য টাকিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দু’পক্ষের লড়াই হয় বসিরহাটের সংগ্রামপুরে। প্রতাপাদিত্যের সৈন্যদলকে তাড়া করে মানসিংহের বাহিনী। টাকি শ্মশানের পাশ দিয়ে ইছামতী পার হয়ে রক্ষা পায় প্রতাপাদিত্যের দলবল। সেই ইতিহাসকে মনে রেখেই শ্মশান-সংলগ্ন রাস্তার নাম পরে রাখা হয় মানসিংহ রোড। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে টাকি কুলেশ্বরী কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা হয়।
টাকির কাছেই ইছামতী নদীর তীরে সোলাদানার বাগুন্ডিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লবণ ব্যবসার কেন্দ্র স্থাপন করে। যেটি বর্তমানে বসিরহাট হিসেবে খ্যাত।
রাজা রামমোহন রায়ের পরামর্শে এবং খ্রিস্টান মিশনারি আলেকজান্ডার ডাফের পরিচালনায় জমিদার কালীনাথ ১৮৩২ সালের ১৪ জুন টাকিতে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্থাপন করেন। তার চেষ্টায় টাকিতে শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটে। ১৮৫১ সালে টাকি সরকারী স্কুল ও ১৮৬২ সালে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন হয়।[১]
ভৌগোলিক উপাত্ত
সম্পাদনাশহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৩৫′ উত্তর ৮৮°৫৫′ পূর্ব / ২২.৫৯° উত্তর ৮৮.৯২° পূর্ব ।[২] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫ মিটার (১৬ ফুট)।
Gallery
সম্পাদনা-
Ichamati
-
Ichhamati
-
Kali Puja
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে টাকি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৭,৩০২ জন।[৩] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩%, এবং নারী ৪৭%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে টাকি শহরের সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ নির্মল বসু (৭ আগস্ট ২০১৪)। "টাকি পুরসভার ভাড়া বাড়ি সারাতে খরচ হয় ৭০ টাকা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Taki"। Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।
- ↑ "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।