চৌধুরী রফিকুল আবরার
চৌধুরী রফিকুল আবরার, (জন্ম: ১৭ আগস্ট ১৯৫২) যিনি সি আর আবরার নামেও পরিচিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, মানবাধিকার কর্মী এবং শরণার্থী ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক।[২][৩][৪] তিনি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সভাপতি।[৫]
চৌধুরী রফিকুল আবরার | |
---|---|
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৫ মার্চ ২০২৫[১] | |
প্রধান উপদেষ্টা | মুহাম্মদ ইউনূস |
পূর্বসূরী | ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ফরিদপুর, পূর্ববঙ্গ, পাকিস্তান | ১৭ আগস্ট ১৯৫২
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অধ্যাপক |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
সম্পাদনাসি আর আবরার মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবরার। [৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআবরার ১৯৯৫ সালে তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, শাহদীন মালিক, সুমাইয়া খায়ের এবং ইয়াসমিন আলী হকের সাথে শরণার্থী ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন।[৭][২]
আবরার ১৯৯৯ সালে "এইড, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি" বইটি লেখেন।[৮] তিনি শাহদীন মালিকের সাথে "দক্ষিণ এশিয়ার জাতীয় শরণার্থী আইনের দিকে" বইটি সহ-সম্পাদনা করেন এবং ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়।[৯]
আবরার ওস্তাদ আয়েত আলী খান সঙ্গীত নিকেতন ও মোবারক হোসেন খান আয়োজিত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ও ওস্তাদ আয়েত আলী খানের ওপর আলোচনায় নেতৃত্ব দেন এবং যেখানে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহানারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।[১০]
২০২৩ সালের এপ্রিলে নাগরিকের এক অনুষ্ঠানে আবরার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিলেন।[১১] তিনি বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন।[১২] তিনি দাবি করেছেন যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্ষেত্রে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই নীতি প্রায় একই।[১৩] তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি আরবে আসা রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারেরই নেওয়া উচিত, তবে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশকে চাপ দেওয়ার জন্য সৌদি আরবেরও সমালোচনা করেন।[১৪] তিনি বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের শিকারদের সম্পর্কে লিখেছেন।[১৫]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন আবরার।[১৬] তিনি এটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে বর্ণনা করেছেন।[১৬]
২০২৫ সালের ৪ মার্চ মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তার নাম মনোনীত করা হয়।[১৭][১৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন সি আর আবরার"। Bangla Tribune। ২০২৫-০৩-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০৫।
- ↑ ক খ "RMMRU Team | Refugee and Migratory Movements Research Unit" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "Author Page"। The University Press Limited (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ Abrar, C. R. (২০২৩-১২-১০)। "Human rights enjoyment in a red zone?"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "Dr. C R Abrar"। Free Rohingya Coalition (FRC) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন সি আর আবরার"। বাংলা ট্রিবিউন। ৪ মার্চ, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ, ২০২৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "About Us | Refugee and Migratory Movements Research Unit" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "Aid, Development and Diplomacy"। The University Press Limited (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ Rahim, Naureen (২০২২-০৮-১১)। "Book Review: Towards National Refugee Laws in South Asia by C R Abrar and Shahdeen Malik (eds)"। Dhaka Law Review (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ Kamol, Ershad (১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Ustad Alauddin Khan and Ustad Ayet Ali Khan remembered"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "Repeal DSA as it targets critical, dissenting voices: Nagorik"। New Age। ১৫ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ Media, Naya Daur (২০১৯-০৩-২৮)। "'A forsaken minority': Dr Rafiqul Abrar on stranded Pakistanis in Bangladesh"। Medium (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ Zakaria, A. K. M. (২০২২-০১-১৬)। "'China and the US have almost the same position on the Rohingya question'"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "Why Bangladesh is in a fix over Rohingya repatriation – DW – 01/15/2021"। dw.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ আবরার, সি আর (২০২১-০৮-৩০)। "ফুল কিনতে গিয়ে আর ফিরলেন না!"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ ক খ Abrar, C. R. (২০২৪-০৮-১৮)। "Canards of a prejudiced neighbour"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ "শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার: প্রেস সচিব"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০২৫-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০৪।
- ↑ "উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন সি আর আবরার"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০৪।