জাংস্কার নদী

ভারতের নদী

জাংস্কার নদী ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী।

জাংস্কার নদী
নদী
জাংস্কার নদী ও সিন্ধু নদের মিলনস্থল
জাংস্কার নদী ও সিন্ধু নদের মিলনস্থল
জাংস্কার নদী ও সিন্ধু নদের মিলনস্থল
দেশ ভারত
রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর
অঞ্চল লাদাখ
জেলা কার্গিল
উপনদী
 - বাঁদিকে ডোডা নদী
 - ডানদিকে সারাপ নদী
উৎস ৩৩°৩০′৫৭″ উত্তর ৭৬°৫৬′০২″ পূর্ব / ৩৩.৫১৫৮৫৫° উত্তর ৭৬.৯৩৩৮০৫° পূর্ব / 33.515855; 76.933805
 - অবস্থান পাদুমে সারাপ নদীডোডা নদী মিলিত হয়ে জাংস্কার নদী তৈরী করে
 - উচ্চতা ৩,৪৮৫ মিটার (১১,৪৩৪ ফিট)
মোহনা
 - অবস্থান নিম্মুতে সিন্ধু নদের সাথে মিলিত হয়

ভূগোল সম্পাদনা

জাংস্কার নদী সিন্ধু নদের উপনদী । এই নদী ডোডা নদীসারাপ নদী মিলিত হয়ে তৈরী হয়েছে।

ডোডা নদী সম্পাদনা

ডোডা নদী পেনসি গিরিবর্ত্মের নিকটে জাংস্কার পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত দ্রাং-দ্রুং হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। [১][২] এই হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ডোডা নদী দক্ষিণ পশ্চিম দিকে কার্গিল-জাংস্কার সড়কের সমান্তরালে আকশু, আব্রান, কুশোল ও ফে শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে।

সারাপ নদী সম্পাদনা

সারাপ নদী জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত পাঙ্কপো গিরিবর্ত্মের হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। [৩] এর পর নদীটি দক্ষিণ পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সার্চু পৌঁছে লিংটি, ইউনান ও সার্চু এই তিন নদীর সাথে মিলিত হয়। [৪] পুর্ণে গ্রামের কাছে এই নদী সিঙ্গো গিরিবর্ত্ম থেকে উৎপন্ন কারগ্যাগ নদীর সাথে মিলিত হয়। [৫] এরপর নদীটি মোনে, টিচিপ, জাম্যাং লাং, ডর্জং, চিয়া প্রভৃতি শহরে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জাংস্কার নদী সম্পাদনা

পাদুমে পৌঁছে সারাপ নদী ডোডা নদীর সাথে মিশে সিন্ধু নদের উপনদী জাংস্কার নদী তৈরী করেছে। [৬][৭] এরপর এই নদী জাংস্কার গর্জের মধ্যে দিয়ে উত্তর পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে নিম্মুতে সিন্ধু নদের সাথে মিলিত হয়েছে।

চাদর ট্রেক সম্পাদনা

 
শীতকালে জাংস্কার নদীর ওপর জমে যাওয়া বরফের স্তর

জাংস্কার নদীর গর্জ বরাবর গ্রীষ্মকালে চিলিং থেকে নিম্মু পর্যন্ত ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় লেগে থাকে। শীতকালে জাংস্কার যাওয়ার রাস্তা তুষারপাতের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে, বরফ জমা জাংস্কার নদীর ওপর দিয়ে ট্রেকাররা চিলিং, তিলত সামদো, টিব, নেরাক হয়ে পাদুম পর্যন্ত কয়েকদিনে হেঁটে যেতে পারে। এই ট্রেক চাদর ট্রেক নামে বিখ্যাত। শীতকালে নেরাক গ্রামে অবস্থিত জমে যাওয়া জলপ্রপাত ট্রেকারদের নিকট একটি আকর্ষণীয় স্থান।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Janet Rizvi (১৯৯৬)। Ladakh: crossroads of high Asia। Oxford University Press, 1996। পৃষ্ঠা 30–। আইএসবিএন 9780195640168। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১২ 
  2. Kim Gutschow (২০০৪)। Being a Buddhist Nun: The Struggle for Enlightenment in the Himalayas। Harvard University Press, 2004। পৃষ্ঠা -40। আইএসবিএন 9780674012875। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১২ 
  3. India. Quarter Master General's Dept. Intelligence Branch (১৯৯১)। Gazetteer of Kashmir and Ladak: together with routes in the territories of the Maharaja of Jammu and Kashmir। Sang-e-Meel Publications, 1991। পৃষ্ঠা -725। আইএসবিএন 9789693501049। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১২ 
  4. Harish Kapadia (২০০২)। High Himalaya Unknown Valleys। Indus Publishing, 2002। পৃষ্ঠা -228। আইএসবিএন 9788173871177। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১২ 
  5. Outlook (২০০৫)। Trekking holidays in India: 85 treks + 50। Outlook Pub. (India), 200। পৃষ্ঠা -71। আইএসবিএন 9788189449001। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১২ 
  6. "Stod a tributory of Zanskar river"। tourisminjammukashmir। ২০১২-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১৭ 
  7. "Tsarap a tributory of Zanskar river"। tourisminjammukashmir। ২০১২-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১৮ 
  8. Lonely Planet guide, Trekking in the Indian Himalaya by Garry Weare, page 71