জাতীয় থিয়েটার মিউনিখ
জাতীয় থিয়েটার (জার্মান: Nationaltheater) জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের মিউনিখ শহরের ম্যাক্স-ইয়োসেফ-প্লাৎজে অবস্থিত। বাভারিয়া প্রদেশের অপেরা, বাভারিয়া প্রদেশের অর্কেস্ট্রা ও বাভারিয়া প্রদেশের ব্যালের প্রাণবিন্দু এই ঐতিহাসিক অপেরা হাউজ।
জার্মান: Nationaltheater | |
![]() মিউনিখের জাতীয় থিয়েটার | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 393 নং লাইনে: স্থানাঙ্কের মান বিকৃত। | |
পূর্ণ নাম | জাতীয় থিয়েটার মিউনিখ |
---|---|
ঠিকানা | ম্যাক্স-ইয়োসেফ-প্লাৎজ, মিউনিখ |
অবস্থান | বাভারিয়া, জার্মানি |
স্থানাঙ্ক | |
ধরন | জাতীয় |
ধারা | থিয়েটার |
আসনের ধরন | সংরক্ষিত আসন |
ধারণক্ষমতা | ২১০০ টি আসন |
নির্মাণ | |
নির্মাণাধীন | ১৮১১-১৮১৮ |
উদ্বোধন | ১২ অক্টোবর ১৮১৮ |
পুনঃসংস্কার | ১৯২৫, ১৯৬৩ |
স্থপতি | গেরহার্ড মরিটস গ্রুবনার |
নির্মাণসম্পাদনা
প্রথম থিয়েটার - ১৮১৮ থেকে ১৮২৩সম্পাদনা
১৮১০ সালে বাভারিয়ার রাজা প্রথম ম্যাক্সিমিলান এই থিয়েটার নির্মাণের নির্দেশ দেন। কেননা, সেই সময়ের নিকটবর্তী কুভিলিয়েস থিয়েটার আকারে যথেষ্ট ছিলো না। কার্ল ভন ফিশার কর্তৃক নকশা করা হয়েছিল, যা ১৭৮২ সালের প্যারিসের ওডিয়ন স্থাপত্যের দৃষ্টান্ত হিসাবে।[১] ১৮১১ সালের ২৬ অক্টোবর থিয়েটারের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ১৮১৩ সালে আর্থিক কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।[২] ১৮১৭ সালে বন্ধ থাকা নির্মাণাধীন ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
অবশেষে ১৮১৮ সালের ১২ অক্টোবর নবনির্মিত থিয়েটারটি চালু হয়। ফেরনান্দো ফ্রাঞ্জির ডি ভিহে (Die Weihe) মঞ্চস্থ হবার মাধ্যমে থিয়েটারটির যাত্রা শুরু হয়। তবে ১৮২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি আরেকবার অগ্নি দূর্ঘটনায় থিয়েটারটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[২] এতিয়েন মিহুলের দি বিদিয়েন ফুস (Die beyden Füchse) নাটক চলাকালীন সময়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই সময় আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট পানির সরবরাহ ঠান্ডায় জমে যাওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়।[৩][৪] ঘটনাচক্রে ১৮১৮ সালে প্যারিসের ওডিয়েন থিয়েটারেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দ্বিতীয় থিয়েটার - ১৮২৫ থেকে ১৯৪৩সম্পাদনা
লিও ভন ক্লেনযে কর্তৃক নকশাকৃত দ্বিতীয় থিয়েটারটি নব্য-গ্রিক ঘরানার আদলে নির্মিত। ত্রিভুজাকৃতির সম্মুখভাগ আর প্রবেশোপথ করিন্থিয়ান কলাম দ্বারা সজ্জিত। ১৯২৫ সালে এতে পরিবর্তন আনা হয়। এসময় একটি বৃহদাকার মঞ্চ নির্মিত হয় এবং এক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। ১৯৪৩ সালের ৩ অক্টোবরের রাতে একটি বিমান হামলায় এই থিয়েটারটি ধ্বংস হয়।[২]
তৃতীয় থিয়েটার - ১৯৬৩ থেকে বর্তমানসম্পাদনা
তৃতীয় ও বর্তমান থিয়েটারটি ১৯৬৩ সালে নির্মিত। মূল কার্ল ভন ফিশারের নব্য-ধ্রপদী নকশা এতে প্রাধান্যতা পেয়েছে। এই নবনির্মিত থিয়েটার আকারে কিছুটা বড় এবং ২,১০০ টি আসন সমৃদ্ধ।[১] এর চমৎকার রাজকীয় বাক্স অভ্যন্তরীণ রন্ডেলের কেন্দ্রস্থল, দুটি বৃহত ক্যারাটিড দিয়ে সজ্জিত। নতুন থিয়েটারের মঞ্চটি প্রায় ২,৫০০ বর্গমিটার (৩,০০০ sq yd) এলাকা অধিকৃত করে নির্মিত। যা প্যারিসের ওপের ব্যস্তিল এবং ওয়ারশের গ্র্যান্ড থিয়েটারের পরে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম থিয়েটার মঞ্চ।[১]
থিয়েটার নির্মাণে প্রধান উপাদান হিসাবে কাঠের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার মাধ্যমে, মিলনায়তনে চমৎকার শ্রবণ ব্যবস্থা রয়েছে। স্থপতি গেরহার্ড মরিটস গ্রুবনার নির্মাণকালে ঘনিষ্ঠভাবে ফোয়ার (বড় হলঘর) এবং প্রধান সিঁড়িগুলির মূল আদল রক্ষা করেছিলেন।[৫] ১৯৬৪ সালের ২১ নভেম্বর জোসেফ কিলবার্থের ব্যাটনের অধীনে ডাই ফ্রু ওহেন শ্যাট্টেনের নাটকের প্রদর্শনীর মাধ্যমে এটি চালু করা হয়।[৬]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ Schönbauer, Sina (১৫ জুন ২০১৬)। "Die Bayerische Staatsoper ist die drittgrößte Bühne Europas"। Focus (German ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "History of the Bayerische Staatsoper"। ৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Allgemeine musikalische Zeitung, Band 25। Leipzig: Breitkopf und Härtel। ১৮২৩। পৃষ্ঠা 79।
- ↑ Görl, Wolfgang (১ এপ্রিল ২০১৬)। "Auch Bier kann den Brand löschen"। Süddeutsche Zeitung (German ভাষায়)। Munich। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Abendroth, Walter (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬)। "Wie soll das neue Nationaltheater aussehen?"। Die Zeit (German ভাষায়)। Hamburg। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Abendroth, Walter (২৯ নভেম্বর ১৯৬৩)। "272 Scheinwerfer im Nationaltheater"। Die Zeit (German ভাষায়)। Hamburg। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে জাতীয় থিয়েটার মিউনিখ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- Bayerisches Staatsballett ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ মে ২০১৮ তারিখে