জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহিমিয়া উজানি মাদ্রাসা

জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহিমিয়া উজানি মাদ্রাসা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা সুলতানুল আউলিয়া ক্বারী ইব্রাহিম সাহেব তিনি রশিদ আহমদ গাঙ্গহীর অন্যতম খলিফা।

জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া উজানী মাদ্রাসা
অবস্থান


বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনবেসরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল১৯০১
প্রতিষ্ঠাতাক্বারী ইব্রাহীম (র.)
কর্তৃপক্ষকওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
অধ্যক্ষমাহবুবে এলাহী
কর্মকর্তা১০০
অনুষদ৬০
শিক্ষার্থী সংখ্যা২০০০+
ভাষাবাংলা, আরবি, উর্দু, ফার্সি, ইংরেজিহিন্দি
ডাকনামউজানি মাদরাসা

অবস্থান

সম্পাদনা

চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত কচুয়া থানার উত্তর-পূর্ব প্রান্ত ঘেঁষে অবস্থিত উজানি গ্রামে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোক বিস্তৃত এক ঐতিহ্যবাহি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

যাতায়াত

সম্পাদনা

ঢাকা থেকে কুমিল্লার মাধাইয়া নেমে সি এন জি করে উজানী মাদ্রাসায় যাওয়া সহজ।এছাড়াও গুলিস্তান সায়েদাবাদ থেকে অনির্বান বাসে করে উজানী মাদ্রাসা যাওয়া যায় আরও সহজ।

চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর কচুয়া থানার সামনে থেকে সি এন জি করে উজানী মাদ্রাসায় যাওয়া সহজ।

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯০১ সালে ভারত উপমহাদেশের কুরআন শিক্ষার প্রাণ পুরুষ অলিয়ে কামেল হযরত মাওলানা ক্বারী ইব্রাহীম (র.) এর হাতে এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়।

ব্যবস্থাপনা

সম্পাদনা

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত, মাদরে ইলম দারুল উলুম দেওবন্দ এর অনুকরণে সম্পূর্ণ জনগণের সাহায্য ও সহযোগীতায় আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে প্রতিষ্ঠানটি যুগযুগ ধরে দ্বীনের খিদমত করে আসছে। একটি মজলিশে শূরা এবং একটি মজলিশে আমেলার মাধ্যমে মুহতামিম তথা প্রিন্সিপালের নেতৃত্বে কার্য সম্পাদন হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠানটিতে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর অধিনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নূরানী, নাযেরা, হিফজ ও কেরাত বিভাগসহ কিতাব বিভাগ (তাকমিল ফিল হাদিস) এবং ফতোয়া বিভাগ রয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি কেরাত বিভাগের জন্য সারাদেশে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছে।[]

প্রখ্যাত শিক্ষক

সম্পাদনা
  • মুফতি দোলয়ার হোসাইন সাহেব
  • মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী সাহেব
  • মাওলানা মুসলিম আইনী সাহেব
  • মুফতি নোমান ইবনে মাদানী সাহেব

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "কচুয়ার উজানীর বার্ষিক মাহফিল শুরু"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা