জগজ্জীবন ঘোষাল উত্তরবঙ্গের মনসামঙ্গল কাব্যের একজন কবি। তাঁর রচনার একটা বড়ো অংশ তন্ত্রবিভূতির রচনার উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও ভাষারীতি, প্রকাশভঙ্গিমা, ঘটনা ও চরিত্রচিত্রণে তাঁর বিশেষ পারদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৬০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড: আশুতোষ দাস ও শ্রী সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় জগজ্জীবন ঘোষালের মনসামঙ্গল প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষ এ'কাব্যের সঙ্গে পরিচিত হন। জলপাইগুড়ি স্কুলের পণ্ডিত মহাশয় শ্রী সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য জগজ্জীবন ঘোষালের একখানি খণ্ডিত পুঁথি সংগ্রহ করেন এবং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক শশিভূষণ দাশগুপ্ত মহাশয়কে তা প্রকাশের অনুরোধ করেন। কিছুদিন পর অধ্যাপক দাশগুপ্ত জানতে পারেন ড: আশুতোষ দাসও জগজ্জীবন ঘোষালের একটি পূর্ণাঙ্গ পুঁথি সংগ্রহ করেছেন। তখন তাঁর পরামর্শ মতো পুঁথিটি ড: আশুতোষ দাস ও সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের যুগ্মসম্পাদনায় ডঃ দাসের পুঁথির পাঠ অবলম্বনে জগজ্জীবন ঘোষালের মনসামঙ্গল প্রকাশিত হয়।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ডঃ অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১১১