চিত্রা মহল
চিত্রা মহল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ। নাগর মহল নামে যাত্রা শুরু করা এই প্রেক্ষাগৃহটি পুরান ঢাকার ইংলিশ রোডে অবস্থিত। এটি ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন প্রেক্ষাগৃহগুলোর একটি।
প্রাক্তন নাম | নাগর মহল |
---|---|
ঠিকানা | ৮/৯, ইংলিশ রোড, ঢাকা ১১০০ বাংলাদেশ |
ধরন | চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ |
ধারণক্ষমতা | ৭২৪ |
পর্দা | ১ |
নির্মাণ | |
চালু | আনু. ১৯৩০-এর দশক |
পুনঃসংস্কার | ১৯৮৩ |
বন্ধ | ২০২৪ |
ইতিহাস
সম্পাদনাঢাকার প্রথম ১০টি সিনেমা হলের মধ্যে চিত্রা মহল অন্যতম। ব্রিটিশ আমলে ১৯৩০ সালের দিকে[১] তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নাগর পোদ্দার হলটি গড়ে তোলেন। তখন এর নাম ছিল নাগর মহল।[২]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বেশ কয়েক বছর এটি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৮৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী জহির হলটি কিনে নেন এবং স্ত্রী চিত্রা জহিরের নামানুসারে এর নামকরণ করেন চিত্রা মহল। খান আতাউর রহমান পরিচালিত আরশি নগর প্রদর্শনের মাধ্যমে চিত্রা মহলের কার্যক্রম শুরু হয়।[১]
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীজনিত কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল হলটি।[৩] ২০২৪ সালে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য হলটি ভেঙে ফেলা হয়[৪] এবং তার স্থলে হলটির বর্তমান মালিক কাজী সাগর সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন।[৫]
বিবরণ
সম্পাদনাচিত্রা মহলের ভবনটি ছিল দোতলা। এতে দুই পাশে দুটি ছোট বারান্দা এবং পেঁচানো সিঁড়ি ছিল। নিচতলায় ছিল টিকিট কাউন্টার, আর দোতলায় অপেক্ষা করার জায়গা।[৬]
প্রেক্ষাগৃহটিতে ৭২৪টি আসন ছিল। তিন ক্যাটাগরিতে চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা ছিল। কাজী জহিরের তিন সন্তানের নামে ক্যাটাগরি তিনটির নামকরণ করা হয় শাপলা, সাগর ও ঝিনুক।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ সরফরাজ খান সানি (১৬ এপ্রিল ২০১৬)। "চিত্রা মহল"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ মাসুম আলী (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "মালিকের ভালোবাসায় সচল চিত্রা মহল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জাহিদ আকবর (আগস্ট ২০, ২০২১)। "আজ থেকে প্রেক্ষাগৃহ খোলা, পুরনো সিনেমাই ভরসা"। ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ আহমেদ তেপান্তর (২ মে ২০২৪)। "চারটি সিনেপ্লেক্স গড়তে ভেঙে ফেলা হচ্ছে 'চিত্রা মহল'"। আজকালের খবর। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ সুজিত সজীব (৯ জুন ২০২৪)। "হারিয়ে গেল চিত্রা মহল"। সাম্প্রতিক দেশকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ মাহমুদ তানজীদ (৫ মার্চ ২০২১)। "ভালো ছবির অভাবে দর্শকশূন্য চিত্রামহল"। ঢাকাপোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।