চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের এক বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি একজন রাজনীতিবিদও । তিনি পশ্চিম বাংলা সরকারের এক উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদ। তার পিতা শৈল চক্রবর্তী একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০১১ | |
পূর্বসূরী | ডঃ বিথিকা মণ্ডল |
নির্বাচনী এলাকা | বারাসাত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দীপক চক্রবর্তী ২ নভেম্বর ১৯৬০ কলকাতা, ভারত |
রাজনৈতিক দল | তৃণমূল কংগ্রেস |
জীবিকা | অভিনেতা, পরিচালক, রাজনীতিবিদ এবং প্রকৌশলী |
ধর্ম | হিন্দু |
তিনি মিত্র প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-এ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হলেও ফাইনাল পরীক্ষা দেননি। তিনি সংবাদ পাঠক হিসেবে এবং দেশ পত্রিকায়ও কাজ করেছেন। তিনি একজন বিখ্যাত মঞ্চ অভিনেতা। তিনি সফল পরিচালকও । তিনি বিবাহিত এবং তার একটি মেয়ে আছে।
চলচ্চিত্র জীবন
সম্পাদনা১৯৭০ সাল থেকে তিনি রোমান্টিক ছবি ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাকশন ধাঁচের ছবিতে সফলভাবে অভিনয় করেন। তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ করেন মূলত ৩টি চলচ্চিত্রের মাধ্যমেঃ অশ্লীলতার দায়ে (১৯৮২); নারায়ণ স্যান্যালের একই নামাঙ্কিত উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে, সমরপিতা ও অন্তরালে। অন্তরালে ছবিতে বাপ্পি লাহিড়ী-কিশোর কুমারের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান-আজ এই দিনটাকে মনের খাঁচায় লিখে রাখব" রয়েছে। এর প্রথম দুই ছবি আলপনা গোস্বামী ও তৃতীয় ছবিটি মুনমুন সেনের বিপরীতে অভিনীত।
এছাড়াও তিনি দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়-এর বিপরীতেও অভিনয় করেন। চিরঞ্জিত পরিচালিত এবং অভিনীত ভয় ছবিটি মারাত্মক সাফল্য লাভ করে। এছাড়াও তিনি রুপা গাঙ্গুলি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-এর বিপরীতে অভিনয় করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাচিরঞ্জিত পশ্চিম বাংলার বারাসাতের সিটে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে অ্যাসেম্বলিতে অংশগ্রহণ করেন এবং জয়যুক্ত হন।
চলচ্চিত্র কর্মজীবন
সম্পাদনাপরিচালক হিসাবে
- মানুষ অমানুষ (২০০২)
- বস্তির মেয়ে রাধা (২০০০)
- ভয় (১৯৯৬)
- কেঁচো খুঁড়তে কেউটে (১৯৯৫)
- সংসার সংগ্রাম (১৯৯৫)
- ফিরিয়ে দাও (১৯৯৪)
- মর্যাদা (১৯৮৯)
অভিনেতা হিসেবে
- কিরীটী রায় (২০১৬)
- ষড়রিপু[১] (আসন্ন)
- অব্যয় সেন (২০১৫)
- মনিহার (২০১৫)
- কর্নেল (২০১৩)- অপ্রকাশিত
- চতুষ্কোণ (২০১৪)
- কুসুম তুমি আমার (২০১৩)- অপ্রকাশিত
- বিন্দাস (২০১৪)
- ১০ই জুলাই (২০১৪)
- বস (২০১৩)
- জীবন রং বেরং (২০১১)
- রোজ ক্রেজ রোজ (২০১০)
- অন্তরবাস (২০১০)
- গুডলি (২০১০)
- শেষ সংঘাট (২০০৯)
- ১ নং প্লাম ভিলা (২০০৯)
- আন্টারোটামো (২০০৮)
- অভিনেত্রী (২০০৬)
- চোরে চোরে মাসতুতো ভাই (২০০৫)
- আতোতায়ী (২০০৪)
- চোর ও ভগবান (২০০৩)
- অবৈধ (২০০২)
- ইনকিলাব (২০০২)
- মানুষ অমানুষ (২০০২)
- বাড়িওয়ালি (২০০১)
- ভালোবাসার রাজপ্রসাদে (২০০১)
- হাতিয়ার (২০০১)
- মাস্টারমশাই (২০০১)
- ওস্তাদ (২০০১)
- প্রেম প্রতিজ্ঞা (২০০১)
- শ্রীমতি ভয়ঙ্করী (২০০১)
- বস্তির মেয়ে রাধা (২০০০)
- চক্রব্যুহ (২০০০)
- দেবাঞ্জলি (২০০০)
- ধর্ম অধর্ম (২০০০)
- রূপসী দোহাই তোমর (২০০০)
- ত্রিশুল (২০০০)
- দাদাভাই (১৯৯৯)
- মস্তান রাজা (১৯৯৯)
- রাজদন্ড (১৯৯৯)
- শঙ্খ সিন্দুরের দিব্যি (১৯৯৯)
- সিঁদুর খেলা (১৯৯৯)
- বিষ্ণু নারায়ণ (১৯৯৮)
- লোলা লুসি (১৯৯৮)
- মায়ার দিবি (১৯৯৮)
- চন্দ্রগ্রহন (১৯৯৭)
- জীবন যৌবন (১৯৯৭)
- নিশপাপ আসামি (১৯৯৭)
- পিতা মাতা সন্তান (১৯৯৭)
- সবর ওপরে মা (১৯৯৭)
- সেদিন চৈত্রমাস (১৯৯৭)
- যোদ্ধা (১৯৯৭)
- বেয়াদপ (১৯৯৬)
- ভাই আমার ভাই (১৯৯৬)
- ভয় (১৯৯৬)
- জয় বিজয় (১৯৯৬)
- ত্রিধারা (১৯৯৬)
- আবির্ভাব (১৯৯৫)
- জীবন যুদ্ধ (১৯৯৫)
- কেঁচো খুঁড়তে কেউটে (১৯৯৫)
- কুমারী মা (১৯৯৫)
- মশাল (১৯৯৫)
- নাগিনকন্য (১৯৯৫)
- প্রেম সংঘাত (১৯৯৫)
- রাখাল রাজা (১৯৯৫)
- সংসার সংগ্রাম (১৯৯৫)
- অতিক্রম (১৯৯৪)
- বিশ্বাস অবিশ্বাস (১৯৯৪)
- দাঙ্গা (১৯৯৪)
- লাল পান বিবি (১৯৯৪)
- ফিরিয়ে দাও (১৯৯৪)
- রক্তনদীর ধারা (১৯৯৪)
- ঘর সংসার (১৯৯৩)
- কন্যাদান (১৯৯৩)
- মান সম্মান (১৯৯৩)
- সম্পর্ক (১৯৯৩)
- শক্তি (১৯৯৩)
- শঙ্ক (১৯৯৩)
- তোমার রক্তে আমার সোহাগ (১৯৯৩)
- বেদেনির প্রেম (১৯৯২)
- পেন্নাম কলকাতা (১৯৯২)
- পিত্রিরীন (১৯৯২)
- রক্তে লেখা (১৯৯২)
- শয়তান (১৯৯২)
- বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না (১৯৯১)
- সিন্দুর (১৯৯১)
- ঘরের বউ (১৯৯০)
- জোয়ার ভাঁটা (১৯৯০)
- পাপি (১৯৯০)
- অগ্নিতৃষ্ণা (১৯৮৯)
- আশা (১৯৮৯)
- মহাপীঠ তারাপীঠ (১৯৮৯)
- মারিয়াদা (১৯৮৯)
- নিশিবধু (১৯৮৯)
- শতরূপাক্ষ (১৯৮৯)
- তুফান (১৯৮৯)
- আঘাত (১৯৮৮)
- বোবা সানাই (১৯৮৮)
- হেরের শিখল (১৯৮৮)
- মধুগঞ্জের সুমতি (১৯৮৮)
- প্রতীক (১৯৮৮)
- গায়ক (১৯৮৭)
- মৌনা মুখর (১৯৮৭)
- পাপ পুণ্য (১৯৮৭)
- প্রতিকার (১৯৮৭)
- অমর কন্টক (১৯৮৬)
- আর্তনাদ (১৯৮৬)
- জীবন (১৯৮৬)
- মধুময় (১৯৮৬)
- প্রেম ও পাপ (১৯৮৬)
- অন্তরালে (১৯৮৫)
- হরিশচন্দ্র শৈব্য (১৯৮৫)
- সোনার সংসার (১৯৮৫)
- সমরপিতা (১৯৮৪)
- শত্রু (১৯৮৪)
- অশ্লীলতার দায়ে (১৯৮৩)
- দিন যায়ে (১৯৮৩)
- প্রফুল্ল (১৯৮২)
- সন্ধান (১৯৮২)
- সোনায় সোহাগা (১৯৮১)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "After Chotushkone, Chiranjeet takes on lead role"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রু ২০১৫।