ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[২] মূলত কিছু সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীদের দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় ১৮৭২ সালে মহারাজঞ্জ নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৩ সালে ব্রিটিশ সরকার এ বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ও তখন থেকে নাম হয় "ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়"। বর্তমানে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতী ও দিবা দুটি শাখায় তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
![]() | |
ঠিকানা | |
![]() | |
৮৪০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৮′২৫″ উত্তর ৯০°১২′১০″ পূর্ব / ২২.৬৪০২৮° উত্তর ৯০.২০২৭৮° পূর্ব |
তথ্য | |
প্রাক্তন নাম | মহারাজগঞ্জ |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৩ মার্চ ১৯০৯ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল |
বিভাগ | ৩য় থেকে ১০ম |
ইআইআইএন | ১০১৬৩৩ |
প্রধান শিক্ষিকা | মারুফা বেগম |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৪৯ জন[১] |
লিঙ্গ | বালক বিদ্যালয় |
ভর্তি | ১৫২৭+ [১] |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
রঙ | |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল, চাকতি নিক্ষেপ, ১০০ মিটার দৌঁড়, ৪০০ মিটার দৌঁড়, দাবা, ভলিবল,হাডুডু |
ডাকনাম | JGHS |
ইতিহাসসম্পাদনা
কিছু সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীদের দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় ১৮৭২ সালে মহারাজঞ্জ নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার শাসনকালে শিক্ষাগত বিকাশের জন্য ১৯০৯ সালের ৩রা মার্চ স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে সুগন্ধার তীরে ১৯০৯ সালে এটিই প্রথম সরকারি বিদ্যালয় যা ইন্দো-ব্রিটিশ আমলে থানা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। "H" আকৃতির টিনশেড ভবনটি লোহায় কেট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল (বর্তমানে বিদ্যালয়ের মূল ভবনটিও কিছুটা "H" আকৃতির)। যুগে যুগে সুগন্ধার নদীভাঙনে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণটি ভেসে যায়। আধুনিক পরিকল্পনা অনুসারে সালে বিদ্যালয় ভবন, খেলার মাঠ, প্রধান শিক্ষকের কোয়ার্টার এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছিল এবং ১৯৭৪ নতুন ভবনে শিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ২০০৮ সালের ৩রা জানুয়ারি বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন করা হয়। শতবর্ষ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের পুরনো গেটটি ভেঙ্গে একটি সূর্যঘড়ি সহকারে পুনর্নির্মাণ করা হয় যা শতবর্ষের প্রতীক হিসেবে রয়েছে।
অবকাঠামোসম্পাদনা
মূল ভবনটি "H" অক্ষরের আকারের মতো যা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের এক পাশে রয়েছে। স্কুলের মূল ভবনটির সামনে একটি বর্গাকার পুকুরের সাথে একটি খেলার মাঠ এবং একটি বড় নারকেল বাগান রয়েছে। ধর্মীয় চর্চার জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের বাইরেই মসজিদ এবং মন্দির রয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট ভবন ৫টি।
শিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
বিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। বিদ্যালয়ে ২ শিফটে মোট ১৫০০ ছাত্র লেখাপড়া করছে। এখানে ৪৯ জন শিক্ষক আছেন ছাত্রদের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, শিল্পকলা বিভাগ, বিএনসিসি, কাব ও স্কাউট কার্যক্রম। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়, বার্ষিক মিলাদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয়। ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৯.২৬% এবং ২০১৯ সালে পাশের হার ৯৪.৯১% এবং ২০১৯ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ১০০%।
শিক্ষার্থীদের পোশাকসম্পাদনা
স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা বা হাফ হাতা দুটোই গ্রহণযোগ্য। এছাড়া শীতকালে লাল রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত। শার্টের পকেটে স্কুলের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাজ থাকা আবশ্যক।
শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমসম্পাদনা
- বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
- ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিতর্ক ক্লাব
- ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ক্রিকেট দল
- ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হকি দল
- বাংলাদেশ স্কাউটস
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বি,এন,সি,সি)
- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট
- বাস্কেটবল
- কাবাডি
- ভলিবল
চিত্রশালাসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "শিক্ষকমণ্ডলী" (XLS)। বরিশাল বোর্ড। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "List of Secondary Schools" (XLS)। Ministry of Education। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭।
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |