চন্দ্রবিন্দু (ব্যান্ড)
চন্দ্রবিন্দু কলকাতার একটি বাংলা ব্যান্ড দল। তাদের নাম নেয়া হয়েছে বাংলা বর্ণমালার শেষ অক্ষর চন্দ্রবিন্দু ঁথেকে। এছাড়া জনপ্রিয় বাংলা ছড়াকার সুকুমার রায়ের ননসেন্স ছড়ার বই হযবরল এর একটি উক্তি থেকেও তারা এই নাম রাখার প্রেরণা পেয়েছেন।
চন্দ্রবিন্দু | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | কলকাতা, ভারত |
ধরন | |
কার্যকাল | ১৯৮৯ - বর্তমান পর্যন্ত |
লেবেল | সারেগামা, দ্য টাইমস গ্রুপ, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ, সাগরিকা |
সদস্য |
১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রবিন্দু।[১][২] ব্যান্ডটি চন্দ্রিলের বিদ্রুপাত্মক, কথ্য ভাষার গানের কথার জন্য পরিচিত। এসব কথায় সাম্প্রতিক ঘটনা এবং সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বিভিন্ন সূত্র দেয়া থাকে। এছাড়া তারা উপল ও অনিন্দ্যের লেখা ভিন্ন ধাঁচের গানও পরিবেশন করে থাকে।
নামের উৎপত্তি
সম্পাদনাবংলা বর্ণমালার শেষ অক্ষর চন্দ্রবিন্দু ঁ থেকে ব্যান্ডটির নাম নেয়া হয়েছে। নামটি জনপ্রিয় বাংলা ছড়াকার সুকুমার রায়ের ননসেন্স ছড়ার বই হযবরল এর একটি উক্তি নির্দেশ করে:
বেড়াল বলল, “বেড়ালও বলতে পার, রুমালও বলতে পার, চন্দ্রবিন্দুও বলতে পার।” আমি বললাম, “চন্দ্রবিন্দু কেন?”
শুনে বেড়ালটা “তাও জানো না?” বলে এক চোখ বুজে ফ্যাচ্ফ্যাচ্ করে বিশ্রীরকম হাসতে লাগল। আমি ভারি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। মনে হল, ঐ চন্দ্রবিন্দুর কথাটা নিশ্চয় আমার বোঝা উচিত ছিল। তাই থতমত খেয়ে তাড়াতাড়ি বলে ফেললাম, “ও হ্যাঁ-হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি।”
বেড়ালটা খুশি হয়ে বলল, “হ্যাঁ, এ তো বোঝাই যাচ্ছে— চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ, রুমালের মা— হল চশমা। কেমন, হল তো?”
ব্যান্ড সদস্য
সম্পাদনা- সুরজিৎ — গিটার
- রাজশেখর — পারকিউশন
- চন্দ্রিল — গীতিকার
- অনিন্দ্য — গীতিকার/প্রধান গায়ক
- দ্রোণ — কি-বোর্ড
- অরুপ — গিটার
- উপল — গীতিকার/প্রধান গায়ক
- রিজু — গিটার
সাবেক সদস্য
সম্পাদনা- প্রীতম
- অরিন্দম
ডিসকোগ্রাফি
সম্পাদনা- আর জানি না (১৯৯৭)
- গাধা (১৯৯৮)
- বন্ধু তোমায়
- ফাঁকা নাকি
- যদি বলো হ্যাঁ
- খেলছে শচীন
- আনন্দ সেন
- নতজানু
- গাধা
- ঝিলমিল
- রোগা বলো না
- চন্দ্রবিন্দু
- ত্বকের যত্ন নিন (১৯৯৯)
- আজ আবার
- ত্বকের যত্ন নিন
- রিকসাওয়ালা
- উড়ে যাচ্ছে
- মাটির কাছাকাছি
- ভূত বসেছে
- ফের ভূত বসেছে
- আড্ডা
- একটি মুরগি
- ভোরের কুয়াশা
- বাথরুম
- চ (২০০১)
- নীল
- গান ভালোবেসে গান
- আদরের নৌকো
- দুনিয়া ডট কম
- বনবাসী
- ভিনদেশী তারা
- দুধ না খেলে
- ভালো লাগে না
- আমাদের ছাদে
- তা না না
- ডাকনাম (২০০২)
- জুজু (২০০৩)
- মন
- জুজু
- গীতগোবিন্দ
- আইকম বাইকম
- এইটা তোমার গান
- কী আর করবো
- অঙ্ক কী কঠিন
- আমি আমার মনে
- মা ডাকে খোকা
- বাগিয়ে কালি
- চন্দ্রবিন্দাস (সংকলন, ২০০৫)
- এভাবেও ফিরে আসা যায় (আর জানি না অ্যালবামের নতুন সংস্করণ, ২০০৫)
- হুলাবিলা (২০০৫)
- 'U/A (২০০৮)
- নয় (২০১২)
আরো দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Singing the nonsense verse, a Times of India article on the band
- Of Moon and More, an article on the band in The Hindu
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ চন্দ্রবিন্দু"। রাইজিংবিডি। ১১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৪।
- ↑ "The Telegraph - Calcutta (Kolkata) | Graphiti | A musical journey"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-৩০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |