গ্র্যান্ড হোটেল (কলকাতা)

গ্র্যান্ড হোটেল যেটি এখন ওবেরয় গ্র্যান্ড নামে পরিচিত, সেটি কলকাতার ধর্মতলায় জওহরলাল নেহেরু রোডের ওপর অবস্থিত, আগে যার নাম ছিল চৌরঙ্গী রোড। এটি ব্রিটিশ যুগের একটি মার্জিত ভবন এবং কলকাতায় একটি বিখ্যাত হেরিটেজ বিল্ডিং। এই হোটেলের মালিক হলেন ওবেরয় হোটেলস এন্ড রিসর্টস।

ওবেরয় গ্র্যান্ড
(ওবেরয় গ্র্যান্ড)
১৯৪০ এর গ্র্যান্ড হোটেল
মানচিত্র
প্রাক্তন নামগ্র্যান্ড হোটেল
সাধারণ তথ্য
অবস্থানমধ্য কলকাতা, জওহরলাল নেহেরু রোড
ঠিকানা১৫, জওহরলাল নেহেরু রোড
শহরকলকাতা
দেশভারত
নির্মাণকাজের আরম্ভঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে
স্বত্বাধিকারীওবেরয় হোটেলস এন্ড রিসোর্টস
পদক এবং পুরস্কার
  • ভারতের অন্যতম শীর্ষ হোটেল
  • এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী হোটেল
  • পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ হোটেল

ইতিহাস সম্পাদনা

হোটেল টি এখন যেই সাইট এ দাঁড়িয়ে আছে, সেটা উনিশ শতকের প্রথম দিকে একজন কর্নেল গ্র্যান্ড সাহেব এর ব্যক্তিগত বসবাস হিসাবে ১৩ নং চৌরঙ্গী রোড এ তৈরী করা হয়েছিল| ঘর টি পরে মিসেস অ্যানি মংক এর দ্বারা একটি বোর্ডিং বাড়িতে রূপান্তরিত হয় যিনি, পরে তার ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য ১৪, ১৫ এবং ১৭ নাম্বার কে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন| ১৬ নম্বর চৌরঙ্গী একটি থিয়েটার এর দখলে ছিল যার মালিক এবং পরিচালক ছিলেন এরাথুন স্টিফেন নামক এসফাহন থেকে আসা একজন আর্মেনিয়ান| ১৯১১ সালে যখন সেই থিয়েটার পুড়ে যায়, তখন এটা স্টিফেন কেনা এবং সময়ের সাথে, এই সাইট টাকে পুনর্নির্মাণ করে এখনকার আধুনিক হোটেল এর মত করে তোলে| একটি অসংযত নব্যধ্রুপদী ধরনে নির্মিত এই হোটেল টি শীঘ্রই কলকাতার ইংরেজ জনসংখ্যার মধ্যে একটি জনপ্রিয় স্পট হয়ে ওঠে| এটা পরিচিত ছিল, বিশেষ করে তার বার্ষিক নববর্ষের পার্টি জন্য, সাথে বরফ শ্যাম্পেন এবং দামী উপহার এর জন্য এবং নৃত্যশালায় বারোটা বাচ্চা শূকর মুক্তি করার জন্য| যিনি একটি বাচ্চা শূকর ধরবে, সেটা তার হয়ে যাবে|[১]

১৯৩০ সালে, স্টিফেন এর মৃত্যুর কিছু পরে, কলকাতার একটি টাইফয়েড মহামারী তে হোটেলে ছয় জনের মৃত্যু হয়| হোটেলে এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উপর সন্দেহ হয়েছিল এবং সেটি ১৯৩৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়| এই সম্পত্তি টি মোহন সিং ওবেরয় লিজ নেন যিনি ১৯৩৯ সালে হোটেল টি পুনরায় খোলেন এবং ১৯৪৩ সালে সরাসরি সম্পত্তি টা কিনে নেন|[১]

হোটেল টির প্রধান লিফট হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন আন্দাজ ৪০০০ সৈন্য এখানে থাকত এবং নিয়মিত পার্টি করত| হোটেলে মার্কিন নৌ বল এর মত ঘটনা তখনকার সময়ের দর্শক দের কথা মনে করিয়ে দেয়|

সুবিধা সম্পাদনা

ওবেরয় গ্র্যান্ড[২] হলো ব্যবসায়িক এবং অবসর ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সূক্ষ্ম হোটেল যেখানে মিটিং রুম, সাচিবিক এবং কুরিয়ার সার্ভিস, ফটোকপিয়ার, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ইমেল এবং নথি বাঁধাই এর মতন আধুনিক সুবিধার সঙ্গে সজ্জিত একটি ২৪ ঘণ্টা খোলা বিজনেস সেন্টার উপলব্ধ আছে| অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ২৪ ঘণ্টা প্রহরী সেবা, কেনাকাটা বিকল্প, 24 ঘণ্টা লন্ড্রির, মুদ্রা বিনিময়, খানসামা, ভ্রমণ ডেস্ক এবং ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা| দর্শনীয় নৃত্যশালা টি রিসেপশন এর জন্য আদর্শ এবং ৮০০ জন পর্যন্ত গেস্ট দের ব্যবস্থা করতে পারে| ডাইনিং অপশন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বুফে ব্রেকফাস্ট এবং লাঞ্চ আন্তর্জাতিক রান্নার জন্য লা টেরেস, থাইল্যান্ড এর খাঁটি স্বাদ এর জন্য বান থাই এবং ডিনার এর আগে বা পরে শিথিলকরণ এর জন্য চৌরঙ্গী বার| এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা ঘরের মধ্যে ডাইনিং ব্যবস্থা ও প্রদান করা হয়|[৩]

পুরস্কার সম্পাদনা

  • Top Hotels in India ... Zagat Survey, Top International Hotels, Resorts and Spas 2005
  • Best Business Hotel in Asia: Nominated ... International Business Asia and CNBC
  • Best Hotel in the Five Star Deluxe Category in Eastern India ... Department of Tourism, Government of West Bengal

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Denby, Elaine (এপ্রিল ২০০৪)। Grand Hotels: Reality and Illusion। Reaktion। পৃষ্ঠা 197–198। 
  2. "The Official site"। oberoihotels.com। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. "The Oberoi Grand Hotel Features"। cleartrip.com।