ঝরা পালক

কবি জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ
(ঝরাপালক থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ঝরা পালক (// (শুনুন) কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) ভারতের কলকাতা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।[১]

ঝরা পালক
বইয়ের প্রচ্ছদ
বইয়ের প্রচ্ছদ
লেখকজীবনানন্দ দাশ
দেশব্রিটিশ ভারত
ভাষাবাংলা
ধরনআধুনিক বাংলা কবিতা
প্রকাশিত১৯২৭
প্রকাশকশ্রীসুধীরচন্দ্র সরকার
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট)
পৃষ্ঠাসংখ্যা১০১ (প্রথম প্রকাশ)
পরবর্তী বইধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬) 
মূল পাঠ্য
উইকিসংকলনে ঝরা পালক

প্রকাশনা তথ্যাদি সম্পাদনা

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) কলকাতার সিটি কলেজে টিউটরের চাকরি করার সময় জীবনানন্দ দাশ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশ করেন। প্রকাশক হিসেবে লেখা ছিল: শ্রীসুধীরচন্দ্র সরকার, ৯০/২/এ হ্যারিসন রোড, কলিকাতা। গ্রন্থটি ছেপেছিলেন এ. চৌধুরী ফিনিক্স প্রিন্টিং ওয়ার্কস, ২৩ নং কালিদাস সিংহ লেন, কলিকাতা। প্রচ্ছদে পাখির আটিটি পালকের ছবি দেয়া ছিল। ক্রাউন সাইজে পাতার সংখ্যা ছিল ৮ + ৯৩। মূল্য রাখা হয়েছিল এক টাকা। উৎসর্গ পত্রে লেখা ছিল: “উৎসর্গ- কল্যাণীয়াসু”; কারো নাম লেখা ছিল না। তবে পরবর্তীকালে জানা যায় যে জীবনানন্দ দাশ স্বীয় কাকা শ্রীঅতুলানন্দের কন্যা শোভনাকে এই কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন; জীবনানন্দ’র দিনপঞ্জীতে Y অক্ষর দিয়ে শোভনাকেই বোঝানো হয়েছে; শোভনার ঘরোয়া নাম ছিল বেবী (Baby)। অন্যান্য ঘটনাবলী থেকে অনুমান করা হয়েছে যে এই শোভনাই ‘বনলতা সেন’ কবিতার বনলতা সেন। সমসাময়িক কালে কবিতা প্রকাশের ক্ষেত্রে কবি ‘দাশগুপ্ত’ পদবী ব্যবহার করলেও এ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশকালে পদবী হিসেবে গুপ্তবর্জিত কেবল ‘দাশ’ ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৭৩-এ বেঙ্গলি পাবলিশার্স থেকে ‘ঝরাপালক’-এর ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। কবির ভাতুষ্পুত্র শ্রীঅমিতানন্দ দাশ ২০০৫-এ কাব্যগ্রন্থটির একটি সস্করণ করেন যা ’নিউস্ক্রিপ্ট সংস্করণ’ নামে পরিচিত।

সারাংশ সম্পাদনা

ঝরা পালক কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় জীবনানন্দ লিখেছেন:

"ঝরা পালকের কতকগুলি কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাণী, কল্লোল, কালি-কলম, প্রগতি, বিজলি প্রভৃৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিলো। বাকিগুলি নূতন।"

কবিতাসূচী সম্পাদনা

প্রথম কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশ পঁয়ত্রিশটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কবিতাগুলো হলো: ‘আমি কবি সেই কবি, ‘নিলীমা, নব নবীনের লাগি, কিশোরের প্রতি, মরীচিকার পিছে, জীবন-মরণ মুয়ারে আমার, বেদিয়া, নাবিক, বনের চাতক মনের চাতক, সাগর-বলাকা, চলছি উধাও, একদিন খুঁজেছিনু যারে, আলেয়া, অস্তচাঁদে, ছায়া-প্রিয়া, ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল, কবি, সিন্ধু, দেশবন্ধু, বিবেকানন্দ, হিন্দু-মুসলমান, নিখিল আমার ভাই, পতিতা, ডাহুকী, শ্মশান, মিশর, পিরামিড, মরুবালু, চাঁদিনীতে, দক্ষিণা, যে কামনা নিয়ে, স্মৃতি, সেদিন এ ধরণীর, ওগো দরদিয়া, সারাটি রাাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়। এ কবিতাগুলোর বেশ কিছু গ্রন্থর্ভূত হওয়ার আগে প্রবাসী, কল্লোল, কালি-কলম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশের সময় কবি বিরাম মুখোপাধ্যায় ‘ঝরাপালক’ থেকে ‘নীলিমা’, ‘পিরামিড’, ‘সেদিন এ-ধরণীর’ মোট এ তিনটি কবিতা গ্রহণ করেছিলেন। কবিতাগুলোর শিরোনাম হলোঃ[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. দাশ ১৯৯৮, পৃ. ৬১৯।
  2. দাশ ১৯৯৮, পৃ. ১৩।

সূত্র সম্পাদনা

দাশ, জীবনানন্দ (১৯৯৮) [১৯৯৪]। সৈয়দ, আবদুল মান্নান, সম্পাদক। প্রকাশিত–অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: অবসর প্রকাশনা সংস্থাআইএসবিএন 9844460085ওসিএলসি 417202031 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা