জারবেরা

উদ্ভিদের গণ

জারবেরা (ইংরেজি: Gerbera) (/ˈɜːrbərə/ or /ˈɡɜːrbərə/) L. বা ঝাড়বালা হচ্ছে এস্টারেসি (ডেইজি পরিবারের) একটি গণের উদ্ভিদের নাম। জার্মান পরিবেশবিদ ট্রাগোট জরবার প্রথম এই ফুলের গণটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন বলে তার নামানুসারেই ফুলটির এরকম নামকরণ হয়েছে[৩] | (১৭১০-১৭৪৩) যিনি রাশিয়া ভ্রমণ করেন এবং কার্ল লিনিয়াসের বন্ধু ছিলেন।[৪]

জারবেরা
লাল জারবেরা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Asterids
বর্গ: Asterales
পরিবার: Asteraceae
উপপরিবার: Mutisioideae
গোত্র: Mutisieae[১]
গণ: Gerbera
L. 1758 non Boehmer, 1760 (Asteraceae) nec J.F.Gmel., 1791[২]
প্রতিশব্দ[১]

এই মূহুর্তে সারাবিশ্বের ফুলের বাজারে চাহিদার তুঙ্গে যে ফুলগুলো রয়েছে তারমধ্যে জারবেরা অন্যতম। এজন্যই দিন দিন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই জারবেরা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জারবেরা ফুলের পূর্ণ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়।

জারবেরা

বিবরণ সম্পাদনা

জারবেরা বহুবর্ষজীবী বীরুৎশ্রেণির একটি উদ্ভিদ। মাটি, স্থান, খাদ্য ও পরিচর্যা ভেদে এর উচ্চতা প্রায় ৩০-৫০ সে.মি.পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছ দেখতে গুচ্ছাকার বা ঝোপপূর্ণ হয়ে থাকে। এর প্রত্যেকটি কাণ্ডের অগ্রভাগে ফুল ফোটে। ফুল লাল, হলুদ, সাদা কমলা ও গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত সারা বছরই অল্প পরিমাণ ফুল ফুটলেও এপ্রিল-মে মাসে বেশি ফুল ফোটে।

জারবেরা সব ধরনের জলবায়ুতেই কমবেশি জন্মায়। তবে উজ্জ্বল সূর্যের আলো যুক্ত স্থানে লাগালে জারবেরা গাছ খুব ভালো হয় ও এর ফুলও উন্নতমানের হয়। বাংলাদেশে শীতকালে ও শীতের শেষের দিকে এর চাষাবাদ বেশি হতে দেখা যায়। যে কোন উৎসবে নারীদের খোপায় জারবেরা গুঁজে দিয়ে নিজের সাজ ও সৌন্দর্য বাড়িয়ে নিতে ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। জারবেরা ৪০টির বেশি প্রজাতি রয়েছে।

বংশবিস্তারের জন্য জারবেরা গাছের মুল, শিকড় ও মূলসহ কাণ্ড আলাদা করে গাছের সংখ্যা বাড়ানো যায়। আবার এর বীজ রোপণ করেও বংশবিস্তার ঘটানো যায়।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা