জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু
জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু (৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪ – ২ অক্টোবর ২০২১) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ যিনি দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন।[১] এরশাদের সরকারে আমলে তিনি উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম-৯ ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[২][৩]
জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু | |
---|---|
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০ জুন ১৯৮৯ – ১৮ জুলাই ১৯৮৯ | |
পূর্বসূরী | এ ছাত্তার |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ আবদুল গাফফার হালদার |
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ – ১৯ জুন ১৯৮৯ | |
জাতীয় পার্টির মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ২০১৬ | |
কাজের মেয়াদ ২০২০ – ২০২১ | |
চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | আফছারুল আমীন |
উত্তরসূরী | মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল |
চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩ মার্চ ১৯৮৮ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী |
উত্তরসূরী | সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪ রাউজান , চট্টগ্রাম |
মৃত্যু | ২ অক্টোবর ২০২১ ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অধ্যাপক ফরিদা আক্তার মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পা |
সন্তান | এক মেয়ে ও এক ছেলে |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাবাবলু ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বাবলু-ফরিদা দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ২১ এপ্রিল ২০১৭ সালে তিনি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করে ছিলেন।
তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাবাবলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ১৯৮২-৮৩ মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা কালে বাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ডাকসুর জিএস থাকা অবস্থায় সামরিক শাসক এরশাদের দলে যোগ দিয়ে প্রথমে উপদেষ্টা ও পরে শিক্ষা উপমন্ত্রী হন। এরপর অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[৪] ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[৫]
২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেন তিনি।
২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাবাবলু ২ অক্টোবর ২০২১ সালে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২০।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"। www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ বাংলাদেশ গেজেট : অতিরিক্ত সংখ্যা (পিডিএফ)। ঢাকা: নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ। ৮ জানুয়ারি ২০১৪। পৃষ্ঠা ২৩১। ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২।
- ↑ "জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু আর নেই"। দৈনিক যুগান্তর। ২ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২১।
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |