জয়ন্তশ্রী বালাকৃষ্ণন

ড. জয়ন্তশ্রী বালাকৃষ্ণন হলেন ভারতের একজন শিক্ষাবিদ। তিনি বর্তমানে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের পিএসজি কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সে একজন জনবক্তা হিসেবে কাজ করছেন। পূর্বে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন।

জয়ন্তশ্রী বালাকৃষ্ণন
ஜெயந்தஸ்ரீ பாலகிருஷ்ணன்
জন্ম (1987-11-29) ২৯ নভেম্বর ১৯৮৭ (বয়স ৩৬)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাশিক্ষাবিদ

শিক্ষা সম্পাদনা

ড. জয়ন্তশ্রী বালাকৃষ্ণন একজন শিক্ষাবিদ হিসাবে শিক্ষার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের মনোভাবের উন্নতি ও সামাজিক বিকাশ ঘটাতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষদের তাদের সম্ভাবনা এবং স্বতন্ত্রতা উপলব্ধি করাতে সহায়তা করা তাঁর প্রধান চিন্তা; এটি তাঁর অনুপ্রেরণামূলক আলোচনায় গভীর মাত্রা এবং পার্থক্য যুক্ত করে। ড. জয়ন্তশ্রী বালাকৃষ্ণন তাঁর ৩৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে কোয়েম্বাটুরের পিএসজি কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন; এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করার পূর্বে তিনি এখান থেকেই তাঁর শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তিনি ডাবল ডক্টরেট অর্থাৎ দুটি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, একটি ১৯৯৮ সালে পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি ভাষায় এবং দ্বিতীয়টি ২০০৯ সালে ভারতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তামিল ভাষায় অর্জন করেছেন। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি ইংরেজি এবং তামিল উভয় বিভাগে পিএইচডি করার জন্য ভারতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিবন্ধন করেছেন। তিনি ইংলিশ রেন্ডারিংস অফ কুরুনতোকাই বিষয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন, যা তামিল পাঠ্য কুরুনতোকাই অনুবাদ করার সমস্যার সাথে সম্পর্কিত ছিল। তামিল ভাষায় ডক্টরেট করার জন্য, তিনি তামিল লেখক জয়কান্তনের উপন্যাসগুলির ওপর তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ জমা দিয়েছিলেন।[১]

পেশা সম্পাদনা

তিনি বেশ কয়েকটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন সংস্থান ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করেন। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, লেখক, কবি, নারীবাদী ব্যক্তিত্ব এবং অনুবাদক।[২] তিনি সাহিত্য তত্ত্ব, থিয়েটার এবং নাটকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন।[৩][৪][৫] পড়াশোনার বিষয়ে তাঁর আলাদা চিন্তাভাবনার জন্য তাঁকে দ্য হিন্দুর "সপ্তাহের সেরা ব্যক্তিত্ব" উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। তিনি বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ছাড়াও কালাইঙ্গার টিভিতে মানাধিল উরুধি ভেন্ডম নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন।[৬][৭]

পুরস্কার সম্পাদনা

মহীশূরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ক্লাসিকাল তামিলের একজন প্রধান সম্পাদক হিসাবে বেশ কয়েকদিন কাজ করার পরে, তিনি কালজয়ী উচ্চশ্রেণীর তামিল উপন্যাস, কুরুনতোকাই কে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। তিনি স্বল্প সময়ের জন্য দিসাইগাল নামক একটি তামিল পত্রিকায় একজন উপ-সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন। জনপ্রিয় তামিল পত্রিকা আনন্দ ভিকাতন দ্বারা পরিচালিত একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায়, তিনি তামিল লেখক সুজাতার হাত থেকে "সেরা ছোট গল্প লেখক" বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি লেখক জয়কান্তনের উপর অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি তাঁর ছোট গল্পের সংগ্রহ মাজহাইভাল মণিধরগল (রামধনুর পুরুষ) এবং মৌনা ইরিচাল নামে সংকলন প্রকাশ করেছেন। অনুবাদক হিসাবে, তিনি আইনকুনুরুর কয়েকটি নির্বাচিত কবিতা এবং ভারতী, কল্যাণজি ইত্যাদি অনুবাদ করেছেন।[৮][৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "jaynthasri balakrishnan researches"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  2. "Woman is empowered when society changes its attitude"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  3. "on gandhi"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  4. "எழுத்து என்பது ஆடம்பரமானது"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৫ 
  5. "சாகித்திய அகாதெமி அருட்செல்வர் டாக்டர் நா. மகாலிங்கம் மொழிபெயர்ப்பு மையமும்"। ২০১৭-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৫ 
  6. "மனதில் உறுதி வேண்டும்"। ২০২০-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  7. "'Teachers have a great role in grooming children"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  8. "jayanthasri translations"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 
  9. "the chain of absolutes"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা