জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা
(জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
এটি একটি পরীক্ষিত সংস্করণ, যা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পরীক্ষিত হয়েছিল।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা যা এনএসআই নামে পরিচিত, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান ও স্বাধীন আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা। এনএসআইয়ের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। এনএসআই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স ও বৈদেশিক গোয়েন্দা সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। এনএসআই বাংলাদেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা যেমন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, পুলিশের বিশেষ শাখা, সেনা গোয়েন্দা ও নৌ গোয়েন্দা প্রভৃতির মধ্যে বৃহত্তম। সংস্থাটি সরাসরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।[]

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত২৯ ডিসেম্বর ১৯৭২; ৫২ বছর আগে (1972-12-29)[]
সদর দপ্তরসেগুনবাগিচা, ঢাকা, বাংলাদেশ[][]
বার্ষিক বাজেটগোপনীয়
সংস্থা নির্বাহী
মূল সংস্থাপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়[]

বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংস্থাটির দপ্তর রয়েছে। পাশাপাশি যুগ্ম-পরিচালকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জেলাসমূহে স্থানীয় ইউনিট রয়েছে।[] বাংলাদেশের বৃহত্তম গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে এনএসআই প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে মূলত বৈদেশিক সরকার, নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন ধর্মীয় দল এবং কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা।

প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম

সম্পাদনা

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে ‘জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ কিছু কর্মকর্তাদের নতুন এই বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে সংস্থাটির কার্যক্রম শুরু হয়।[]

এনএসআই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সীমান্ত এলাকার কৌশলগত নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করাও এই সংস্থার দায়িত্ব। পাশাপাশি এনএসআই বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার জনবলের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।

প্রশিক্ষণ

সম্পাদনা

এনএসআইয়ের সদস্যগণ দেশে ও দেশের বাইরে বিশেষ গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন।[] বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত এনএসআই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট-এ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এর অধীনে পরিচালিত প্রশিক্ষণ উইং এর মাধ্যমে সংস্থার সদস্যদের মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালমান রয়েছে। ঢাকার অদূরে ধামরাই-এ সংস্থার স্থায়ী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।

মহাপরিচালকের তালিকা

সম্পাদনা

উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক অভিযান

সম্পাদনা

ইয়েমেন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের বহুতলবিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, ভাষণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা (১৭ জানুয়ারি ২০১৫)" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনএসআই এর প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন… -The Prime Minister's Office-Government of the People's Republic of Bangladesh - প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Pratidin, Bangladesh। "গোয়েন্দাদের সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী" 
  4. "এনএসআইয়ের নতুন ডিজি জোবায়ের - জাতীয় - The Daily Ittefaq" 
  5. "এনএসআইয়ের নতুন ডিজি জেনারেল জোবায়ের" 
  6. "প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়"www.pmo.gov.bd 
  7. "৫৬ কোটি টাকায় এনএসআই-এর জন্য বহুতল ভবন"। ৪ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  8. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২২-০২-১৪)। "বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তা সুফিউল আনাম ইয়েমেনে অপহৃত"দ্য ডেইলি স্টার Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৮ 
  9. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০৮-১০)। "যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা কেবল সিনেমায় দেখা যায়: আল-কায়েদার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সুফিউল আনাম"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৮ 
  10. মহানগর ডেস্ক (সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২)। "সুফিউলকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে বাধা রয়েছে জাতিসংঘের: পররাষ্ট্রসচিব"। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ 
  11. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০৮-০৯)। "ইয়েমেনে অপহৃত বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তা সুফিউল আনাম উদ্ধার"দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৮