জল গোলার্ধ এবং স্থল গোলার্ধ হলো পৃথিবীর গোলার্ধদ্বয় যা যথাক্রমে পৃথিবীর সম্ভাব্য সর্ববৃহৎ ভূমিমহাসাগরীয় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সংজ্ঞা অনুসারে (ধরে নেয়া হচ্ছে যে, সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে "ভূমি" বা "মহাসাগর" হিসাবে গন্য করা যায়) এই গোলার্ধ দুটি একে অন্যকে পরস্পর ছেদ করে না, বরং আলাদা আলাদা অংশ।

Land hemisphere
স্থল গোলার্ধ
Water hemisphere
জল গোলার্ধ
সম্মুখ-চিত্রে সম-আয়তন মানচিত্র দ্বারা দৃশ্যমান করা প্রতিটি গোলার্ধ।
পার্শ্ব-চিত্রে সম-আয়তন মানচিত্র দ্বারা দৃশ্যমান করা প্রতিটি গোলার্ধ (স্থল গোলার্ধ উপরে এবং জল গোলার্ধ নিচে)।

গোলার্ধ নিরূপণ ক্ষেত্রবিশেষে সামান্য কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে থাকে। স্থল গোলার্ধের কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয় ৪৭°১৩′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ১°৩২′ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের ছেদ বিন্দুতে (ফ্রান্সের নান্টেস শহরে)।[১] জল গোলার্ধের কেন্দ্র স্থল গোলার্ধের কেন্দ্রের ঠিক বিপরীতে এবং তাই এটি ৪৭°১৩′ দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৭৮°২৮′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ছেদ বিন্দুতে (প্রশান্ত মহাসাগরে নিউজিল্যান্ডের বাউন্টি দ্বীপপুঞ্জের কাছে) অবস্থিত।[১] আবার, একটি বিকল্প স্থল গোলার্ধের কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয় ৪৭°২৪′৪২″ উত্তর অক্ষাংশ এবং ২°৩৭′১৫″ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের ছেদ বিন্দুতে (ফ্রান্সের পিরিয়াক-সুর-মেরের নিকটবর্তী আইল ডুমেটে)।[২][৩] ফলে, জল গোলার্ধের কেন্দ্রের অবস্থান হচ্ছে ৪৭°২৪′৪২″ দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৭৭°২২′৪৫″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ছেদ বিন্দুতে (প্রশান্ত মহাসাগরে নিউজিল্যান্ডের বাউন্টি দ্বীপপুঞ্জের কাছে)।

ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যাবলীর বিস্তরণ সম্পাদনা

নিচের সারণিতে আলফনস বার্গেটের গণনাকৃত হিসাব মতে জল এবং স্থল গোলার্ধের প্রতিটি মহাদেশের ভূমি এলাকা ও জলভাগের অনুমানিক বিস্তরণ দেয়া হলো -

মহাদেশ স্থল গোলার্ধ
কিলোমিটার (বর্গ মাইল)
জল গোলার্ধ
কিলোমিটার (বর্গ মাইল)
আফ্রিকা ২,৯৮,১৮,৪০০ (১,১৫,১২,৯৪৯) ০ (০)
আমেরিকা অঞ্চল ৩,৪৯,৫৫,৬৭০ (১,৩৪,৯৬,৪৬০) ৩৩,৯১,০১০ (১৩,০৯,২৭৬)
এন্টারটিকা ০ (০) ১,৩১,২০,০০০ (৫০,৬৫,৬৬০)
এশিয়া ৪,০৮,৯৭,২৪১ (১,৫৭,৯০,৫১৩) ৩২,৪৫,৬৪৯ (১২,৫৩,১৫২)
ওশেনিয়া ০ (০) ৮৯,৫৮,৬৩০ (৩৪,৫৮,৯৪৬)
ইউরোপ ৯৭,৩২,২৫০ (৩৭,৫৭,৬৪৩) ০ (০)
মোট বিস্তৃত এলাকা ১১,৫৪,০৩,৫৬১ (৪,৪৫,৫৭,৫৬৪) ২,৮৭,১৫,২৮৯ (১,১০,৮৭,০৩৫)

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Boggs, Samuel Whittemore (ডিসেম্বর ১৯৪৫)। "This Hemisphere"। Journal of Geography44 (9): ৩৪৫–৩৫৫। ডিওআই:10.1080/00221344508986498 
  2. Berget, Alphonse (১৯১৩)। "Répartition géographique des Océans (détermination du pôle continental)"। 10 (ফরাসি ভাষায়)। V। Annales de l'Institut océanographique। 
  3. "L'ILE DUMET: LE NOMBRIL DU MONDE"France Secret (ফরাসি ভাষায়)। ১০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা