চা কন্যা

চা কন্যা (চা-কন্যা হিসেবে উল্লিখিত) শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও চা-বাগানে অবস্থিত একটি নারী চা-শ্রমিকের শ্বেত ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটির অবস্থান ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে হবিগঞ্জ জেলার শেষ সীমান্তে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রবেশমুখে মোছাই বাজারের পাশে, সাতগাঁও চা বাগানের প্রবেশমুখে আলিয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির সড়কের সংযোগে। বাংলাদেশের চা উতপাদন শিল্পে নারী শ্রমিকদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি সরূপ ভাস্কর্যটির নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাস্কর্যটি সর্বসাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিক উম্মোচন করা হয়।

চা কন্যা
শিল্পী	সঞ্জিত রায়
বছর	ফেব্রুয়ারি, ২০১০
বিষয়	বাংলাদেশের নারী চা-শ্রমিক
আয়তন	৭.৩ মি (২৪ ফুট)
অবস্থান	সাতগাঁও ইউনিয়ন
স্থানাঙ্ক	২৪.২৯৩৪৪৫° উত্তর ৯১.৬১৯৭৮৬৫° পূর্ব / 24.293445; 91.6197865
মালিক	সাতগাঁও চা বাগান

নির্মাণ

বাংলাদেশের চা-বাগানের অধিকাংশ শ্রমিক ও বাগান থেকে চায়ের কুঁড়ি তোলার কাজ করেন নারী শ্রমিকরা। বাংলাদেশের চা-শিল্পকে এগিয়ে নিতে তাদের অবদানের জন্য ২০০৯ সালে সাতগাঁও চা বাগান ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির ভাস্কর সঞ্জিত রায় প্রায় তিন মাস সময় নিয়ে ভাস্কর্যটির নির্মাণ শেষ করেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। একই মাসে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

বর্ণনা

২৪ ফুট উচ্চ চা-কন্যা ভাস্কর্যে একজন নারী চা-শ্রমিকের বাগান থেকে চায়ের পাতা তোলার মুহূর্ত স্তিমিত করা হয়েছে। কালো বেদির উপর দাড়ানো ভাস্কর্যে নারী শ্রমিক তার মাথায় চায়ের কুঁড়ি রাখার ঝুড়ি বেতের দড়ি দিয়ে পরে আছেন। বাগানের একটি ঝোপ থেকে দু হাতের আঙুল দিয়ে চা গাছ থেকে কচি চায়ের কুড়ি তুলছেন। তার দৃষ্টি চায়ের কুড়ির দিকে নিবদ্ধ। ভাস্কর্যের পটভুমিতে পাহাড় ও বিস্তৃত চা বাগান আছে। কালো বেদিতে 'চায়ের দেশে স্বাগতম' বার্তা লেখা আছে।