ছেঁড়া দ্বীপ
ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। দক্ষিণ দিকে এর পরে বাংলাদেশের আর কোনো ভূখণ্ড নেই।[১] সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে 'ছেঁড়াদিয়া' বা 'সিরাদিয়া' বলা হয়ে থাকে। ছেঁড়া অর্থ বিচ্ছিন্ন বা আলাদা, আর মূল দ্বীপ-ভূখণ্ড থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন বলেই এ দ্বীপপুঞ্জের নাম ছেঁড়া দ্বীপ।
স্থানীয় নাম: ছেঁড়াদিয়া, সিরাদিয়া | |
---|---|
ছেঁড়া দ্বীপের সৈকতের একাংশ | |
![]() | |
ভূগোল | |
অবস্থান | বঙ্গোপসাগর |
স্থানাঙ্ক | ২০°৩৪′৫৩″ উত্তর ৯২°২০′১৪″ পূর্ব / ২০.৫৮১৪° উত্তর ৯২.৩৩৭৩° পূর্ব |
প্রশাসন | |
বিবরণ সম্পাদনা
প্রবাল দ্বীপের ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়া দ্বীপ প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। দক্ষিণের এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক পাথর। দ্বীপের প্রায় অর্ধেকই জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায়। এই এলাকাটি সরকারের ঘোষিত একটি 'পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা'। এরকম এলাকায় ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানায় জমি কেনা, এমনকি কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ।[১]
চট্টগ্রাম, পতেঙ্গা বা টেকনাফ থেকে আগে সেন্টমার্টিন-এ যেতে হয়। তারপর ভাটার সময় সেখান থেকে হেঁটেই ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়া যায়। অবশ্য জোয়ারের সময় যেতে হয় লঞ্চে করে।
চিত্রশালা সম্পাদনা
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ আব্দুল কুদ্দুস (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "সৈকত দখল করে দোকানপাট, জনবসতি | ছেঁড়া দ্বীপের সৌন্দর্যহানি"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৮-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১০।