জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বারুইপুর মহকুমার একটি ব্লক

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর মহকুমার একটি প্রশাসনিক বিভাগ

জয়নগর ১
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
মানচিত্র
জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মানচিত্র
জয়নগর ১ পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
জয়নগর ১
জয়নগর ১
জয়নগর ১ ভারত-এ অবস্থিত
জয়নগর ১
জয়নগর ১
পশ্চিমবঙ্গে জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অবস্থান##ভারতে জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°১০′৩১″ উত্তর ৮৮°২৫′১২″ পূর্ব / ২২.১৭৫১৯৬৫° উত্তর ৮৮.৪২০০৭৬২° পূর্ব / 22.1751965; 88.4200762
দেশ ভারত
রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
জেলাদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা
মহকুমাবারুইপুর মহকুমা
আয়তন
 • মোট১৩১.০১ বর্গকিমি (৫০.৫৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা৮ মিটার (২৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২,৬৩,১৫১
 • জনঘনত্ব২,০০০/বর্গকিমি (৫,২০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা[১][২]
 • অতিরিক্ত সরকারিইংরেজি[১]
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫.৩০)
পিন কোড৭৪৩৩৩৭,৭৪৩৩৭২
টেলিফোন কোড+৯১ ৩২১৮
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯
লোকসভা কেন্দ্রজয়নগর (তফসিলি জাতি), যাদবপুর
বিধানসভা কেন্দ্রজয়নগর (তফসিলি জাতি), বারুইপুর পূর্ব (তফসিলি জাতি)
ওয়েবসাইটwww.s24pgs.gov.in

ইতিহাস সম্পাদনা

ধোসাতিলপি হল জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।[৩]

ভূগোল সম্পাদনা

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অবস্থান ২২°১০′৩১″ উত্তর ৮৮°২৫′১২″ পূর্ব / ২২.১৭৫১৯৬৫° উত্তর ৮৮.৪২০০৭৬২° পূর্ব / 22.1751965; 88.4200762। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই এলাকার গড় উচ্চতা ৮ মিটার (২৬ ফু)।

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উত্তর দিকের একাংশে বারুইপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, উত্তর দিকের অপর অংশে ও পূর্ব দিকের একাংশে ক্যানিং ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, পূর্ব দিকের অপর অংশে কুলতলি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দক্ষিণ দিকে জয়নগর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পশ্চিম দিকে মগরাহাট ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অবস্থিত।[৪][৫]

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ১৩১.০১ কিমি (৫০.৫৮ মা)। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জেলা পরিসংখ্যান হ্যান্ডবুক অনুযায়ী, ব্লকটি গঠিত হয়েছে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১২৯টি গ্রাম সংসদ, ৭২টি মৌজা ও ৭০টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম নিয়ে। সমগ্র ব্লকটি জয়নগর থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে পড়ে।[৬] ব্লকের সদর বহড়ুতে অবস্থিত।[৭]

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক/পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: বহড়ু ক্ষেত্র, বামনগাছি, চালতাবেড়িয়া, দক্ষিণ বারাসাত, ধোসা চন্দনেশ্বর, হরিনারায়ণপুর, জঙ্গলিয়া, খাকুরদহ, নারায়ণীতলা, রাজপুর কোরাবাগ, শ্রীপুরউত্তর দুর্গাপুর[৮]

জনপরিসংখ্যান সম্পাদনা

জনসংখ্যা সম্পাদনা

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ২৬৩,১৫১, যার মধ্যে ২১৬,৮২৯ জন গ্রামবাসী এবং ৪৬,৩২২ জন শহরবাসী। ব্লকের মোট পুরুষ জনসংখ্যা ১৩৪,৯৬৬ (৫১ শতাংশ) এবং মহিলা জনসংখ্যা ১২৮,১৮৫ (৪৯ শতাংশ)। অনূর্ধ্ব ছয় বছর বয়সীদের মোট সংখ্যা ৩৬,২৯৩। তফসিলি জাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ১০২,৬৪৫ (৩৯.০১ শতাংশ) এবং তফসিলি উপজাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ৮০ (০.০৩ শতাংশ)।[৯]

২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ছিল ২১৯,০০৯, যার মধ্যে ১১৩,২৮৯ জন পুরুষ এবং ১০৫,৭২০ জন মহিলা। ১৯৯১-২০০১ দশকে এই ব্লকের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৮.২১ শতাংশ। উল্লেখ্য, একই দশকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২০.৮৯ শতাংশ ও ১৭.৮৪ শতাংশ। ২০০১ সালে এই ব্লকে তফসিলি জাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৯৪,৮৪৯ (মোট জনসংখ্যার প্রায় প্রায় অর্ধেক) এবং তফসিলি উপজাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ছিল ১,২০৪।[১০][১১][১২]

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত জনগণনা নগরগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনসংখ্যা): রায়নগর (৫,৫৯৩), কালিকাপুর বারাসাত (৬,১০৪), বহড়ু (১৬,১৫৫), উত্তরপারানিজ (৬,৮১০), আলিপুর (৫,৯৩৭) ও উত্তর দুর্গাপুর (৫,৭২৩)।[৯]

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বড়ো গ্রামগুলি (৪,০০০+ জনসংখ্যাবিশিষ্ট) হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনসংখ্যা): বেলেচণ্ডী (২,৫৯৪), সারবেড়িয়া (৩,১৫৪), পদ্মেরহাট (৫,১৮৪), তাজপুর ফতেপুর (৬,১৫৬), রামকৃষ্ণপুর (৪,৪২১), বেলাডাঙা (৪,৭৫৪), হোগলা (২,৭২৩), হরিনারায়ণপুর (৪,০২৫), জঙ্গলিয়া (৬,৩৬৬), শ্রীকৃষ্ণপুর (৫,০৬৪), পূর্ব গাববেড়িয়া (১২,২৮৩), তিলপি (১৩,৩৫০), চরঘাটা (৫,৮৩৭), রাজপুর কোরাবাগ (৭,১৪২), বাঁটরা (১২,৫০৮), কামারিয়া (২৬,৫৭৫) ও গোবিন্দপুর (৪,৮৯০).[৯]

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্যান্য গ্রামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনসংখ্যা): ধোসা (২,৪০১), চন্দনেশ্বর (৩,৩৭৭), খাকুরদহ (৩,৫৪১), নারায়ণীতলা (২,৮৩৯) ও শ্রীপুর (২,৬৬৮).[৯]

সাক্ষরতা সম্পাদনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়
সাক্ষরতার হার
আলিপুর সদর মহকুমা
বিষ্ণুপুর ১ – ৭৮.৩৩%
বিষ্ণুপুর ২ – ৮১.৩৭%
বজবজ ১ – ৮০.৫৭%
বজবজ ২ – ৭৯.১৩%
ঠাকুরপুকুর মহেশতলা – ৮৩.৫৪%
বারুইপুর মহকুমা
বারুইপুর – ৭৬.৪৬%
ভাঙড় ১ – ৭২.০৬%
ভাঙড় ২ – ৭৪.৪৯%
জয়নগর ১ – ৭৩.১৭%
জয়নগর ২ – ৬৯.৭১%
কুলতলি – ৬৯.৩৭%
সোনারপুর – ৭৯.৭০%
ক্যানিং মহকুমা
বাসন্তী – ৬৮.৩২%
ক্যানিং ১ – ৭০.৭৬%
ক্যানিং ২ – ৬৬.৫১%
গোসাবা – ৭৮.৯৮%
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা
ডায়মন্ড হারবার ১ – ৭৫.৭২%
ডায়মন্ড হারবার ২ – ৭৬.৯১%
ফলতা – ৭৭.১৭%
কুলপি – ৭৫.৪৯%
মগরাহাট ১ – ৭৩.৮২%
মগরাহাট ২ – ৭৭.৪১%
মন্দিরবাজার – ৭৫.৮৯%
মথুরাপুর ১ – ৭৩.৯৩%
মথুরাপুর ২ – ৭৭.৭৭%
কাকদ্বীপ মহকুমা
কাকদ্বীপ – ৭৭.৯৩%
নামখানা – ৮৫.৭২
পাথরপ্রতিমা – ৮২.১১%
সাগর – ৮৪.২১%
সূত্র: ২০১১ সালের জনগণনা: সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী
প্রাথমিক জনগণনা সংক্ষিপ্ত তথ্য

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ১৬৫,৯৮৭ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী মোট জনসংখ্যার ৭৩.১৭ শতাংশ), এর মধ্যে সাক্ষর পুরুষের সংখ্যা ৯৩,২২৮ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী মোট পুরুষ জনসংখ্যার ৮০.০৯ শতাংশ) এবং সাক্ষর মহিলার সংখ্যা ৭২,৭৫৯ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী মোট মহিলা জনসংখ্যার ৬৫.৮৭ শতাংশ)। লিঙ্গবৈষম্যের (মহিলা ও পুরুষ সাক্ষরতার হারের পার্থক্য) হার ছিল ১৪.২২ শতাংশ।[৯] উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাক্ষরতার হার ৭৭.৫১ শতাংশ[১৩] এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার ৭৭.০৮ শতাংশ।[১৪] অন্যদিকে ২০১১ সালে সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.০৪ শতাংশ।[১৪]

২০০১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্যূন ছয় বছর বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ছিল ৬৫.৭৭ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ সাক্ষরতার হার ছিল ৭৭.০৭ শতাংশ এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩.৫৭ শতাংশ। ২০০১ সালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাক্ষরতার হার ছিল ৬৯.৪৫ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ সাক্ষরতার হার ছিল ৭৯.১৯ শতাংশ এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯.০১ শতাংশ।[১০]

ধর্মবিশ্বাস সম্পাদনা

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ধর্মবিশ্বাস
হিন্দু
  
৫২.৬৫%
মুসলমান
  
৪৬.৮৬%
অন্যান্য
  
০.৪৯%

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট হিন্দু জনসংখ্যা ১৩৮,৫৪৪ (মোট জনসংখ্যার ৫২.৬৫ শতাংশ), মোট মুসলমান জনসংখ্যা ১২৩,৩০৭ (মোট জনসংখ্যার ৪৬.৮৬ শতাংশ) এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মোট সংখ্যা ১,৩০০ (মোট জনসংখ্যার ০.৪৯ শতাংশ)।[১৫]

গ্রামীণ দারিদ্র্য সম্পাদনা

২০০৯ সালে প্রকাশিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুলতলি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৪৬.৩৬ শতাংশ পরিবার দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করে। সুন্দরবনের জনবসতি অঞ্চলের তেরোটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে সব ক’টিতেই দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থানকারী পরিবারের হার অত্যধিক–৩০ শতাংশেরও বেশি, যার মধ্যে কুলতলি সহ আটটি ব্লকে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে সুন্দরবন অঞ্চল সবচেয়ে অনগ্রসর অঞ্চল। ২০০৫ সালে গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী পরিবারের হার ৩৪.১১ শতাংশ, যা জাতীয় ও রাজ্যের হারের তুলনায় অনেকটাই বেশি।[১৬]

অর্থনীতি সম্পাদনা

জীবিকা সম্পাদনা

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে
জীবিকা

  কৃষক (৮.৬০%)
  কৃষিশ্রমিক (২৫.০৭%)
  কুটিরশিল্পী (৯.৫০%)
  অন্যান্য শ্রমিক (৫৬.৮২%)

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে কৃষকদের সংখ্যা ৭,৬৭৭ (মোট শ্রমজীবীর ৮.৬০ শতাংশ), কৃষিশ্রমিকের সংখ্যা ২২,৩৭৮ (মোট শ্রমজীবীর ২৫.০৭ শতাংশ), কুটিরশিল্পীর সংখ্যা ৮,৪৮২ (মোট শ্রমজীবীর ৯.৫০ শতাংশ) এবং অন্যান্য শ্রমিকের সংখ্যা ৫০,৭১১ (মোট শ্রমজীবীর ৫৬.৮২ শতাংশ)।[১৭] ব্লকে শ্রমজীবী মানুষের মোট সংখ্যা ৮৯,২৪৮ (মোট জনসংখ্যার ৩৩.৯২ শতাংশ) এবং অ-শ্রমজীবীর মোট সংখ্যা ১৭৩,৯০৩ (মোট জনসংখ্যার ৬৬.০৮ শতাংশ)।[১৮]

পরিকাঠামো সম্পাদনা

জেলা জনগণনা হ্যান্ডবুক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ২০১১ অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট ৬৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ১০০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জলের সরবরাহ রয়েছে। ১৭টি গ্রামে (২৬.১৫ শতাংশ) ডাকঘর রয়েছে। ৫৭টি গ্রামে (৮৭.৬৯ শতাংশ) গ্রামে টেলিফোন সংযোগ (ল্যান্ডলাইন, পাবলিক কল অফিস ও মোবাইল ফোন সহ) রয়েছে। ৩৮টি গ্রামে (৫৮.৪৬ শতাংশ) পাকা রাস্তা এবং ২৭টি গ্রামে (৪১.৫৪ শতাংশ) পরিবহণ যোগাযোগ (বাস ও রেল পরিষেবা, নাব্য জলপথ সহ) রয়েছে। ২টি গ্রামে (৩.০৮ শতাংশ) কৃষিঋণ সোসাইটি এবং ৫টি গ্রামে (৭.৬০ শতাংশ) ব্যাংক পরিষেবা সুলভ।[১৯]

কৃষি সম্পাদনা

১৯৪৬ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে তেভাগা আন্দোলনে বৃহত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পরবর্তীকালে কৃষকদের ভূমিসত্ত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে অপারেশন বর্গা শুরু হয়। জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট ৭৩৫.৩৫ একর জমি অধিগৃহীত ও স্থায়ীভাবে স্বত্ত্বারোপিত হয়, এর মধ্যে ৫৬৮.০২ একর জমি (মোট স্বত্ত্বারোপিত জমির ৭৭.২৪ শতাংশ) বণ্টিত হয়। ব্লকে মোট ৯৫৭ জন পাট্টার অধিকারী।[২০]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৯১টি ফার্টিলাইজার ডিপো, ২২টি বীজের দোকান ও ৫০টি রেশন দোকান রয়েছে।[২১]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৪,৬১৩ হেক্টর জমিতে ৮,৯৪১ টন আমন ধান (প্রধান শীতকালীন ফসল), ২৪৯ হেক্টর জমিতে ৬৪৩ টন আউস ধান (গ্রীষ্মকালীন ফসল), ৮৬২ হেক্টর জমিতে ২,৯০৫ টন বোরো ধান (বসন্তকালীন ফসল), ২৯ হেক্টর জমিতে ৬১৩ টন পাট এবং ১০৮ হেক্টর জমিতে ৩,৫১০ টন আলু উৎপাদিত হয়। এছাড়া এই ব্লকে কলাই ও তৈলবীজও উৎপাদিত হয়।[২১]

সেচব্যবস্থা সম্পাদনা

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১৪.১৭ হেক্টর জমি গভীর নলকূপ দ্বারা সেচিত হত।[২১]

মৎস্যচাষ সম্পাদনা

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১,১৮৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে কার্যকরীভাবে মৎস্যচাষ করা হয়। ১০,৭৫৭ জন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত এবং বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৫২,৬৫২ কুইন্টাল।[২১]

ব্যাংক পরিষেবা সম্পাদনা

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ২ টি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে।[২১]

অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল সম্পাদনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা অনুন্নত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত। এই জেলাটি অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য লাভ করে। ভারত সরকার সৃষ্ট এই তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট ২৭২টি জেলা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এগারোটি জেলা রয়েছে।[২২][২৩]

পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পাদনা

জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ২টি ফেরি পরিষেবা ও ২টি প্রান্তিক বাস রুট রয়েছে।[২১]

শিয়ালদহ-নামখানা লাইনের হোগলা, দক্ষিণ বারাসাত, বহরুজয়নগর মজিলপুর রেল স্টেশনগুলি এই ব্লকে অবস্থিত।[২৪]

শিক্ষাব্যবস্থা সম্পাদনা

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬,৯৩৩ জন, ৫টি মধ্য বিদ্যালয়ে ৪৪২ জন, ৯টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪,৪২৭ জন এবং ১৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬,৩৪৩ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এছাড়া এই ব্লকের একটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ৮,৩৮১ জন এবং ৪৬০টি বিশেষ ও অ-চিরাচরিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৮,৫৭৯ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।[২১]

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৬৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে ৫টি গ্রামে একটিও বিদ্যালয় নেই, ৪২টি গ্রামে দুই বা ততোধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, ২২টি গ্রামে অন্তত একটি প্রাথমিক ও ১টি মধ্য বিদ্যালয় রয়েছে এবং ১৫টি গ্রামে অন্তত একটি মধ্য ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।[২৫]

দক্ষিণ বারাসাতে দক্ষিণ বারাসাত রেল স্টেশনের কাছে ১৯৬৫ সালে ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৬]

স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পাদনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কিছু কিছু অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক-দূষিত[২৭] জেলার বারোটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ভূগর্ভস্থ হলে উচ্চ মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। যে সব এলাকার ভূগর্ভস্থ হলে আর্সেনিকের মাত্রা স্বাভাবিকের (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত মান হল প্রতি লিটারে দশ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় বেশি, সেখানকার টিউবওয়েল থেকে জলের নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। আর্সেনিক-দূষিত সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলি হল: বারুইপুর, ভাঙর ১, ভাঙড় ২, বিষ্ণুপুর ১, বিষ্ণুপুর ২, বাসন্তী, বজবজ ২, ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, সোনারপুর, মগরাহাট ১, মগরাহাট ২ ও জয়নগর ১। [২৮]

২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রামীণ হাসপাতাল, ২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৭টি এনজিও/ বেসরকারি নার্সিং হোমে ৭৮টি শয্যা ও ১৪ জন চিকিৎসকের (বেসরকারি সংস্থা বাদে) ব্যবস্থা ছিল। এই ব্লকে ৫০টি পরিবারকল্যাণ উপকেন্দ্র রয়েছে। ব্লকের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলিতে ৪,৮৫২ জন রোগী অন্তর্বিভাগে ও ১৫১,৩০১ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসার সুযোগ পান।[২১]

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুসারে, জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১টি গ্রামে একটি সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৪টি গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৩১টি গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, ৬টি গ্রামে মাতৃসদন ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, ২টি গ্রামে পশু হাসপাতাল, ১১টি গ্রামে ওষুধের দোকান রয়েছে এবং ৬৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে ১৬টি গ্রামে চিকিৎসার কোনওরকম ব্যবস্থাই নেই।[২৯]

পদ্মেরহাটে অবস্থিত ৩০টি শয্যাবিশিষ্ট পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতাল জয়নগর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একমাত্র প্রধান সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে মোমরেজগড় (গোয়ালবেড়িয়া, শ্রীকান্তনগর ডাকঘর) (৬টি শয্যাবিশিষ্ট) ও পূর্ব গাববেড়িয়ায় (৬টি শয্যাবিশিষ্ট)।[৩০][৩১][৩২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Fact and Figures"Wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯ 
  2. "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)Nclm.nic.inMinistry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯ 
  3. "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)pp. 134–135: Places of Archaeological Importance। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. "District Census Handbook: South 24 Parganas, Series 20, Part XII B" (পিডিএফ)Map of South 24 Parganas with CD block HQs and Police Stations (on the fourth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "South Twenty-four Parganas"CD block/ tehsil map। Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. "District Statistical Handbook 2014 South 24 Parganas"Table No. 2.1, 2.2। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯ 
  7. "Census of India 2011, West Bengal, District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, Series – 20, Part XII-A, Village and Town Directory" (পিডিএফ)p. 699 – Map of Jaynagar I CD block। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৯ 
  8. "Blocks and Gram Panchayats in South 24 Parganas"। South 24 Parganas District Administration। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৬ 
  9. "CD block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"2011 census: West Bengal – District-wise CD Blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৬ 
  10. "District Statistical Handbook – 2010–11 – South 24 Parganas"South 24 Parganas at a glance, Tables 2.2, 2.4 (b), 4.5। Bureau of Applied Economics and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৬ 
  11. "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"Census of India 2001 – South 24 Parganas। Census Commission of India। ১৯ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২০ 
  12. "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"Census of India 2001। Census Commission of India। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২০ 
  13. "District Census 2011"। Population Census 2011। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  14. "Provisional population tables and annexures" (পিডিএফ)Census 2011:Table 2(3) Literates and Literacy rates by sex। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  15. "C1 Population by Religious Community"West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৬ 
  16. "District Human Development Report: South 24 Parganas"Pages 42-43, Chapter 3.8: Poverty Scenario in South 24 Parganas। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  17. "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories of Economic Activity in Sub-district 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  18. "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 30: Number and percentage of Main workers, Marginal workers and Non workers by Sex, in Sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  19. "District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)p. 111, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities, 2011। Directorate of Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  20. "District Human Development Report: South 24 Parganas"(1) Chapter 1.2, South 24 Parganas in Historical Perspective, pp. 7–9 (2) Chapter 3.4, Land reforms, pp. 32–33। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2009। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  21. "District Statistical Handbook 2014 South 24 Parganas"Table No. 16.1, 18.1, 18.2, 18.3, 20.1, 21.2, 4.4, 3.1, 3.2, 3.3 – arranged as per use। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  22. "Backward Regions Grant Funds: Programme Guidelines" (পিডিএফ)। Ministry of Panchayati Raj, Government of India। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  23. "Backward Regions Grant Fund"Press Release, 14 June 2012। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  24. "34792 Sealdah-Namkhana Local"Time Table। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৯ 
  25. "District Census Handbook, South 24 Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)pp. 931–932, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯ 
  26. "Dhruva Chand Halder College"। DCHC। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  27. "Groundwater Arsenic contamination in West Bengal-India (19 years study)"Groundwater arsenic contamination status of North 24-Parganas district, one of the nine arsenic affected districts of West Bengal-India। SOES। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  28. "High arsenic levels in South"। The Statesman, 24 June 2007। ২০০৭-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  29. "District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)pp. 927–929, Appendix I: Summary showing total number of villages having Educational, Medical and other amenities – C.D.Block level। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  30. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Rural Hospitals। Government of West Bengal। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯ 
  31. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Block Primary Health Centres। Government of West Bengal। ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯ 
  32. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯