জলদস্যু প্রজাতন্ত্র

জলদস্যু প্রজাতন্ত্র (ইংরেজি: Republic of Pirates) ছিল বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপে নাসাউতে জলদস্যুতার স্বর্ণযুগে ১৭০৬ থেকে ১৭১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় এগারো বর্ষব্যাপী জলদস্যুতে পরিণত হওয়া প্রাইভেটিয়ারদের দ্বারা পরিচালিত এক শিথিল রাষ্ট্র সমবায়ের প্রধান ঘাঁটিদুর্গপ্রাকার[১] এটি আনুষ্ঠানিক অর্থে একটি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ছিল না, বরং শাসিত হত অবৈধিক জলদস্যু কোড নামক এক আচরণবিধি দ্বারা। এই আচরণবিধি অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নাবিকেরা তাদের জাহাজের নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করত এবং অন্যান্য জলদস্যু নাবিকদলের সঙ্গে ভদ্রতা বজায় রাখত।

জলদস্যু প্রজাতন্ত্র

১৭০৬–১৭১৮
জাতীয় পতাকা
বর্তমান বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
বর্তমান বাহামা দ্বীপপুঞ্জ
রাজধানীনাসাউ
প্রচলিত ভাষাইংরেজি, ফরাসি
ধর্ম
খ্রিস্টধর্ম (অবৈধিক)
জাতীয়তাসূচক বিশেষণপ্রাইভেটিয়ার (১৭০৬-১৭১৪)
জলদস্যু (১৭১৪-১৭১৮)
সরকার'আচরণবিধি'
বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড (১৭০৬-১৭১৬)
• ক্যাপ্টেন
হেনরি জেনিংস (১৭০৬-১৭১৬)
• ক্যাপ্টেন
এডওয়ার্ড থ্যাচ (১৭১৬-১৭১৮)
ঐতিহাসিক যুগজলদস্যুতার স্বর্ণযুগ
• প্রতিষ্ঠা
১৭০৬
• অবলুপ্তি
১২ ডিসেম্বর ১৭১৮
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশ
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশ
বর্তমানে যার অংশবাহামা দ্বীপপুঞ্জ[১]
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ[২]

জলদস্যুদের কাজকর্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজ অঞ্চলে বাণিজ্য ও জাহাজ-চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষে নব-নিযুক্ত বাহামা দ্বীপপুঞ্জের রয়্যাল গভর্নর উডেস রজারস ১৭১৮ সালে নাসাউতে আসেন এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপিত করেন। রজারস নিজে ছিলেন এক প্রাক্তন প্রাইভেটিয়ার। তিনি বাহামার জলদস্যুদের কাছে ক্ষমা প্রস্তাব করেন, যা "রাজার ক্ষমাপ্রদান" নামে পরিচিত। অনেক জলদস্যুই এই ক্ষমাপ্রস্তাবের সুবিধা গ্রহণ করেন। যদিও অল্প কয়েকজন পরবর্তী বছরগুলিতে জলদস্যুবৃত্তিতে ফিরে গিয়েছিল, তবুও বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ নিরাপদ হয়েছিল।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৬৯৬ সালে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে জলদস্যুতার যুগের সূত্রপাত ঘটে। সেই বছর প্রাইভেটিয়ার হেনরি অ্যাভারি ইন্ডিয়ান বাণিজ্যতরী লুণ্ঠনের সামগ্রীতে ভর্তি তাঁর জাহাজ ফ্যান্সি-কে নিয়ে নাসাউ পোতাশ্রয়ে উপস্থিত হন। অ্যাভারি গভর্নর নিকোলাস ট্রটকে সোনা, রূপা এবং ৫০ টন হাতির দাঁত ও ১০০ ব্যারেল গানপাউডারে পূর্ণ ফ্যান্সি জাহাজটি ঘুষ দেন।[১] এইভাবে নাসাউতে জলদস্যুদের নিরাপদে কাজ চালানোর একটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও বিভিন্ন গভর্নর নিয়মিতভাবে জলদস্যুতা দমনের এক প্রদর্শনীর আয়োজন করতেন।[৩] যদিও গভর্নরেরা আইনত তখনও দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তবুও জলদস্যুরা উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।[১]

১৭০৩ সালে এবং তারপর ১৭০৬ সালে আবার এক যৌথ ফরাসি-স্পেনীয় নৌবহর নাসাউ আক্রমণ করলে প্রকৃত জলদস্যু নিয়ন্ত্রণের যুগের সূত্রপাত ঘটে। এই সময় এই দ্বীপের অধিকাংশ ঔপনিবেশিক কার্যকরীভাবে দ্বীপটি ত্যাগ করেন এবং সেখানে কোনও ইংরেজ সরকার ব্যবস্থারই অস্তিত্ব থাকে না।[১] এরপর ইংরেজ প্রাইভেটিয়াররা নাসাউ দখল নেন এবং কালক্রমে তাঁরা সম্পূর্ণতই দুর্বৃত্তে পরিণত হন। জলদস্যুরা ফরাসি ও স্পেনীয় জাহাজ আক্রমণ করত, অন্যদিকে ফরাসী ও স্পেনীয় বাহিনীও বেশ কয়েকবার নাসাউ অগ্নিদগ্ধ করেছিল। জলদস্যুরা নাসাউতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং মূলত নিজস্ব গভর্নরদের শাসনে নিজস্ব প্রজাতন্ত্র স্থাপন করেছিল। ১৭১৩ সালের মধ্যে স্পেনীয় উত্তরাধিকারের যুদ্ধ সমাপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ প্রাইভেটিয়ারের কাছে সেই সংবাদ পৌঁছাতে দেরি হয় বা তাঁরা সেই সংবাদ স্বীকার করতে অস্বীকৃত হন এবং সেই কারণে জলদস্যুতার দিকেই ঝুঁকে পড়েন। এর ফলে কর্মহীন প্রাইভেটিয়াররা দলে দলে নিউ প্রভিডেন্সে এসে উপস্থিত হয়ে প্রজাতন্ত্রে যোগ দেন এবং তাঁদের সংখ্যা বহু গুণ বৃদ্ধি পায়। প্রজাতন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করতেন পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বিখ্যাত জলদস্যু - বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ডহেনরি জেনিংস। হর্নিগোল্ড ছিলেন বিখ্যাত এডওয়ার্ড টিচ ("ব্ল্যাকবিয়ার্ড" নামে পরিচিত) এবং সেই সঙ্গে স্যাম বেলামিস্টিড বনেটের মতো জলদস্যুদের গুরুস্থানীয়। অন্যদিকে জেনিংস ছিলেন চার্লস ভেন, "ক্যালিকো" জ্যাক র‍্যাকহ্যাম, অ্যানি বনিমেরি রিডের গুরুস্থানীয়। দুই দস্যুনেতার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও জলদস্যুরা ফ্লাইং গ্যাং নামে এক সংগঠনের অধীনে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করেছিল, যা দ্রুত তাদের লুটতরাজের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল। বারমুডার গভর্নর বলেছিলেন যে, সেই সময় নাসাউতে এক হাজারেরও বেশি জলদস্যু ছিল এবং শহরের জনসংখ্যা বড়ো জোর ১০০ হওয়ায় তাদের সহজের হঠিয়ে দিয়েছিল জলদস্যুরা। নাসাউর জলদস্যুরা ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ভোট দিয়ে তাদের ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচিত করে, যাতে তিনি তাদের প্রজাতন্ত্রকে নেতৃত্ব দিতে এবং যেমন সুবিধা তেমনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন।

জলদস্যু টমাস বারো ঘোষণা করেন যে, "তিনি হলেন প্রভিডেন্সের গভর্নর এবং এটিকে তিনি দ্বিতীয় ম্যাডাগাস্কারে পরিণত করবেন[।] তিনি চেয়েছিলেন জামাইকা থেকে পাঁচশো কি ছয়শো লোককে প্রভিডেন্সের উপনিবেশে স্লুপ নামে এক মাস্তুলের ছোটো পাল-তোলা জাহাজে করে নিয়ে আসতে এবং ফরাসি ও স্পেনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও চান; কিন্তু ইংরেজরা প্রথমে তাঁকে আক্রমণ না করলে তিনি তাদের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাইছিলেন না।"[৪] প্রথম দিকে জলদস্যুরা ব্রিটিশ জাহাজ আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এইটুকু বাঁধা উঠে যায় এবং জলদস্যুদের সুদিনের সময় তারা জাহাজের ছোটো বহর নিয়ে যেত যাতে তারা রাজকীয় সেনাবাহিনীর ফ্রিগেটগুলিকে দখল করতে পারে। জলদস্যুরা যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি চালায় তাতে তাদের ধ্বংস করার দাবি উঠতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত রাজা প্রথম জর্জ জলদস্যুদের দমন করতে উডেস রজারসকে বাহামার গভর্নর করে প্রেরণ করেন।[৫][৬][৭][৮] তিনি প্রস্তাব করেন যে আত্মসমর্পণকারী সকল জলদস্যুকে ক্ষমা করা হবে[৯]

প্রজাতন্ত্রের পরিসমাপ্তি সম্পাদনা

রাজার ক্ষমার সংবাদ প্রথমে আসে বারমুডা থেকে।[১০] এইচএমএস ফিনিক্স-এর ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট পিয়ারস তারপর এই বার্তা নিয়ে যান।[১১] সেই বার্তা শুনে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।[১০] যারা ক্ষমাপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তাদের কয়েকজন ছিল জেকবপন্থী[১২] পিয়ারস নিউ প্রভিডেন্সে ক্ষমাগ্রহণে ইচ্ছুক ২০৯ জন জলদস্যুর একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। তবে এই সংখ্যা দ্বীপের মোট জলদস্যুর সংখ্যার অর্ধেকেরও কম।[১২]

১৭১৮ সালে রজারস নাসাউতে আসেন বেশ কয়েকটি জাহাজের একটি নৌবহর নিয়ে। সঙ্গে করে আনেন রাজার ক্ষমাপ্রদানের আজ্ঞাপত্র। প্রস্তাব যারা গ্রহণ করেছিলেন, তাদের অন্যতম ছিলেন বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড। এক চতুর চালে রজারস হর্নিগোল্ডকে নিযুক্ত করেন আত্মসমর্পণ ও রাজার প্রদত্ত ক্ষমা গ্রহণে অনিচ্ছুক জলদস্যুদের তাড়া করে বন্দী করার কাজে। হর্নিগোল্ড নিজেও ছিলেন প্রাক্তন প্রাইভেটিয়ার। তিনি বুঝেছিলেন যে তাকে কী করতে বলা হচ্ছে। তিনি সাগ্রহে তার প্রাক্তন সঙ্গীদের তাড়া করেন। চার্লস ভেন ও ব্ল্যাকবিয়ার্ডের মতো জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, হর্নিগোল্ড দশ জন জলদস্যুকে বন্দী করেছিলেন এবং ১৭১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে তাদের মধ্যে নয় জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এর ফলে বাহামায় জলদস্যুদের প্রজাতন্ত্রের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপিত হয়। যে সকল জলদস্যু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা ক্যারিবিয়ানের অন্যত্র জলদস্যুতা বজায় রাখেন। যে সময় এই জলদস্যুরা সক্রিয় ছিলেন তাকেই বলা হয় জলদস্যুতার স্বর্ণযুগ।

আচরণবিধি সম্পাদনা

'জলদস্যু কোড' নামে পরিচিত এক আচরণবিধির মাধ্যমে জলদস্যুরা নিজেদের কাজকর্ম চালাত। এই আচরণবিধিই ছিল নিউ প্রভিডেন্স শাসনের উপর তাদের দাবির ভিত্তি, যা একধরনের প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলেছিল।[১৩] এই আচরণবিধি অনুযায়ী, জলদস্যুরা তাদের জাহাজগুলি গণতান্ত্রিক উপায়ে চালাত, লুটের মাল সমান ভাগে বণ্টন করে নিত এবং প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরাসরি তাদের ক্যাপ্টেনকে নির্বাচন বা তাঁর বিরোধিতা করত।[১৪] অনেক জলদস্যু ছিল রানি অ্যানির যুদ্ধের শেষে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রাইভেটিয়ার এবং মার্চেন্টনৌবাহিনীর জাহাজের শর্তাবলির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা প্রাক্তন নাবিক। আফ্রিকানরা নাবিকদলে সম-সংখ্যক সদস্যের হতে পারত এবং বেশ কয়েকজন মিশ্র ইউরোপীয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জলদস্যুদের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন। কোনও কোনও জলদস্যু ছিলেন জেকবপন্থী। তাঁরা জলদস্যুতার পথে এসেছিলেন সেই যুগে সিংহাসনচ্যূত স্টুয়ার্ট রাজবংশকে সিংহাসনে পুনঃস্থাপনে সাহায্য করার জন্য। আবার অ্যানি বনিমেরি রিডের মতো অল্প কয়েকজন নারীও জলদস্যু হয়েছিলেন।[১৫]

নাসাউর জলদস্যু সম্পাদনা

ক্যাপ্টেন পিয়ারসের তালিকায় রাজার ক্ষমাপ্রদান গ্রহণে ইচ্ছুক জলদস্যুদের নাম সম্পাদনা

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে সম্পাদনা

অ্যাসাসিন'স ক্রিড ৪: ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ-এ দেখা যায়, জলদস্যুতার স্বর্ণযুগে কাল্পনিক চরিত্র এডওয়ার্ড কেনওয়ে নাসাউ-র নিয়ন্ত্রণ দখলে এবং সেখানে অন্যান্য প্রধান জলদস্যুদের সঙ্গে জলদস্যু প্রজাতন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করছেন।[১৭][১৮]

ব্ল্যাক সেইলস নামক টেলিভিশন ধারাবাহিকটি প্রধানত ইতিহাস এবং নাসাউ-র অধিবাসী বিখ্যাত ঐতিহাসিক জলদস্যুদের জীবন অবলম্বনে নির্মিত হয়। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় অনেক চরিত্রেরই উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে নাসাউ-তে একটি প্রকৃত "জলদস্যু প্রজাতন্ত্র" স্থাপনের মধ্যে।[১৯]

নেটফ্লিক্স লিমিটেডের ধারাবাহিক দ্য লস্ট পাইরেট কিংডম-এরও (২০২১) ভিত্তি হল জলদস্যু প্রজাতন্ত্র এবং সেই সঙ্গে বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড, স্যাম বেলামি, হেনরি জেনিংসব্ল্যাকবিয়ার্ড সহ ফ্লাইং গ্যাং-এর সদস্যদের অভিযান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনাবলি।

২০২২ সালে এইচবিও ম্যাক্স ধারাবাহিক আওয়ার ফ্ল্যাগ মিনস ডেথ-এর তৃতীয় পর্ব "আ জেন্টলম্যান পাইরেট"-এ জলদস্যু প্রজাতন্ত্রটিকে দেখানো হয়েছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Woodard, Colin (২০০৮-০৫-১২)। The Republic of Pirates: Being the True and Surprising Story of the Caribbean Pirates and the Man Who Brought Them Down (ইংরেজি ভাষায়)। Houghton Mifflin Harcourt। আইএসবিএন 978-0-547-41575-8 
  2. "History of Pirates on the Islands of Turks and Caicos"TCVilas.com 
  3. Kazerooni, Bijan (২৬ এপ্রিল ২০১৮)। ""All this Shim-Sham Story of Pyrates is an Impudent Libel upon Great Men": The Suppression of Pirates and the Suppression of Dissent in Walpolean Britain"Voces Novae8 (1)। 
  4. Headlam, Cecil (১৯৩০)। America and West Indies: July 1716 | British History Online (ইংরেজি ভাষায়) (Vol 29 সংস্করণ)। London: His Majesty's Stationery Office। পৃষ্ঠা 139–159। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  5. Woodard 2007, পৃ. 166।
  6. Woodard 2007, পৃ. 167।
  7. Woodard 2007, পৃ. 168।
  8. Woodard 2007, পৃ. 262-314।
  9. Brigham, Clarence (১৯১১)। British Royal Proclamations Relating to America 1603–1783। Worcester, Massachusetts: American Antiquarian Society। পৃষ্ঠা 176–180। 
  10. Woodard 2007, পৃ. 228।
  11. Woodard, Colin (২০১৪)। The Republic of PiratesPan Macmillanআইএসবিএন 978-1-44-724608-4On... February 23, the Phoenix arrived 
  12. Fox, Edward T. (২০১০)। "Jacobitism and the "Golden Age" of Piracy, 1715-1725"International Journal of Maritime History22 (2): 277–303। এসটুসিআইডি 162372700ডিওআই:10.1177/084387141002200212। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২১ 
  13. Ciferri, Alberto (৯ আগস্ট ২০১৯)। An Overview of Historical and Socio-economic Evolution in the Americas। Cambridge Scholars Publishing। আইএসবিএন 978-1-5275-3821-4 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  14. Leeson, Peter T. (৩১ মার্চ ২০০৯)। The Invisible Hook। Princeton University Press। আইএসবিএন 978-1-4008-2986-6ডিওআই:10.1515/9781400829866/html – www.degruyter.com-এর মাধ্যমে। 
  15. Schulte, R. (2016). “But of Their Own Free-Will and Consent”: Anne Bonny, Mary Read, and the Women Pirates in the Early Modern Times. Armstrong Undergraduate Journal of History, 6(1), 13-28.
  16. Brooks, Baylus C. (২০১৫–২০১৭)। "Vincent Pearse to Admiralty—3 Jun 1718"baylusbrooks.com। Baylus C. Brooks। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২১ 
  17. Carter, Justin (১৯ অক্টোবর ২০১৫)। "Here's the Entire Assassin's Creed Story So Far"TwinFinite। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৮ 
  18. Kulcsár, Lili (জানুয়ারি ২০১৮)। "Introduction"। Linguistic Representation of Ethnicities in Assassin's Creed: Black Flag (PDF)University of Jyväskylä। পৃষ্ঠা 7। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৮ 
  19. The Truth Behind the Black Sails Saga, Islandztours.com : http://islandztours.com/truth-behind-black-sails-saga/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-০৮-১০ তারিখে

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা