জেনিফার কাপ্রিয়াতি

মার্কিন টেনিস খেলোয়াড়

জেনিফার মারিয়া কাপ্রিয়াতি (ইংরেজি: Jennifer Maria Capriat; জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯৭৬) নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক বিখ্যাত পেশাদার মার্কিন প্রমিলা টেনিস খেলোয়াড়।[২] সাবেক ১নং টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার মহিলাদের গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেছিলেন। এছাড়াও, ১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের টেনিসে স্বর্ণপদক পান জেনিফার কাপ্রিয়াতিআন্তর্জাতিক টেনিস হল অব ফেমে প্রবেশকারী কাপ্রিয়াতিকে সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[৩][৪]

জেনিফার কাপ্রিয়াতি
২০০৪ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপে কাপ্রিয়াতি
দেশ যুক্তরাষ্ট্র
বাসস্থানওয়েসলি চ্যাপেল, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম (1976-03-29) মার্চ ২৯, ১৯৭৬ (বয়স ৪৮)
নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক
উচ্চতা৫ ফু ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মি)[১]
পেশাদারিত্ব অর্জন৫ মার্চ, ১৯৯০
অবসর গ্রহণ২০০৪
খেলার ধরনডানহাতি (দুইহাতেই ব্যাকহ্যান্ড)
পুরস্কার$ ১০,২০৬,৬৩৯
টেনিস এইচওএফ২০১২ (সদস্য পাতা)
একক
পরিসংখ্যান430–176 (৭০.৯৬%)
শিরোপা১৪
সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং১নং (১৫ অক্টোবর, ২০০১)
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০০১, ২০০২)
ফ্রেঞ্চ ওপেন (২০০১)
উইম্বলডনসে.ফা. (১৯৯১, ২০০১)
ইউএস ওপেনসে.ফা. (১৯৯১, ২০০১, ২০০৩, ২০০৪)
অন্যান্য প্রতিযোগিতা
ট্যুর ফাইনালসে.ফা. (২০০২, ২০০৩)
অলিম্পিক গেমস স্বর্ণপদক (১৯৯২)
দ্বৈত
পরিসংখ্যান৬৬-৫০
শিরোপা
সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং২৮নং (২ মার্চ, ১৯৯২)
অলিম্পিক পদক রেকর্ড
মহিলাদের টেনিস
 যুক্তরাষ্ট্র-এর প্রতিনিধিত্বকারী
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৯২ বার্সেলোনা একক

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

ডেনিস (ডিমিসিস) ও স্টেফানো কাপ্রিয়াতি দম্পতির সন্তান তিনি।[৫] তিনি ইতালীয় বংশোদ্ভূত। বেলজীয় টেনিস তারকা জাভিয়ের মালিসের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।[৬]

১৯৯০ সালে মাত্র ১৩ বছর ১১ মাস বয়সে ফ্লোরিডার বোকা র‌্যাটনে অনুষ্ঠিত হার্ড কোর্ট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু গাব্রিয়েলা সাবাতিনি’র কাছে পরাজিত হন তিনি।

অভিষেক মৌসুমেই ফরাসী ওপেনের সেমি-ফাইনালে পৌঁছেন। ঐ বছরের অক্টোবরে ১৪ বছর ২৩৫ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ ১০-এ পৌঁছেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে কাপ্রিয়াতি ছয়টি একক শিরোপা জয় করেন। তন্মধ্যে ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকে স্টেফি গ্রাফকে পরাজিত করে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

১৯৯৮ সালে পাঁচ বছর পর উইম্বলেডনে তিনি তার প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের শিরোপা পান। পরবর্তী দুই বছরে কাপ্রিয়াতি ধীরে ধীরে চ্যাম্পিয়নশীপের ছন্দে ফিরে আসেন। ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম শিরোপা পান ও শীর্ষ-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে চলে আসেন।

২০০১ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সর্বশেষ বাছাই হিসেবে ঐ সময়ের ১নং টেনিস তারকা মার্টিনা হিঙ্গিসকে সরাসরি সেটে পরাভূত করে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জয় করেন। এছাড়াও ঐ বছরের অক্টোবরে ফরাসী ওপেন জয় করে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের পর শীর্ষ দশে নিয়মিতভাবে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির ফলে ২০০৪ সালে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটতে বাধ্য হয়।

বিতর্ক সম্পাদনা

১৯৯৩ সালের ইউ.এস. ওপেনের প্রথম রাউন্ডে পরাজয়বরণের পর ১৪ মাস প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। দোকানে চুরি[৭] ও মারিজুয়ানা সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হন যা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়।

অর্জনসমূহ সম্পাদনা

তার খেলোয়াড়ী জীবনে ১৪টি পেশাদারী একক প্রতিযোগিতার শিরোপাসহ একটি মহিলা দ্বৈত প্রতিযোগিতার শিরোপা পান। ১৯৯২ সালে সেগা জেনেসিস কর্তৃক ‘জেনিফার কাপ্রিয়াতি টেনিস’ শীর্ষক ভিডিও গেম প্রকাশ করে।[৮] ২০০১ সালে ইএসপিএন কাপ্রিয়াতিকে বিশ্বের অন্যতম যৌন আবেদনময়ী ক্রীড়াবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করে।[৯] ২০০৫ সালে টেনিস সাময়িকী কর্তৃক ৪০জন সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে তাকে ৩৬তম অবস্থানে রাখে। ১৪ জুলাই, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক টেনিস হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Jennifer Capriati"wtatennis.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৭ 
  2. "Jennifer Capriati"। britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩ 
  3. "100 Greatest of All Time"Yahoo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৭ 
  4. "Capriati into Hall of Fame"skysports.com। ২০১৪-০৪-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৭ 
  5. Who's Who of American Women 1999-2000 - Google Books। Books.google.ca। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. Tresniowski, Alex (১২ ফেব্রুয়ারি ২০০১)। "Jenny, Anyone?"। People.com। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  7. Finn, Robin (১১ ডিসেম্বর ১৯৯৩)। "Shoplifting an Accident, Capriati Says of Charge"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩ 
  8. "Jennifer Capriati Tennis"gamerankings.com। ২০১৯-১২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৭ 
  9. "Jennifer Capriati"ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
  মার্টিনা হিঙ্গিস
  লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট
  ভেনাস উইলিয়ামস
  ভেনাস উইলিয়ামস
বিশ্বের ১নং
১৫ অক্টোবর, ২০০১ – ৪ নভেম্বর, ২০০১
১৪ জানুয়ারি, ২০০২ – ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০২
১৮ মার্চ, ২০০২ – ২১ এপ্রিল, ২০০২
২০ মে, ২০০২ – ৯ জুন, ২০০২
উত্তরসূরী
  লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট
  ভেনাস উইলিয়ামস
  ভেনাস উইলিয়ামস
  ভেনাস উইলিয়ামস
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পূর্বসূরী
  কনচিটা মার্টিনেজ
ডব্লিউটিএ বর্ষসেরা নবাগত
১৯৯০
উত্তরসূরী
  আন্দ্রিয়া স্ত্রানাদোভা
পূর্বসূরী
  মনিকা সেলেস
ডব্লিউটিএ বর্ষসেরা লড়াকু খেলোয়াড়
১৯৯৬
উত্তরসূরী
  ম্যারি পিয়ার্স
পূর্বসূরী
  ভেনাস উইলিয়ামস
ডব্লিউটিএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়
২০০১
উত্তরসূরী
  সেরেনা উইলিয়ামস
পূর্বসূরী
  মার্টিনা হিঙ্গিস
আইটিএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
২০০১
উত্তরসূরী
  সেরেনা উইলিয়ামস
পূর্বসূরী
  মারিওন জোন্স
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বর্ষসেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ
২০০১
উত্তরসূরী
 সেরেনা উইলিয়ামস
পূর্বসূরী
মারিওন জোন্স
ইউএসওসি বর্ষসেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ
২০০১
উত্তরসূরী
সারাহ হিউজ
পূর্বসূরী
  ক্যাথি ফ্রিম্যান
বর্ষসেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ
২০০২
উত্তরসূরী
  সেরেনা উইলিয়ামস