গ্রেসন শিলিংফোর্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

গ্রেসন ক্লিওফাস শিলিংফোর্ড (ইংরেজি: Grayson Shillingford; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪ - মৃত্যু: ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯) ডাবলাঙ্কের ম্যাকোচেরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ডোমিনিকীয় বংশোদ্ভূত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে ১৯৭০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]

গ্রেসন শিলিংফোর্ড
১৯৬৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে গ্রেসন শিলিংফোর্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্রেসন ক্লিওফাস শিলিংফোর্ড
জন্ম২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪
ম্যাকোচেরি, ডাবলাঙ্ক, ডোমিনিকা
মৃত্যু২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯
সলসবারি, ডোমিনিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কআইটি শিলিংফোর্ড (কাকাতো ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৪)
২৬ জুন ১৯৬৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৩ মার্চ ১৯৭২ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৮১
রানের সংখ্যা ৫৭ ৭৯১
ব্যাটিং গড় ৮.১৪ ১০.১৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৫ ৪২
বল করেছে ১,১৮১ ১১,৪৫৭
উইকেট ১৫ ২১৭
বোলিং গড় ৩৫.৭৯ ২৬.৫৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৬৩ ৬/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/০ ২২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুলাই ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন গ্রেসন শিলিংফোর্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত গ্রেসন শিলিংফোর্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রাণবন্তঃ ডানহাতি বোলার ছিলেন গ্রেসন শিলিংফোর্ড। বোলিংকালে অদ্ভুতভাবে বাঁকানো দৌড়ে অগ্রসর হতেন।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯৭১-৭২ মৌসুমে কম্বাইন্ড উইন্ডওয়ার্ড ও লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের সদস্যরূপে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৬/৪৯ লাভ করেন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।

১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে ১৯৭০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ঊষালগ্নে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস হলচার্লি গ্রিফিথের সাথে নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টা চালিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রেসন শিলিংফোর্ড। ২৬ জুন, ১৯৬৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ মার্চ, ১৯৭২ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

পূর্ববর্তী শীতকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার পর ১৯৬৯ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে নেয়া হয়। এ পর্যায়ে তিনি তিনটি খেলায় অংশ নিয়ে মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন। এ সফরের শুরুতে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিয়েছিলেন। তবে, মাংসপেশীতে টান পড়ায় এক মাস তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হতে হয়। অবশেষে লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলার সুযোগ পান। চার উইকেট লাভ করেন তিনি। ওভালের চূড়ান্ত টেস্টেও তাকে রাখা হয়। কিন্তু, উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করে। এ সফরে সব মিলিয়ে ১৮.৫৮ গড়ে ৩৬ উইকেট দখল করেন।

১৯৭০-৭১ মৌসুমে ভারত ও ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হন। এ সময়ে কিথ বয়েসবার্নার্ড জুলিয়েন দলে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেললে অবজ্ঞার পাত্রে পরিণত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের সদস্যরূপে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর, ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত কম্বাইন্ড আইল্যান্ডসে খেলেন।

২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে ডোমিনিকার সলসবারি এলাকায় গ্রেসন শিলিংফোর্ডের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. List of West Indies Test Cricketers
  2. "West Indies – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 
  3. "West Indies – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা