জর্জ ডব্লিউ. বুশ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম রাষ্ট্রপতি
(জর্জ ওয়াকার বুশ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জর্জ ওয়াকার বুশ (ইংরেজি: George W. Bush; জন্ম: জুলাই ৬, ১৯৪৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম রাষ্ট্রপতি যিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০০ ও ২০০৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এর আগে তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ৪৬তম প্রশাসক বা গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জর্জ ওয়াকার বুশ
৪৩তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
২০ জানুয়ারি, ২০০১ – ২০ জানুয়ারি, ২০০৯
উপরাষ্ট্রপতিডিক চেনি
পূর্বসূরীবিল ক্লিনটন
উত্তরসূরীবারাক ওবামা
৪৬তম টেক্সাসের গভর্নর
কাজের মেয়াদ
জানুয়ারি ১৭ ১৯৯৫ – ডিসেম্বর ২১ ২০০০
লেফটেন্যান্টবব বুলক (১৯৯৫-১৯৯৯)
রিক পেরি (১৯৯৯-২০০০)
পূর্বসূরীঅ্যান রিচার্ডস
উত্তরসূরীরিক পেরি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মজুলাই ৬, ১৯৪৬
নিউ হ্যাভেন, কানেক্টিকাট
রাজনৈতিক দলরিপাবলিকান
দাম্পত্য সঙ্গীলরা বুশ (স্ত্রী)
বাসস্থানক্রফোর্ড, টেক্সাস
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল
পেশাব্যবসায়ী (তেল, বেসবল)
ধর্মইউনাইটেড মেথডিস্ট
স্বাক্ষর

বুশ যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম রাষ্ট্রপতি জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার বুশের বড় ছেলে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে উচ্চশিক্ষা অধ্যয়ন সমাপ্ত করে বুশ পারিবারিক খনিজ তেলের ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৭৭ সালে স্ত্রী লরা ওয়েলচ্‌কে বিয়ে করেন এবং ১৯৭৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীকালে টেক্সাস রেঞ্জার্স বেসবল দলের যৌথ মালিকানা ভোগ করেন এবং টেক্সাসের গভর্নরের জন্য প্রচারণায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৪ সালে তিনি অ্যান রিচার্ডসকে পরাজিত করে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি ও ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী আল গোরের বিরুদ্ধে এক বিতর্কিত বিজয় অর্জন করেন। দেশব্যাপী গণভোটে সর্বোচ্চ ভোট না পেলেও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে ১৩০ কোটি ডলার কর মওকুফ করেন এবং "কোন শিশু আইনের বাইরে থাকবে না" শীর্ষক আইন প্রণয়ন করে বিশেষ আলোচিত হন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর ১১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্স্ত হওয়ার পর তিনি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তারের তালেবান সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেদেশে আগ্রাসন চালান। মূল উদ্দেশ্য ছিল আল কায়েদা ধ্বংস করে ওসামা বিন লাদেনকে আটক করা। ২০০৩ সালের মার্চ মাসে বুশ ইরাক দখলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন সেদেশে অবৈধ গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ঘোষণা ১৪৪১-এর পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অজুহাত দেখিয়ে ইরাক দখল করলেও সেখানে কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তার ঘোষণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

নিজেকে তিনি "যুদ্ধ রাষ্ট্রপতি" অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। ইরাক যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে অনেকটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ২০০৪ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ইরাক যুদ্ধ বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার স্বীকার হলেও তিনি প্রতিপক্ষ জন কেরির প্রচারণাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে সক্ষম হন। এই নির্বাচনের পর বুশের কঠোর সমালোচনা হতে থাকে। ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরপর যেখানে বুশের পক্ষে জনগণের অবস্থান ছিল শতকরা ৯০ ভাগ সেখানে ২০০৭ সালের জুন মাসের হিসাবে তা শতকরা ২৬ ভাগে নেমে এসেছে। বিগত ৩৫ বছরে কোন মার্কিন রাষ্ট্রপতির জন্য এটিই সর্বনিম্ন। এর আগে হ্যারি ট্রুম্যান এবং রিচার্ড নিক্সন এর চেয়ে কম স্কোর করেছিলেন।

বাল্য জীবন থেকে মধ্য বয়স সম্পাদনা

 
১৯৯০ সালে দুই মেয়ে জেনা এবং বারবারাকে নিয়ে জর্জ বুশ এবং লরা বুশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হ্যাভেরে জন্মগ্রহণকারী জর্জ বুশ ছিলেন জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ এবং বারবারা বুশের জ্যেষ্ঠ্য সন্তান। চার ভাই-বোনের সাথে টেক্সাসের মিডল্যান্ড এবং হাউসটনে তার শৈশব-কৈশোর কাটে। তার ভাই-বোনদের নাম হল, জেব, নেইল, মারভিন এবং ডরোথি। তার রবিন নামের আরেকটি ছোট বোন ছিল যে ১৯৫৩ সালে লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বুশের দাদা প্রেসকট বুশ কানেক্টিকাট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার বাবা ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিল। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন পিয়ার্সসহ আরও কয়েকজন রাষ্ট্রপতির সাথে দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ।

বাল্য জীবনে বুশ ম্যাসাচুসেটসের অ্যানডোভারে অবস্থিত ফিলিপ অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেন। সেখানে নিয়মিত বেসবল খেলতেন এবং সিনিয়র থাকা অবস্থায় সেখানকার অল-বয়েজ স্কুল বেসবল দলের চিয়ারলিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বুশ পরবর্তিতে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এখান থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। কলেজে সিনিয়র থাকাকালে বুশ স্কাল অ্যান্ড বোন সোসাইটি নামক একটি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। ছাত্র হিসেবে তিনি মধ্যম মানের ছিলেন।

১৯৬৮ সালের মে মাসে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালে এর বিশেষ গুরুত্ব বিবেচনায় অতিরিক্ত সেনা সদস্য ভর্তি করা হচ্ছিল। পাইলটদের অ্যাপটিচুড পরীক্ষার সর্বনিম্ন মানের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও বুশকে টেক্সাস এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে ভর্তি করে নেয়া হয়। সর্বনিম্ন শতকরা ২৫ ভাগ নম্বর গ্রহণযোগ্য ছিল। তখন ১০ হাজারেরও বেশি এয়ার ন্যাশনাল গার্ড এবং জঙ্গী বৈমানিকদেরকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল। এদের অনেককেই ভিয়েতনামে প্রেরিত সৈন্যবাহিনীর বিকল্প হিসেবে মজুদ রাখা হয়েছিল। প্রশিক্ষণের পর বুশকে হাউজটনে দায়িত্ব দেয়া হয়। এলিংটন বিমান বাহিনী ঘাঁটির বাইরে করভেয়ার ১০২ বিমান চালনার মাধ্যমে সেখানে নিরাপত্তা বজায় রাখতে হতো। সমালোচনা করা হয়েছিল বাবার বিশেষ রাজনৈতিক পদমর্যাদার কারণে নিয়মিত উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও বুশকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ টেক্সাসের এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে রাখা বুশের সকল নথিপত্র নিজস্ব আর্কাইভে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

 
ন্যাশনাল গার্ডে লেফটেনেন্ট জর্জ বুশ

১৯৭২ সালে বুশ নিজের ইচ্ছায় আলবামা এয়ার ন্যাশনাল গার্ডে বদলি হয়ে যান। উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার একটি রিপাবলিকান সিনেট প্রচারণা অংশ নেয়া। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে তাকে টেক্সাস এয়ার ন্যাশনাল গার্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে তার ছয় বছর ব্যাপী সার্ভিস অবলিগেশন সম্পন্ন করেন। এ সময়ে বেশ কিছু বিষয়ে তিনি অনিয়ম করেছেন এবং কয়েকটি সুবিধার অপব্যবহার করেছেন বলে প্রমাণ রয়েছে। এ সময় তিনি এতোটাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন যে তার নিজের ভাষায় এ সময়টি ছিল তার জন্য দায়িত্বজ্ঞানহীন যৌবনের নোমাডীয় যুগ। ১৯৭৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে তাকে মেইনের কেনেবাংকপোর্টে পরিবারের নিজস্ব গ্রীষ্মকালীন আবাস স্থলের নিকট থেকে আটক করা হয়েছিল। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১৫০ ডলার জরিমানা করা হয় এবং ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মেইনে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর বুশ টেক্সাসে পারিবারিক তেল ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৭৭ সালে বন্ধুদের মাধ্যমে তার সাথে লরা ওয়েল্‌চের পরিচয় হয় যে স্কুল শিক্ষক এবং গ্রন্থাগারিক ছিল। তারা বিয়ে করে টেক্সাসের মিডল্যান্ডে আবাস স্থাপন। বুশ নিজ পরিবারের এপিস্কোপাল চার্চ পরিত্যাগ করে স্ত্রীর ইউনাইটেড মেথডিস্ট চার্চে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে তিনি টেক্সাসের ১৯তম কংগ্রেশনাল জেলা থেকে হাউজ অফ রিপ্রেসেনটিটিভ্‌সের জন্য প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্ট হ্যান্স টেক্সাসের গ্রামবাসীদে সাথে বুশের কোন সম্পর্ক নেই বলে অভিযুক্ত করেন। বুশ ৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। আবার তেল ব্যবসায় ফিরে যান, কয়েকটি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার এবং সিনিয়র অংশীদারের দায়িত্ব পান। এর মধ্যে রয়েছে আরবুস্টো এনার্জি, স্পেকট্রাম ৭ এবং পরবর্তিতে হারকেন এনার্জি। তার ব্যবসায়িক উদ্যোগে শীঘ্রই অখাল আসে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় ১৯৮০'র দশকে তেল কারখানা এবং আঞ্চলিক অর্থনীতি বিশেষভাবে আক্রান্ত হয়। সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তদন্ত থেকে জানা যায়, হারকেন এনার্জির অভ্যন্তরস্থ কোন ব্যক্তি এর সাথে সংশ্লিষ্ট। অবশেষে বুশ বলেন, একটি বিষয় নিশ্চিত করার জন্য তার স্টক বিক্রী ঞ।ঔয়ার আগে তিনি কোম্পানির ভিতরের এ ধরনের কোন ব্যক্তি সম্বন্ধে যথেষ্ট তথ্য জানতেন না।

১৯৮৮ সালে বাবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণায় সহায়তা করার জন্য বুশ পরিবারের সাথে ওয়াশিংটন ডি সি-তে চলে যান। প্রচারণাকাজ শেষে টেক্সাসে ফিরি গিয়ে ১৯৮৯ সালের এপ্রিল মাসে টেক্সাস রেঞ্জার্‌স বেসবল ফ্রাঞ্চাইজের একটি শেয়ার ক্রয় করেন। চাঁচ বছর এই দলের অংশীদারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ছিলেন। বুশ প্রখ্যাত বেসবল খেলোয়াড় স্যামি সোসার উপর নির্ভর করে তার ব্যবসা নিয়ে বেশ উচ্চাকাংখী হয়ে উঠেন। সোসা শিকাগো কাবে খেলে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। দলের কাজে তিনি খুবই সক্রিয় ছিলেন এবং খেলার সময় উন্মুক্ত গ্যালারিতে দর্শকদের সাথে বসতেই পছন্দ করতেন। বুশ প্রথমে বিনিয়োগ করেছিলেন ৮০০০,০০০ মার্কিন ডলার। শেয়ার বিক্রী করে অচিরেই ১৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেন।

বাবার নামের সাথে পার্থক্য করার জন্য বুশকে মাঝেমাঝে জর্জ বুশ জুনিয়র নামে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু বাবা এবং ছেলের নাম আসলে এক নয়। বাবার নাম জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার বুশ, আর ছেলের নাম জর্জ ওয়াকার বুশ। তাই বুশের নামের সাথে জুনিয়র যোগ করাটা সঠিক নয়। তার অন্য একটি ডাক নাম "ডুবিয়া"। এই শব্দটি আসলে তার মধ্য নামে উপস্থিত ডব্লিউ বর্ণের পূর্ণ রূপ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে প্রচলিত। এটি দ্বারাও বাবার সাথে তার নামের পার্থক্য করা যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক সময় তাকে "বুশ ৪৩" এবং তার বাবাকে "বুশ ৪১" নামে ডাকা হয়।

নির্বাচিত পদসমূহ সম্পাদনা

টেক্সাসের গভর্নর সম্পাদনা

বুশ ১৯৯৪ সালে টেক্সাসের গভর্নর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। তার ভাই জেব ফ্লোরিডার গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতার জন্য নাম ঘোষণা করেছিল। খুব সহজেই বুশ প্রাথমিক রিপাবলিকান মনোনয়ন পেয়ে যান। এর পর তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় তৎকালীন গভর্নর অ্যান রিচার্ডসের সাথে। অ্যান রিচার্ডস একজন জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাট এবং এই নির্বাচনের জন্য ফেভারিট বিবেচিত হয়েছিলেন। বুশ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক উপদেষ্টার সহায়তা পান যাদের মধ্যে রয়েছেন ক্যারেন হিউস, জন আলবাউ এবং কার্ল রোভ। অ্যান রিচার্ডসকে অপদস্থ করার মাধ্যমে নেতিবাচক রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অনেকেই বুশের সমালোচনা করেন। কিন্তু একটি রাজনৈতিক বিতর্কে আশাতীত সাফল্য লাভ করায় অচিরেই বুশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নির্বাচনে বুশ শতকরা ৫২ ভাগ এবং রিচার্ডস ৪৭ ভাগ ভোট পান।

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থিতা ২০০০ সম্পাদনা

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থিতা ২০০৪ সম্পাদনা

রাষ্ট্রপতি জীবন সম্পাদনা

সমালোচনা সম্পাদনা

২০০১ সালের সেপ্টেম্বর ১১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিধ্স্ত হওয়ার পর তিনি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তারের তালেবান সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেদেশে আগ্রাসন চালান। মূল উদ্দেশ্য ছিল আল কায়েদা ধ্বংস করে ওসামা বিন লাদেনকে আটক করা। ২০০৩ সালের মার্চ মাসে বুশ ইরাক দখলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন সেদেশে অবৈধ গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ঘোষণা ১৪৪১-এর পরিপন্থী। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অজুহাত দেখিয়ে ইরাক দখল করলেও সেখানে কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তার ঘোষণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

পূর্বসূরী:
বিল ক্লিনটন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি
জানুয়ারি ২০, ২০০১- বর্তমান
উত্তরসূরী:
বারাক ওবামা