জগনমোহন প্রাসাদ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মহীশূর এলাকার একটি প্রাসাদ
(জগনমোহন প্যালেস থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জগনমোহন প্যালেস ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মহীশূর এলাকার একটি প্রাসাদ। এটি নির্মিত হয়েছে ১৮৬১ সালে এবং প্রথম দিকে মহীশূর রাজ্যের রাজপরিবারের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এটিকে শিল্প গ্যালারিতে পরিনত করা হয়।[১]

জগন্মোহন প্যালেস
ಜಗನ್ಮೋಹನ ಅರಮನೆ
প্রাসাদের রাজকীয় মিলনায়তনের সম্মুখভাগ এবং প্রবেশপথ; প্রাসাদের অডিটোরিয়ামের পিছনে অবস্থিত
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
অবস্থানলক্ষ্মী বিলাস রোড
শহরমহীশূর
দেশভারত
স্থানাঙ্ক১২°১৮′২৫″ উত্তর ৭৬°৩৮′৫৯″ পূর্ব / ১২.৩০৬৮৩৬৬° উত্তর ৭৬.৬৪৯৮৬১° পূর্ব / 12.3068366; 76.649861,
নির্মাণকাজের আরম্ভ উদযাপন১৮৫৬
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৮৬১
স্বত্বাধিকারীPramoda Devi Wadiyar
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা
জগন্মোহন প্রাসাদ, মিসোর

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৬১ সালে জগনমোহন প্রাসাদ নির্মাণ করেন মাইসোরের রাজা কৃষ্ণরাজা উদিয়ার তৃতীয়। এটিকে রাজপরিবারের বিকল্প আবাসস্থল হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। মাইসোর প্যালেস, যা ছিল রাজ-পরিবারের আদি বাসস্থান আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এবং সেই স্থানে পুনরায় নতুন প্রাসাদ নির্মাণ শুরু হয় ১৮৯৭ সালে। ১৯১২ সালে এটির নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জগনমোহন প্যালেস রাজ-পরিবারের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।[১] ১৯০২ সালে রাজা নালভাদি কৃষ্ণরাজা উদিয়ার রাজ-সিংহাসনের অধিকারী হন, এবং এ রাজ-অভিষেক জহনমোহন প্যালেসের অভ্যন্তরের একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তৎকালীন ভাইসরয় ও ভারতের গভর্নর লর্ড কার্জন[১] এই প্রাসাদ রাজার দৈনিক দরবার ও মাইসোর দসারার সময়ে বিশেষ দসারা দরবার হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯১৫ সালে এই প্রাসাদটিকে আর্ট গ্যালারিতে রুপান্তর করা হয়, যেটিকে ১৯৫৫ সালে জয়চামারাজেন্দ্র উদিয়ারের নামানুসারে শ্রী জয়চামারাজেন্দ্র আর্ট গ্যালারি নামে নামকরণ করা হয়।[২] মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক কনভোকেশন এখানেই অনুষ্ঠিত হত। মাইসোর রাজ্যের বিধান পরিষদের প্রথম সভা এই প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয় ১৯০৭ সালের জুলাই মাসে।[৩] এই পরিষদ শুরুর দিকে রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল নামে পরিচিত ছিল এবং এটির সভাপতিত্ব করতেন দেওয়ান। জয়চামারাজেন্দ্র উদিয়ার প্রাসদটিকে একটি ট্রাস্টের হাতে ন্যস্ত করেন এবং জনগনের প্রদর্শনের জন্য উম্মুক্ত করে দেন।

স্থাপত্য সম্পাদনা

প্রাসাদটি তৈরীতে চিরাচরিত হিন্দু স্থাপত্যকলা ব্যবহার করা হয়েছে, যা তিনতলা বিশিষ্ট।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Priyanka Haldipur। "Of Monumental value"Online Edition of The Deccan Herald, dated 2005-04-19। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-২০ 
  2. "Jaganmohana Palace"Online webpage of the Mysore district। ২০০৭-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-২০ 
  3. "Upper House turns 100"Online Edition of The Deccan Herald, dated 2007-07-06। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-২০