চ্যাংড়াবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন

পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে স্টেশন
(চংরাবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

চ্যাংড়াবান্ধা একটি রেলওয়ে স্টেশন, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয় ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধায় পরিষেবা পরিষেবা দেয়।[১][২]

চ্যাংড়াবান্ধা
ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানচ্যাংড়াবান্ধা, মেখলিগঞ্জ, কোচবিহার জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
স্থানাঙ্ক২৬°২৪′৪৭″ উত্তর ৮৮°৫৫′০৯″ পূর্ব / ২৬.৪১৩১° উত্তর ৮৮.৯১৯৩° পূর্ব / 26.4131; 88.9193
উচ্চতা৭২ মিটার (২৩৬ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতউত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
লাইননিউ মাল–চ্যাংড়াবান্ধা–নিউ কোচবিহার রেলপথ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
পার্কিংহ্যাঁ
অন্য তথ্য
অবস্থালাইন ব্রডগেজে রূপান্তরিত
স্টেশন কোডসিবিডি
অঞ্চল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
বিভাগ আলিপুরদুয়ার
ইতিহাস
বৈদ্যুতীকরণনা
আগের নামবেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে
অবস্থান
চ্যাংড়াবান্ধা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
চ্যাংড়াবান্ধা
চ্যাংড়াবান্ধা
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান

ইতিহাস সম্পাদনা

লালমনিরহাট-মালবাজার মিটার গেজ লাইনটি উনিশ শতকের শেষের দিকে বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে দ্বারা বিকাশ করা হয়।[৩] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সাথে সাথে লাইনটির ভারতীয় দিকটি চ্যাংড়াবান্ধা এবং পাকিস্তানি দিকে, পরে বাংলাদেশী ক্ষেত্রে বুড়িমারিতে সমাপ্ত হয়।[৪]

বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা

নিউ মাল জংশন এবং চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে এখন (২০১৬) রেলপথ ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের বিলম্বের ফলে ট্রেন পরিষেবা চালু করতে বিলম্ব হয়। তবে ২০ শে জানুয়ারী ২০১৬ থেকে শিলিগুড়ি থেকে নিউ মাল জংশন হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা রুটে একজোড়া ডিএমইউ চালু করা হয়।[৫] নিউ কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি জংশন হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত একটি ট্রেন রয়েছে।[৬]

রেলপথের বাংলাদেশী দিকটি এখনও কার্যকর রয়েছে।[৭][৮] করতোয়া এক্সপ্রেস প্রতিদিন বুড়িমারী এবং লালমনিরহাটের মাঝে চলে। বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাটের মাঝে প্রতিদিন ২ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে।[৯]

শিলিগুড়ি জং - নিউ কোচবিহার জং ডেমু সম্পাদনা

অসংরক্ষিত এই ডেমু ট্রেনটি এই স্টেশন এ বিরাম দেয়। স্টেশনে এসে বিপরীত মুখী লোকো করে তা নিউ চ্যাংড়াবান্ধা স্টেশনের দিকে ফিরে যায়।

নিউ চ্যাংড়াবান্ধা সম্পাদনা

চ্যাংড়াবান্ধা - মাল জং ও চ্যাংড়াবান্ধা - নিউ কোচবিহার লাইনের সাথে যুক্তস্থল হিসেবে এই স্টেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ছুঁয়ে যায়। 12377/পদাতিক এক্সপ্রেস ও 22501/বেঙ্গালুরু - নিউ তিনসুকিয়া এক্সপ্রেস অন্যতম । এছাড়া 13281/নিউ তিনসুকিয়া - রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেস ও 15905/কন্যাকুমারী - ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস রয়েছে।  

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Introducing Burimari"। lonely planet। ২১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১১ 
  2. "Notification No. 63/94-Cus. (N.T.) dtd 21/11/1994 with amendments - Land Customs Stations and Routes for import and export of goods by land or inland water ways"। ২৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৫ 
  3. "Bengal Dooars Railway"। Fibis। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০ 
  4. "Geography - International"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০ 
  5. "Train running on the newly converted New Mal Junction-Changrabandha to start"। North East Frontier Railway। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. "75714 New Cooch Behar-Siliguri Jn DEMU (via Changrabandha)"। IndiaRailInfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৯ 
  7. "Lalmonirhat-burimari Route -45 trains derail in 5 months - Lack of sleepers, stone makes the run-down track risky"। The Daily Star, 7 February 2009। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০ 
  8. "Tk 14,531 crore BR projects to double capacity"। Priyo Internet Life। ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১১ 
  9. "Inter-city trains from Lalmonirhat"। Bangladesh Railway। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা