জাপানি লাল সেনা (Japanese Red Army (日本赤軍, Nihon Sekigun, JRA)) হচ্ছে ১৯৭১-এর প্রথমদিকে ফুসাকো শিগেনোবু দ্বারা লেবাননে গঠিত একটি সামরিক গ্রুপ।

জাপানি লাল সেনা
Japanese Red Army
日本赤軍
নেতাFusako Shigenobu
অপারেশনের তারিখ১৯৭১-২০০১
উদ্দেশ্যজাপানে শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লব, বিশ্ব বিপ্লব
সক্রিয়তার অঞ্চলজাপান, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্য
মতাদর্শসাম্যবাদ,
Marxism–Leninism,
Anti-imperialism,
Anti-Zionism
উল্লেখযোগ্য আক্রমণLod Airport massacre
Japan Airlines Flight 351
Malaysian Airline System Flight 653 (suspected)
অবস্থাDefunct, now replaced by Movement Rentai
জাপানের রেড আর্মি দেশে ফিরে এসেছে(১৯৪৯)

কার্যক্রম

সম্পাদনা

বিমান ছিনতাইয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে জাপানী রেড আর্মি ছিল খ্যতিমান ছিল। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে সারা পৃথিবীতে সিরিজ বিমান ছিনতাইয়ের অনেকগুলো ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা।

  • ৩১ মার্চ , ১৯৭০: টোকিও অভ্যন্তরীণ বিমানের ফ্লাইট ৩৫১ বিমানটি ১২৭ জন যাত্রী সহ ছিনতাই করে। পরে সেই বিমানকে নিয়ে যায় নর্থ কোরিয়ায়।
  • ৩০ মে ১৯৭২: ইসরাইলের তেলআবিবের লুদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে, বর্তমানে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আক্রমণ করে ও গ্রেনেড ফাটিয়ে ২৬ জন মানুষকে হত্যা করে, আরও ৮০ জন আহত হয়।[] তিনজন আক্রমনকারীর মধ্যে একজন গ্রেনেড দ্বারা আত্মঘাতী হয়, একজন ক্রসফায়ারে মারা যায়। একমাত্র জীবিত ব্যক্তি থাকেন কোজো ওকামোতো। মনে করা হয় ঘটনার পেছনে পিএলএফপি (PFLP) দায়ী।
  • জুলাই ১৯৭৩: হল্যান্ডের উপর থেকে জাপানী এয়ার লাইন্স ফ্লাইট ৪০৪ হাইজ্যাক করে লিবিয়ায় উড়িয়ে আনে। এরপর সেখানে সবাইকে মুক্ত করে দিয়ে সেই বিমান উড়িয়ে দেয় এরা।
  • ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪: হেগের ফ্রেন্স এমব্যাসিতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে বন্দী করে জাপানী রেড আর্মি। এরপর তাদের এক নেতার মুক্তিপন, সাথে ৩ লাখ ইউএস ডলার ও একটা প্লেণ দাবির বিনিময়ে তাদেরকে মুক্ত করে দেয়।
  • অগাস্ট ১৯৭৫: মালয়েশিয়ায় আমেরিকান এবং সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে জিম্মি করে তাদের পাঁচ জন বন্দীর মুক্তিপণ আদায় করে নেয় এবং তাদেরকে লিবিয়া পালিয়ে যেতে অনুমতি আদায় করে নেয়।
  • ১১ অগাস্ট ১৯৭৬: সালে তুর্কীর ইস্তাম্বুলের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আক্রমণ করে ৪ জন মানুষ খুন করে এবং ২০ জন আহত হয়, তবে তারা বিমান ছিনতাই করতে ব্যারথ হয়।
  • সেপ্টেম্বর ১৯৭৭: ফ্লাইট ৪৭২ নামের জাপানী বিমানকে ভারতের উপর থেকে ছিনতাই করে এবং সেই বিমানকে পরে ঢাকায় অবতরন করতে বাধ্য করে। এরপর শুরু হয় সেই নাটকীয়তা। ৬ জন সদস্যর মুক্তি এবং ৬ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপন চেয়ে জাপান সরকারের কাছে দাবি নামা পেশ করে।
  • ডিসেম্বর ১৯৭৭: মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট ৬৫৩ বিমানকে হাইজ্যাক করে কিউবিয়ান রাষ্ট্রদূত সহ যিনি জাপানেই যাচ্ছিলেন। সেই প্লেন সব যাত্রী নিয়ে ক্রাশ করে এবং সবাই মারা যায়।

১৯৭১ সালে জাপানী রেড আর্মি, পিএলএফপি এর সাথে যুক্ত হয়ে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ঘোষণা দেয়। বিমান ছিনতাই ছাড়াও তারা ১৯৮০ সালের পরে মনোনিবেশ করে দুতাবাস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার কাজে। পৃথিবীর নানান দেশের আমেরিকান, জাপানী বা ইউরোপিয়ান অনেক দূতাবাস তারা উড়িয়ে দেয় নিমিষে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "In what became known as the Lod Airport Massacre three members of the terrorist group, Japanese Red Army, arrived at the airport aboard Air France Flight 132 from Rome. Once inside the airport they grabbed automatic firearms from their carry-on cases and fired at airport staff and visitors. In the end, 26 people died and 80 people were injured." CBC News, The Fifth Estate, "Fasten Your Seatbelts: Ben Gurion Airport in Israel", 2007. Retrieved June 2, 2008.

পুস্তকসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা