জিন্নাহ মুসলিম লীগ
জিন্নাহ মুসলিম লীগ (জেএমএল) ছিল একটি পাকিস্তানি রাজনৈতিক দল। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ইফতিখার হুসেন খান মামদুত মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।[১] নবাব মামদুত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর একনিষ্ট ভক্ত। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে পশ্চিম পাঞ্জাবের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর পদ মঞ্জুর করা হয়েছিল। মামদুতের প্রাদেশিক সরকারের সমস্যা এবং জিন্নাহর মৃত্যুর পরে মুসলিম লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে তার সম্পর্কের অবনতির কারণে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ তাকে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রেখেছিলেন।
জিন্নাহ মুসলিম লীগ جناح مسلم لیگ | |
---|---|
নেতা | ইফতেখার হুসাইন খান মামদুত |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৪৯ |
ভাঙ্গন | ১৯৫৩ |
বিভক্তি | মুসলিম লীগ |
ভাবাদর্শ | পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ |
জাতীয় অধিভুক্তি | নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৫০ সাল থেকে) |
পাকিস্তানের রাজনীতি |
এরপরে মামদুত ১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে জিন্নাহ মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন। দলের মতাদর্শ পরিষ্কার ছিল না, কারণ মামদুত দলের একমাত্র বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। তিনি তাঁর পাঞ্জাব প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার (১৯৪৭-১৯৪৯) নীতির পক্ষে ছিলেন। দলটি মামদুতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম লীগের মিয়া মুমতাজ দৌলতানার বিরুদ্ধেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২]
দলটি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং তার পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাথে মিলিত হয়ে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে ১৯৫১ সালের পাঞ্জাব প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে মুসলিম লীগের কাছে মামদুত ও আওয়ামী লীগ জোট পরাজিত হলে মামদুত জেএমএলের অধীনে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে বিরোধী নেতা হন। ১৯৫৩ সালে মামদুত জেএমএল বিলুপ্ত করে মুসলিম লীগে পুনরায় যোগদান করেন। তবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত টিকে ছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Paracha, Nadeem F. (২০১৭-০১-২৬)। "The Muslim League: A factional history"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ J. Henry Korson, Contemporary Problems of Pakistan, Brill Archive, 1974, p.20