ঘর্ঘরা নদী
ঘর্ঘরা (হিন্দি: घाघरा, প্রতিবর্ণীকৃত: ঘাঘরা), যা নেপালে কর্ণালী (নেপালি: कर्णाली), তিব্বতে মাপ্ছা ৎসাংপো ও অবধে সরযূ (হিন্দি: सरयू)নামেও পরিচিত,[১] একটি আন্তঃসীমান্ত নদী এবং এটি তিব্বত মালভূমিতে অবস্থিত মানস সরোবরের কাছে থেকে উৎপন্ন হয়ে নেপালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে ব্রহ্মঘাটে শরদা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। ঘর্ঘরা নদী গঙ্গা নদীর বাম তীরের প্রধান উপনদী। নেপালে এর নদীটির দৈর্ঘ্য ৫০৭ কিমি (৩১৫ মাইল) এবং এটি নেপালের দীর্ঘতম নদী। ঘর্ঘরা নদী বিহারের রেবেলগঞ্জে গঙ্গার সাথে মিলিত হয় এবং এর মোট দৈর্ঘ্য ১,০৮০ কিমি (৬৭০ মাইল)।[২] আয়তন অনুযায়ী ঘর্ঘরা গঙ্গার বৃহত্তম উপনদী এবং দৈর্ঘ্য অনুযায়ী যমুনা নদীর পর ঘর্ঘরা গঙ্গার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপনদী।
ঘর্ঘরা কর্ণালী | |
---|---|
স্থানীয় নাম | घाघरा {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
অবস্থান | |
দেশ | চীন (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল), নেপাল, ভারত (উত্তরপ্রদেশ, বিহার) |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | মাপাছাচুনগো হিমবাহ |
• অবস্থান | তিব্বত, চীন |
• উচ্চতা | ৩,৯৬২ মিটার (১২,৯৯৯ ফুট) |
মোহনা | গঙ্গা |
• অবস্থান | রেবেলগঞ্জ, বিহার, ভারত |
• স্থানাঙ্ক | ২৫°৪৫′১১″ উত্তর ৮৪°৩৯′৫৯″ পূর্ব / ২৫.৭৫৩০৬° উত্তর ৮৪.৬৬৬৩৯° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১,০৮০ কিলোমিটার (৬৭০ মাইল) |
অববাহিকার আকার | ১,২৭,৯৫০ বর্গকিলোমিটার (৪৯,৪০০ বর্গমাইল) |
নিষ্কাশন | |
• গড় | ২,৯৯০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (১,০৬,০০০ ঘনফুট/সেকেন্ড) |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | নেপাল |
• গড় | ১,৩৬৯ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (৪৮,৩০০ ঘনফুট/সেকেন্ড) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• বামে | ভেরী, সরু, কুওয়ানা, রাপ্তি, ছোটি গণ্ডক |
• ডানে | সেটি, দাওয়ার, সারদা, বুধী গঙ্গা |
পথ
সম্পাদনাএটি শুরু হয় সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৩,৯৬২ মিটার (১২,৯৯৯ ফুট) উচ্চতায় উঁচুতে তিব্বতের হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় ঢালগুলিতে ম্যাপচাচুঞ্জের হিমবাহ থেকে। নেপালের সবচেয়ে দূরবর্তী এবং কমপক্ষে অনুসন্ধানকৃত এলাকাগুলি কর্ণালি নদীর মতো দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। ২০২ কিলোমিটার (১২৬ মাইল) সেতি নদীটি পশ্চিমাঞ্চলের পশ্চিমে অংশে প্রবাহিত হয় এবং দুন্দ্রাস পাহাড়ের উত্তরে দত্তী জেলায় কর্ণালি নদীতে যোগ দেন। ২৬৪ কিলোমিটার (১৬৪ মাইল) দীর্ঘ আরেকটি উপনদী ভেরী ধবলগিরি হিমালয়ের পশ্চিম অংশে উত্থিত হয় এবং সুর্খেত জেলার কুইনেঘাটের কাছে কর্নলি নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়।
প্রশাসনিক বিভাগ
সম্পাদনানেপালে কর্ণালী প্রদেশ এই নদীর সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক বিভাগ এবং এর আয়তন ৫,০০০ বর্গমাইল (১৩,০০০ কিমি২)।[৩] এর জনঘনত্ব নেপালে সর্বনিম্ন এবং কর্ণালী নদীর তীরে কোনো বড় বসতি নেই।
ভারতে ঘর্ঘরা নদী উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যা, আজমগড়, আম্বেদকর নগর, গোন্ডা, গোরক্ষপুর, দেওরিয়া, বস্তি, বারাবাঁকি, বালিয়া, বাহরাইচ, লখিমপুর খেরি, সন্ত কবীর নগর ও সীতাপুর জেলা এবং বিহার রাজ্যের সিওয়ান জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
ভারতে ঘর্ঘরা নদী সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যা, আকবরপুর, গোন্ডা, গোরক্ষপুর, দেওরিয়া, বস্তি, বারাবাঁকি, বাহরাইচ, রাজেসুলতানপুর, সন্ত কবীর নগর, সিদ্ধার্থনগর ও সীতাপুর এবং বিহার রাজ্যের ছাপরা, সিওয়ান ও সোনপুর উল্লেখযোগ্য। অযোধ্যায় ঘর্ঘরা নদী "সরযূ" নামে পরিচিত।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Pathak, S. (২০১৬)। "Himalaya: Highest, Holy and Hijacked"। Raghubir Chand; Walter Leimgruber। Globalization and Marginalization in Mountain Regions। Perspectives on Geographical Marginality। 1। পৃষ্ঠা 89–110। আইএসবিএন 978-3-319-32648-1। ডিওআই:10.1007/978-3-319-32649-8_7।
- ↑ Jain, S.K.; Agarwal, P.K.; Singh, V.P. (২০০৭)। Hydrology and Water Resources of India। The Netherlands: Springer। আইএসবিএন 978-1-4020-5179-1।
- ↑ "The Karnali Zone of Nepal"। www.ancientworlds.net। ১ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।