জাপানের প্রধানমন্ত্রী

জাপানের সরকারপ্রধান

জাপানের প্রধানমন্ত্রী (জাপানি : 内閣総理大臣, হেপবার্ন : Naikaku Sōri-Daijin) হলেন জাপানের সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী জাপানের মন্ত্রিসভার সভাপতিত্ব করেন এবং মন্ত্রীদের নির্বাচন ও বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন।[] প্রধানমন্ত্রী জাপান স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবেও কাজ করেন এবং তিনি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের (নিম্নকক্ষ) একজন সদস্য।[] ন্যাশনাল ডায়েট (সংসদ) দ্বারা মনোনীত হওয়ার পর জাপানের সম্রাট কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে নিম্নকক্ষের মনোনয়ন বহাল রাখতে হবে এবং পদে থাকার জন্য সংসদে শপথ গ্রহণ করতে হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী
日本国内閣総理大臣
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতীক
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পতাকা
দায়িত্ব
শিগেরু ইশিবা

১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে
জাপান সরকার
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
সম্বোধনরীতিনাইকাকু সোরিদাইজিন
ধরনসরকারপ্রধান
এর সদস্যমন্ত্রীসভা
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ
জাপানের জাতীয় আইনসভা
বাসভবনকান্তেই
আসনটোকিও
মনোনয়নদাতাজাপানের জাতীয় আইনসভা
নিয়োগকর্তাজাপানের সম্রাট
মেয়াদকালচার বছর বা তার কম,
অনির্দিষ্টকালের জন্য নবায়নযোগ্য[]
গঠনের দলিলজাপানের সংবিধান
পূর্ববর্তীদাইজো -দাইজিন অব জাপান
গঠন২২ ডিসেম্বর ১৮৮৫; ১৩৮ বছর আগে (1885-12-22)
প্রথমইতো হিরোবুমি
ডেপুটিজাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী
বেতন¥ ৪০,৪৯০,০০০ (বার্ষিক)[]
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

এই পদের অধিষ্ঠিত ব্যক্তি ন্যাশনাল ডায়েট বিল্ডিং- এর কাছে নাগাতাচো, চিয়োডা, টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। শিগেরু ইশিবা জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হন।[] ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত, ৬৪ জন স্বতন্ত্র প্রধানমন্ত্রী ১০১টি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাপানি ভাষায়, সরকার প্রধানের কাজের বিশেষ প্রকৃতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদবি কখনও কখনও তার ভূমিকা প্রদর্শন প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ ব্যবস্থার সূচনার পর থেকে তাকে মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জাপানী ভাষায় নাইকাকু সোরিদাইজিন (内閣総理大臣) নামে পরিচিত। যাইহোক, এই পদবিকে সাধারণত সোরিদাইজিন (総理大臣) হিসেবে সংক্ষিপ্ত করা হয়। আবার সোরি (総理), শুশো (首相) এমনকি সাইশো (宰相) নামেও এটিকে সংক্ষিপ্ত করা হয়।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা
 
ইতো হিরোবুমি, জাপানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী

মেইজি সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে, জাপানে বাস্তবে কোনো লিখিত সংবিধান ছিল না। মূলত, রিৎসুরিও নামে পরিচিত একটি চীনা-অনুপ্রাণিত আইনি ব্যবস্থা আসুকা যুগের শেষের দিকে এবং নারা যুগের প্রথম দিকে প্রণীত হয়েছিল। এটি সম্রাটের চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধীনে একটি বিস্তৃত এবং যুক্তিযুক্ত মেধাতান্ত্রিক আমলাতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে একটি সরকারকে তত্ত্বগতভাবে উপস্থাপন করে; যদিও বাস্তবে, বাস্তব ক্ষমতা প্রায়শই অন্যত্র অধিষ্ঠিত হত। তাত্ত্বিকভাবে, সর্বশেষ রিৎসুরিওইয়োরো আইন ৭৫২ সালে প্রণীত হয়। যা মেইজি পুনরুদ্ধারের পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

আজ পর্যন্ত, ৬৪ জন এই পদে কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হলেন শিনজো আবে, যিনি দুটি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ পর্যন্ত এবং ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত।[]

নিয়োগ

সম্পাদনা

প্রধানমন্ত্রী ডায়েটের উভয় কক্ষ দ্বারা মনোনীত হন। সেই উদ্দেশ্যে, প্রত্যেকে রান-অফ সিস্টেমের অধীনে একটি ব্যালটে ভোট প্রদান করে। যদি দুটি কক্ষ ভিন্ন ব্যক্তিকে বেছে নেয়, তবে উভয় কক্ষের একটি যৌথ কমিটি কর্তৃক একজন সাধারণ মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত, যাইহোক, যদি দুই কক্ষ দশ দিনের মধ্যে একমত না হয়, তাহলে প্রতিনিধি পরিষদের সকল সদস্যদের সিদ্ধান্তকে ডায়েটের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করা হয়। তাই, প্রতিনিধি পরিষদ তাত্ত্বিকভাবে যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারে।[] মনোনীত ব্যক্তিকে তার কমিশনের সাথে উপস্থাপন করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সম্রাট কর্তৃক কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়।[]

প্রচলিতভাবে, প্রধানমন্ত্রী প্রায় সবসময়ই প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা শাসক জোটের প্রবীণ/ জ্যেষ্ঠ নেতা। তবে নিম্ন জোট অংশী বা সংখ্যালঘু দলের (সবচেয়ে সম্প্রতি ১৯৯৪ সালে হাটা মন্ত্রিসভা এবং কমপক্ষে সংখ্যাগতভাবে ১৯৯৬ সালের দ্বিতীয় হাশিমোতো মন্ত্রিসভা) তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন (আশিদা ১৯৪৮, হোসোকাওয়া ১৯৯৩, মুরায়ামা ১৯৯৪)।

যোগ্যতা

সম্পাদনা
  • ডায়েটের যেকোনো একটি কক্ষের সদস্য হতে হবে। (অবশ্যই ন্যূনতম ২৫ বছর বয়স এবং জাপানি জাতীয়তার অধিকারি হতে হবে।)
  • বেসামরিক হতে হবে। এই পদে জাপান স্ব-প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বাদ দেয়া হয়। প্রাক্তন সামরিক ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হতে পারে, যার মধ্যে ইয়াসুহিরো নাকাসোনে একটি বিশিষ্ট উদাহরণ।

ভূমিকা

সম্পাদনা

সাংবিধানিক ভূমিকা

সম্পাদনা
  • সমগ্র নির্বাহী শাখার উপর "নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান" করা।[]
  • মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে ডায়েটের কাছে বিল উপস্থাপন করা।[১০]
  • আইন এবং মন্ত্রিসভা আদেশে স্বাক্ষর প্রদান করা (মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সাথে)।
  • সমস্ত মন্ত্রীদের নিয়োগ এবং যেকোন সময় তাদের বরখাস্ত করা।[১১]
  • মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।[১২]
  • দেশীয় এবং বিদেশী সম্পর্কের প্রতিবেদন ডায়েটকে প্রদান করা।[১০]
  • চাহিদা অনুযায়ী উত্তর বা ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ডায়েটে প্রতিবেদন করা।[১৩]
  • ডায়েটস হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ভেঙে দেওয়ার জন্য সম্রাটকে পরামর্শ দেওয়া।

বিধিবদ্ধ ভূমিকা

সম্পাদনা
  • মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।[১৪]
  • জাপান আত্মরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক[১৫]
  • কারণ দেখানোর মাধ্যমে প্রশাসনিক আইনের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ওভাররাইড করতে পারে।[১৬]

সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী দে জুরি এবং দে ফাক্তো প্রধান নির্বাহী। অন্যান্য বেশিরভাগ সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে, রাজা হলেন নামমাত্র প্রধান নির্বাহী, যখন তিনি মন্ত্রিসভার পরামর্শে কাজ করতে কনভেনশন দ্বারা আবদ্ধ হন। বিপরীতে, জাপানের সংবিধান স্পষ্টভাবে মন্ত্রিসভায় নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হলেন নেতা। সমস্ত আইন এবং মন্ত্রিসভা আদেশের জন্য তার পাল্টা স্বাক্ষর প্রয়োজন। যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রে বেশিরভাগ মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভার যৌথ দায়িত্বের সীমার মধ্যে কিছু কাজের স্বাধীনতা থাকে, জাপানি মন্ত্রিসভা কার্যকরভাবে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বের একটি সম্প্রসারণ।

সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়

সম্পাদনা
 
কান্তেই, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন

ডায়েট ভবনের কাছে অবস্থিত জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে কান্তেই (官邸) বলা হয়। প্রথম কান্তেই ভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ১৯২৯ থেকে ২০০২ ছিল। এরপর বর্তমান কান্তেই ভবন উদ্বোধন করা হয়।[১৭] ফলস্বরূপ পুরানো কান্তেই বা কোটেই (公邸) ভবনটিকে তখন সরকারি বাসভবনে রূপান্তরিত করা হয়।[১৮] পুরোনো কান্তেই ভবনটি বর্তমান কান্তেই ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং একটি হাঁটার পথ দ্বারা সংযুক্ত।[১৮]

জাপানের প্রধানমন্ত্রী টয়োটা সেঞ্চুরিতে ভ্রমণ করেন। তবে আগে প্রধানমন্ত্রীগণ লেক্সাস এলএস ৬০০এইচ এল-এ ভ্রমণ করতেন।

বিমান ভ্রমণের জন্য ২০১৯ সাল থেকে, জাপান সরকার দুটি বোয়িং ৭৭৭ রক্ষণাবেক্ষণ করে। এর আগে বোয়িং ৭৪৭-৪০০ ব্যবহৃত হত। বিমানটি সম্রাট, সম্রাটের পরিবারের সদস্যরা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ব্যবহার করেন।

সম্মাননা

সম্পাদনা

১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সাধারণত পদ ছাড়ার আগে পিয়ারেজ ( কাজোকু ) প্রদান করা হত যদি তিনি ইতিমধ্যেই মর্যাদাপ্রাপ্ত না হয়ে থাকেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব এবং মর্যাদার উপর নির্ভর করে সম্মাননা সাধারণত কাউন্ট, ভিসকাউন্ট বা ব্যারন পদ দেওয়া হত। দুটি সর্বোচ্চ পদমর্যাদা, মার্কেস এবং প্রিন্স, শুধুমাত্র উচ্চ বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়কদের দেওয়া হয়েছিল এবং এগুলো ১৯২৮ সালের পরে কোনো প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়নি। এই পদপ্রাপ্ত শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ব্যারন কিজুরো শিদেহারা, যিনি ১৯৪৫ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৪৬ সালের মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের মে মাসে জাপানের সংবিধান কার্যকর হলে পিয়ারেজ বিলুপ্ত হয়।

কিছু বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব দ্য ক্রাইস্যান্থেমাম দেওয়া হয়েছে। জাপানি সম্মাননা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সম্মান, কলার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ক্রাইস্যান্থেমাম, শুধুমাত্র নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়কদের দেওয়া হয়েছে; এই পুরস্কারপ্রাপ্ত সর্বশেষ জীবিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সায়নজি কিনমোচি। তিনি ১৯২৮ সালে এই পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। প্রায়শই, অর্ডার অব দ্য ক্রাইস্যান্থেমাম সম্মাননাটি মরণোত্তর প্রদান করা হয়েছে; সর্বশেষ ২০২২ সালের জুলাই মাসে কলার এবং গ্র্যান্ড কর্ডন উভয়ই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে মরণোত্তর প্রদান করা হয়েছিল।[১৯]

পাদটীকা

সম্পাদনা
  1. জাপানের প্রতিনিধিসভার সাধারণ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার সকলে একত্রে পদত্যাগ করবেন। তাদের পদের মেয়াদ চার বছর যা আগে শেষ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর পদ বা মেয়াদের সংখ্যার উপর কোন সীমা আরোপ করা হয় না। প্রধানমন্ত্রী, নিয়মানুযায়ী, বিজয়ী দলের নেতা, যদিও কিছু প্রধানমন্ত্রী নিম্ন জোট অংশী বা সংখ্যালঘু দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. 首相は4049万円、閣僚の給料は安い?高い? 菅内閣誕生ドキュメント (Japanese ভাষায়), The Nikkei, ২০২০-০৯-১৬, সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২০ 
  2. "The Constitution of Japan - Japanese/English - Japanese Law Translation"www.japaneselawtranslation.go.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৫ 
  3. "Book review: A nuanced deep dive on Japan's Self-Defense Forces"Nikkei Asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৫ 
  4. "Fumio Kishida: Japan's new prime minister takes office"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১০-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৫ 
  5. 字通,世界大百科事典内言及, 日本大百科全書(ニッポニカ),旺文社世界史事典 三訂版,精選版 日本国語大辞典,デジタル大辞泉,世界大百科事典 第2版,普及版। "宰相とは"コトバンク (জাপানি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৪ 
  6. "Japanese Prime Minister Shinzo Abe officially resigns"CBSNews। AP। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০। 
  7. Article 67 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  8. Article 6 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  9. Article 5 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  10. Article ,  Constitution of  (1947)
  11. Article 68 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  12. Article 75 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  13. Article 63 of the Constitution of Constitution of  (1947)
  14. Cabinet Act2012, article 4
  15. Self-Defense Forces Act of 1954
  16. Administrative Litigation Act, article 27
  17. Nakata, Hiroko (মার্চ ৬, ২০০৭)। "The prime minister's official hub"The Japan Times Online। The Japan Times। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০০৭ 
  18. "A virtual tour of the former Kantei – Annex etc. – The Residential Area"। Prime Minister of Japan। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০০৭ 
  19. "令和4年7月11日(月)午後 | 官房長官記者会見"首相官邸ホームページ (জাপানি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩১