চন্দ্রমুখী বসু

বাঙালি শিক্ষাবিদ

চন্দ্রমুখী বসু (১৮৬০ - ১৯৪৪) একজন মহিলা বাঙালি শিক্ষাবিদ। পিতার নাম ভুবনমোহন বসু। তিনি দেরাদুন প্রবাসী বাঙালী খৃষ্টান পরিবারের কন্যা। রসরাজ অমৃতলাল বসুর সম্পর্কিত ভগিনী।[১]

চন্দ্রমুখী বসু
জন্ম১৮৬০
মৃত্যু১৯৪৪
আন্দোলনবাংলার নারী শিক্ষা

বিশেষ কৃতিত্ব সম্পাদনা

চন্দ্রমুখী বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এম. এ পাশ মহিলা। দেরাদুন নেটিভ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষার অনুমতি পান ১৮৭৬ সালে। জুনিয়র পরীক্ষা বোর্ড তাকে প্রবেশিকা মানসম্পন্ন ধরলেও বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় স্বীকার করেনি। ১৮৮০ সালে ফ্রি চার্চ নরমাল স্কুল থেকে চন্দ্রমুখী দ্বিতীয় বিভাগে এবং বেথুন স্কুল থেকে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় তৃতীয় বিভাগে এফ.এ পাশ করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি একা মহিলা হিসেবে ইংরেজি অনার্স সহ এম.এ পাশ করেছিলেন।[২] বাংলার নারী শিক্ষার ইতিহাসে তার এই প্রচেষ্টা একটা মাইলফলক।[৩] তার এই কৃতিত্বের জন্য ১৮৮৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন চার্লস ক্লাউডেন ক্লার্ক সম্পাদিত শেক্সপিয়র রচনাবলি।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

বেথুন কলেজে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে। ১৮৮৮ তে বেথুনে স্কুল ও কলেজ বিভাগ আলাদা হলে তিনি তার অধ্যক্ষা হন। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি অবসর নেন ১৯০১ সালে। অবসর জীবন দেরাদুনে অতিবাহিত করেছিলেন।[৩][৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. দাশগুপ্ত, ঈশা। "প্রথমারও আগে যাঁর লড়াই"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫ 
  2. "ভারতবর্ষের প্রথম স্নাতকোত্তর মহিলা ছিলেন এই বঙ্গকন্যা,বেথুন কলেজের প্রথম প্রিন্সিপালও ছিলেন তিনি | Bangla Amar Pran - The glorious hub for the Bengal"banglaamarpran.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৯। ২০২১-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫ 
  3. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৫২। 
  4. "'এই সমভিব্যাহারে যতকিঞ্চিত্‍ উপহার (Shakespeare's works) প্রেরিত হইতেছে'"EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৫