জেনিফার কেট হাডসন (ইংরেজি: Jennifer Kate Hudson; জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৮১) হলেন একজন মার্কিন গায়িকা, অভিনেত্রী ও মুখপাত্র। তিনি ২০০৪ সালে আমেরিকান আইডলের তৃতীয় মৌসুমে ফাইনালিস্ট ও সপ্তম স্থান অধিকার করার পর পরিচিতি লাভ করেন। ড্রিমগার্লস (২০০৬)-এ এফি হোয়াইট চরিত্রে অভিনয় দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাস্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি সেক্স ইন দ্য সিটি (২০০৮), দ্য সিক্রেট লাইফ অব বিজ (২০০৮) ও ব্ল্যাক নেটিভিটি (২০১৩) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ২০১৫ সালে দ্য কালার পার্পল-এর পুনরুজ্জীবিতকরণে শাগ অ্যাভারি চরিত্রে অভিনয় দিয়ে তার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিষেক হয়।

জেনিফার হাডসন
Jennifer Hudson
২০১৮ সালে গ্লোবাল টিচার প্রাইজ আয়োজনে হাডসন
জন্ম
জেনিফার কেট হাডসন

(1981-09-12) ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৮১ (বয়স ৪২)
মাতৃশিক্ষায়তনল্যাংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাগায়িকা, অভিনেত্রী, মুখপাত্র
কর্মজীবন২০০৪–বর্তমান
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
বাদ্যযন্ত্রভোকাল
কার্যকাল২০০৬-বর্তমান
লেবেল
ওয়েবসাইটjenniferhudson.com

২০১৩ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে হাডসন দ্য ভয়েস ইউকেদ্য ভয়েস-এ কোচ হিসেবে কাজ করছেন, এবং তিনি প্রথম নারী কোচ হিসেবে ইউকে সংস্করণ জয় করেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

হাডসন ১৯৮১ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ইলিনয়ের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা স্যামুয়েল সিম্পসন[৩] (মৃ. ১৯৯৯)[৪] এবং মাতা ডারনেল ডোনারসন (৭ নভেম্বর ১৯৫০-২৪ অক্টোবর ২০০৮)।[৫] তিনি তার পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। ইঙ্গলউডে তার বাপ্তিস্ম হয়।[৬][৭] তিনি ১৯৯৯ সালে ডানবার ভোকেশনাল হাই স্কুল থেকে পাস করেন।[৮] তিনি হুইটনি হিউস্টন, আরেথা ফ্র্যাঙ্কলিন, ও প্যাটি লাবেল তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে উল্লেখ করেন।[৯] এছাড়া তিনি মারিয়া কেরিকে তার সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেন। ৭ বছর বয়সে তিনি গির্জায় গান পরিবেশনা শুরু করেন এবং তার প্রয়াত মাতামহী জুলিয়ার সহায়তায় কমিউনিটি থিয়েটারে অংশগ্রহণ শুরু করেন।[১০] তিনি ল্যাংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কিন্তু গৃহকাতরতা ও আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে না পারায় এক সেমিস্টার পর বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং কেনেডি-কিং কলেজে ভর্তি হন।[১১]

ডিস্কতালিকা সম্পাদনা

  • জেনিফার হাডসন (২০০৮)
  • আই রিমেম্বার মি (২০১১)
  • জেএইচইউডি (২০১৪)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Jennifer Hudson Joins U.K. Version of 'The Voice' as Coach"ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "Person: Jennifer Hudson: Biography"অলমুভি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. হোয়েকস্ট্রা, ডেভ (ডিসেম্বর ১৬, ২০০৬)। "Living the dream"শিকাগো সান-টাইমস। সান-টাইমস মিডিয়া গ্রুপ। ফেব্রুয়ারি ৪, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  4. "Yahoo Biography"। Yahoo!। জুন ২৮, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১০, ২০১১ 
  5. "Social Security Death Index"। Ssdi.rootsweb.ancestry.com। জুলাই ১৫, ২০১০। সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  6. The Associated Press (ফেব্রুয়ারি ২০, ২০০৭)। "For Oscar nominee Jennifer Hudson, all roads lead back to church: 'I don't do clubs'"ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউট। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  7. "Jennifer Hudson 1981–"। বায়োগ্রাফি টুডে17 (1): 50। ২০০৭। আইএসএসএন 1058-2347 
  8. "Chicago fetes hometowner Jennifer Hudson"China Daily। মার্চ ৬, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭ 
  9. "Dreamgirls Star Hudson Dreams Of Houston Duet"। ফিমেল ফার্স্ট। ফেব্রুয়ারি ৭, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  10. বায়োগ্রাফি টুডে, পৃ. ৫০।
  11. বায়োগ্রাফি টুডে, পৃ. ৫১।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা