ঘায়ল (১৯৯০-এর চলচ্চিত্র)

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

ঘায়ল (অনু. আহত) হল ১৯৯০ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার অ্যাকশন চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছিলেন রাজকুমার সন্তোষী এবং প্রযোজনা করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল, মীনাক্ষী শেষাদ্রি, রাজ বাব্বর এবং আমেরিশ পুরি। এছাড়াও সহায়ক ভূমিকায় ছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, অন্নু কাপুর, ওম পুরি, শরৎ সাক্সেনা এবং সুদেশ বেরি। ছবিটি ₹১৭ কোটি উপার্জন করেছিল এবং বক্স অফিস ইন্ডিয়া একে সুপার-হিট ঘোষণা করেছিল।[১] এটি ১৯৯০ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের বলিউড চলচ্চিত্রও ছিল।

ঘায়ল
প্রচারমূলক পোস্টার
পরিচালকরাজকুমার সন্তোষী
প্রযোজকধর্মেন্দ্র
রচয়িতারাজকুমার সন্তোষী
শ্রেষ্ঠাংশেসানি দেওল
মীনাক্ষী শেষাদ্রি
রাজ বাব্বর
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়
অমরিশ পুরি
সুরকারবাপ্পী লাহিড়ী
চিত্রগ্রাহককেশব কোঠারি
সম্পাদকভি. এন. নায়েকর
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকবিজয়তা ফিল্মস
মুক্তি
  • ২২ জুন ১৯৯০ (1990-06-22)
স্থিতিকাল১৬৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
আয়প্রা. ১৭ কোটি
[১]

এই চলচ্চিত্রটি ৩৬ তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আটটি মনোনয়ন পেয়েছিল, তার মধ্যে সাতটি জিতেছিল। এর মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্র, রাজকুমার সন্তোষীর জন্য সেরা পরিচালক পুরস্কার এবং সানি দেওলের জন্য সেরা অভিনেতা পুরস্কার। ৩৮ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে, চলচ্চিত্রটি সর্বোত্তম বিনোদন প্রদানকারী জাতীয় সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল এবং সানি দেওল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - বিশেষ উল্লেখ পেয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে তামিল ভাষায় ঘায়ল এর পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল, তার নাম ছিল ভারতন। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিজয়কান্ত এবং ভানুপ্রিয়া। ১৯৯৮ সালে তেলুগু পুনর্নির্মাণের নাম ছিল গামায়াম, অভিনয়ে ছিলেন শ্রীকান্ত। কন্নড় পুনর্নির্মাণের নাম ছিল বিশ্ব, অভিনয় করেছিলেন শিবা রাজকুমার এবং সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি[২]

২০১৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি, ঘায়েল ওয়ানস এগেইন শিরোনামে ঘায়লের সরাসরি সিকুয়েল (পরের অংশ) প্রকাশিত হয়েছিল।

ঘটনা সম্পাদনা

অপেশাদার বক্সার অজয় ​​মেহরা (সানি দেওল), তার ভাই অশোক মেহরা (রাজ বাব্বর) এবং বৌদি ইন্দু মেহরার (মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়) সাথে মুম্বইতে বাস করে। অশোক একজন ব্যবসায়ী এবং তার সংস্থায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, লিন্তু এটি সে তার স্ত্রী এবং ভাই অজয়কে জানায় নি। পরে অজয়কে প্রশিক্ষণের জন্য বেঙ্গালুরু প্রেরণ করা হয়।

অজয় একটি বার্তা পায় যে তার ভাই বেঙ্গালুরুতে আছে। সে হোটেলে পৌঁছে দেখে যে অশোক তার জন্য কোনও বার্তা না রেখে ইতিমধ্যেই চলে গেছে। পরে সেদিন সে অশোকের একটি কল পায়, সেই সময় অশোক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। সে তাকে বলার চেষ্টা করছিল এমন কিছু,- যেটি তাকে দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রণা দিচ্ছে, কিন্তু ফোনটি হঠাৎ করে কেটে যায়। অজয় বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে এসে শুনল যে তার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তার জিজ্ঞাসাবাদ এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোন ফল না হওয়ায় সে কেবল হতাশ এবং হিংস্র হয়ে পড়ে। কিছুদিন পর, অশোকের এক মাদকাসক্ত বন্ধুর (অন্নু কাপুর) সঙ্গে তার দেখা হয়। সেই বন্ধু সমস্ত অন্ধকার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে।

এর আগে যখন অশোক তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, একজন নামকরা ব্যবসায়ী বলবন্ত রাই (অমরিশ পুরি) তাকে সাহায্য করেছিল। বলবন্ত অশোকের ব্যবসায় অংশীদার হয়ে সমস্ত ঋণ মিটিয়ে দিয়েছিল। এই ব্যবস্থাটি আসলে বলবন্তের অবৈধ কার্যকলাপের একটি আবরণ। বলবন্ত নিয়মিতভাবে তার অবৈধ ব্যবসাকে ঢাকা দিয়ে রাখতে সৎ লোকদের ফাঁদে ফেলে এবং অশোক তার নিরীহ শিকারদের মধ্যে একজন। প্রথমদিকে অশোক যখন প্রতিহত করেছিল, বলবন্ত তাকে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দেয়, কিন্তু অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের জন্য অশোক ক্রমাগত অনুরোধ জানাতে থাকে। পরে, অশোক বলবন্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকে এবং সেখান থেকেই সমস্যা শুরু হয়। বলবন্ত অশোককে অপহরণ করে এবং প্রমাণগুলি কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা প্রকাশ করার জন্য তাকে নির্যাতন করে।

কোনওভাবে বলবন্তের অবৈধ কর্মের সহায়ক ব্যক্তিরা অজয়ের এই প্রমাণের বিষয়ে জানতে পারে এবং বলবন্ত তৎক্ষণাৎ অশোককে হত্যা করে। হত্যার দায় অজয়ের ওপর চাপানো হয় এবং বৌদির সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ করা হয়। আদালতে অজয় বুঝতে পারে এই ঘটনার শিকড় অনেক গভীরে, এমনকি তার নিকটাত্মীয়রাও তার বিরুদ্ধে চলে গেছে। আইনের প্রতি তার বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় এবং সে তার নিজের পথে ন্যায়বিচার খুঁজে নেবার চেষ্টা করে। তার বৌদি মানসিক আঘাত এবং প্রতিবেশীদের নিষ্ঠুর মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।

জেলে থাকার সময়, কিছু কঠিন অপরাধীর সাথে অজয়ের বন্ধুত্ব হয়, যারা মনের দিক থেকে ভাল ছিল। তারপর একদিন, তারা রক্ষীদের পর্যুদস্ত করে জেল থেকে পালিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় ন্যায়বিচারের জন্য অজয়ের লড়াই, বলবন্ত রাইকে সাজা দিতে। একের পর এক সে বলবন্তের দুষ্কর্মের সঙ্গীদের সাজা দিতে থাকে, যারা তাকে বিনা দোষে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছিল। চলচ্চিত্রটি কাব্যিক ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, যেখানে অজয় ​​জনগণ এবং পুলিশের সামনে একটি বিনোদন উদ্যানে বলবন্তকে হত্যা করে।

চরিত্র চিত্রণ সম্পাদনা

সাউন্ডট্র্যাক সম্পাদনা

এই ছবির সংগীতকার ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। "সোচনা ক্যায়া" গানটির একটি দুঃখজনক সংস্করণ হল "সাথ হ্যায় হাম সব ইসসে বড়ী কেয়া খুশি", এককভাবে এবং ধীরলয়ে গেয়েছিলেন কুমার শানু।

# শিরোনাম গায়ক
"প্যার তুম মুঝসে করতি হো" অমিত কুমার, এস জনকী
"মাহিয়া তেরে কসম" পঙ্কজ উদাস, লতা মঙ্গেশকর
"মাহিয়া তেরে কসম "(দুঃখজনক সংস্করণ) লতা মঙ্গেশকর
"পেয়াসি জাওয়ানি হ্যায়" এস জনকী
"সোচনা কেয়া" কুমার শানু, শাব্বির কুমার, আশা ভোঁসলে
6 "সোচনা কেয়া" (দুঃখজনক সংস্করণ) কুমার শানু

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Box Office 1990"Box Office India। ১২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৫ 
  2. National Film Archive of India [@NFAIOfficial] (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Director Shivamani made #Remake of Raj Kumar Santoshi's popular action drama #Ghayal (1990) in Kannada as #Vishwa (1999). Take a look at posters for both films." (টুইট) – টুইটার-এর মাধ্যমে। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:National Film Award Wholesome Entertainment

টেমপ্লেট:রাজকুমার সন্তোষী