ছাত্র সংগঠনের আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফেডারেশন
ছাত্র সংগঠনের আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফেডারেশন (ইংরেজি: International Islamic Federation of Student Organizations), সংক্ষেপে IIFSO একটি আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশন।[১] IIFSO-এর লক্ষ্য হল মুসলিম যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণে অংশগ্রহণ করার জন্য অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে সেতু নির্মাণ করা, বিশ্বব্যাপী ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলির সমন্বয় করা, যুবকদের বিকশিত করা, সংহত করা এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করা। দলটি ইসলামের উপর বইয়ের বিপুল পরিমাণ পকেট সংস্করণ প্রকাশ করে এবং বিতরণ করে। এটি ইসলামিক ও মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার প্রচারের জন্য ১০০টিরও বেশি ভাষায় ১০০০টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছে। এটি সর্বত্র যুব কর্মীদের জন্য শত শত কারিগরি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এটি মানবাধিকার, ইসলামফোবিয়া, নারী অধিকার, সন্ত্রাস, সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কয়েকটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির IIFSO তে যোগ দেন সম্মলনে ।
International Islamic Federation of Student Organizations,
IIFSO الاتحاد الإسلامي العالمي للمنظمات الطلابية | |
![]() | |
গঠিত | ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | আহমেদ তুতুনজি |
প্রতিষ্ঠাস্থান | আশেন, জার্মানি |
সদরদপ্তর | ইস্তানবুল |
অবস্থান |
|
সদস্যপদ | ৭০টি দেশে, ১০০+ সংগঠন |
দাপ্তরিক ভাষা | ইংরেজি ও আরবি |
মহাসচিব | মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ (২০২৩- বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | https://iifso.org/ |
দৃষ্টিভঙ্গি
সম্পাদনামানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং শান্তির প্রচার এবং সুরক্ষা করা; বিশ্বব্যাপী মুসলিম ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম সমন্বয় করা; ইসলামী ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বিশ্ব মুসলিমের চূড়ান্ত ঐক্যকে সমর্থন করা সংগঠনটি ব্যপকভাবে কাজ করেছে। এছাড়াও উম্মাহের অভিন্নতা নিশ্চিত করা, জ্ঞানের বিনিময় প্রচার করা; আল্লাহর বাণীকে মহিমান্বিত করা, ইসলামের নীতি সম্পর্কে তথ্য প্রচার করা নিয়ে সংগঠনটি সোচ্চার রয়েছে। সহযোগী সংগঠনগুলোকে তাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করা; ইসলাম সম্পর্কে আরও ভাল বোঝার প্রচার করা, ভুল বোঝাবুঝি এবং বিকৃতি দূর করা এবং জীবন ও উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামিক অবস্থান উপস্থাপন করা নিয়ে সংগঠনটি কাজ করে থাকে।[২]
জাতিসংঘে অংশগ্রহণ
সম্পাদনা১৯৭৭ সাল থেকে IIFSO জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে বিশেষ পরামর্শমূলক এনজিও হিসাবে সন্মানসহ যোগদান করে। এইভাবে জাতিসংঘের উদ্যোগগুলির পারস্পরিক সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDGs)-কে সমর্থন করে।[৩]
জাতিসংঘের একটি এনজিও হিসাবে আইআইএফএসওকে ইউনেস্কোর অধীনে স্পেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনটি একটি ফোরাম প্রদান করেছে যেখানে এখন ইসলামিক কার্যক্রমের ভিত্তি রয়েছে।[৪]
দলীয় গঠন
সম্পাদনাসংগঠনটির প্রতিনিধিদের একটি সাধারণ পরিষদ রয়েছে। ৬ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে এবং একজন মহাসচিব রয়েছেন। এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি, মহাসচিব, সহকারী মহাসচিব, আর্থিক সচিব এবং প্রতিটা মহাদেশ থেকে একজন আঞ্চলিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে দলের পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
IIFSO-এর সাধারণ সম্পাদক
সম্পাদনা- ডঃ আহমেদ তুতুনজি (১৯৬৯ - ১৯৭৩)
- ডাঃ হিশাম আলতালিব (১৯৭৩ - ১৯৭৭)
- ডঃ এমাদ ইলদীন আব্দুলরহিম (১৯৭৭ - ১৯৮০)
- মুস্তফা এল-তাহহান (১৯৮০ - ১৯৮৪)
- ডাঃ সাঈদ সাঈদ (১৯৮৪ - ১৯৮৮)
- ডাঃ মোস্তফা ওসমান ইসমাইল (১৯৮৮ - ১৯৯২)
- সাইয়েদ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ তাহির (১৯৯২ - ১৯৯৮)
- ডঃ ওমের ফারুক কোরকমাজ (১৯৯৮ - ২০০৬)
- ডঃ আবু বাকির আব্দুলফাত্তাহ (২০০৬ - ২০১০)
- ডঃ আহমেদ আব্দুলাতি (২০১০ - ২০১৪)
- ডঃ খাল্লাদ সোয়াইদ (২০১৪ - ২০১৯)
- ডঃ এনেস ইয়ালমান (২০১৯ - ২০২৩)
- ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ (২০২৩- বর্তমান)[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Home - iifso" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৪।
- ↑ "International Islamic Federation of Student Organizations | UIA Yearbook Profile | Union of International Associations"। uia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৪।
- ↑ Ahmad Ibrahim, Readings on Islam in Southeast Asia
- ↑ "THE FIRST 20 YEARS IIFSO - iifso" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৪।
- ↑ "Türkiye mezunu Dr. Faysal Parvez, dünya müslüman öğrencilerinin lideri oldu İhlas Haber Ajansı"। IHA (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৬।