জেমি লি কার্টিস (জন্ম ২২ নভেম্বর ১৯৫৮) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা ও সক্রিয়কর্মী। তিনি ১৯৭৮ সালে জন কার্পেন্টারের ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র হ্যালোউইন-এ লরি স্ট্রোড চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি ১৯৮০-এর দশক জুড়ে একাধিক ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে দ্য ফগ, প্রম নাইটটেরর ট্রেন। তিনি তার অভিনীত লরি চরিত্রে হ্যালোউইন চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্বসমূহ, তথা হ্যালোউইন টু (১৯৮১), হ্যালোউইন এইচ২০: টোয়েন্টি ইয়ার্স লেটার (১৯৯৮), হ্যালোউইন: রিসারেকশন (২০০২) ও হ্যালোউইন (২০১৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

জেমি লি কার্টিস
Jamie Lee Curtis
২০১৮ সালে স্যান ডিয়েগো কমিক-কন ইন্টারন্যাশনালে কার্টিস
জন্ম (1958-11-22) ২২ নভেম্বর ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)
পেশা
  • অভিনেত্রী
  • প্রযোজক
  • পরিচালক
  • লেখিকা
  • ব্লগার
  • সক্রিয়কর্মী
কর্মজীবন১৯৭৭-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীক্রিস্টোফার গেস্ট, ৫ম ব্যারন হ্যাডেন-গেস্ট (বি. ১৯৮৪)
সন্তান
পিতা-মাতাটনি কার্টিস
জ্যানেট লেই
আত্মীয়কেলি কার্টিস (বোন)
অ্যালেগ্রা কার্টিস (সৎবোন)
স্বাক্ষর

কার্টিস এছাড়াও বিভিন্ন ঘরানার চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি জনপ্রিয় হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ট্রেডিং প্লেসেস (১৯৮৩)-এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং আ ফিশ কলড ওয়ান্ডা (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি জেমস ক্যামেরনের মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ট্রু লাইজ (১৯৯৪)-এ হেলেন টাস্কার চরিত্রে অভিনয় করে সেরা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, আমেরিকান কমেডি পুরস্কার ও স্যাটার্ন পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

কার্টিস ১৯৫৮ সালের ২২শে নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্তা মনিকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অভিনেতা টনি কার্টিস এবং মাতা অভিনেত্রী জ্যানেট লেই। তার পিতা ছিলেন ইহুদি এবং হাঙ্গেরিয় ইহুদি অভিবাসীর পুত্র।[১] তার দুজন প্র-মাতামহী ডেনীয় ছিলেন, এবং তার মায়ের বাকি পূর্বপুরুষগণ জার্মান ও স্কটস-আইরিশ ছিলেন।[২] জেমির বড় বোন কেলি কার্টিসও একজন অভিনেত্রী এবং তার পিতার অন্যান্য বিয়ের ফলে তার কয়েকজন সৎ ভাইবোন রয়েছে, তারা হলেন আলেকজান্ড্রা, অভিনেত্রী অ্যালেগ্রা, বেঞ্জামিন, ও নিকোলাস কার্টিস।[৩] ১৯৬২ সালে কার্টিসের পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। কার্টিসের ভাষ্যমতে, বিবাহবিচ্ছেদের পর তার পিতা তাদের পাশে ছিল না এবং তিনি "পিতার দায়িত্ব পালনে আগ্রহী ছিলেন না।"[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Jamie Lee Curtis Interview: Starring as Herself: Embracing Reality"রিডার্স ডাইজেস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৩, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০ 
  2. There/Hollywood, page 6, 1985, by Janet Leigh
  3. "Family for Tony Curtis"টার্নার ক্লাসিক মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. কাসাব্লাঙ্কা, টেড (অক্টোবর ২২, ২০১০)। "Source: Jamie Lee Curtis Written Out of Father's Will"ই নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা