গ্ন্যোস-র্গ্যাল-বা-ল্হা-নাং-পা-সাংস-র্গ্যাস-রিন-ছেন

গ্ন্যোস-র্গ্যাল-বা-ল্হা-নাং-পা-সাংস-র্গ্যাস-রিন-ছেন (ওয়াইলি: gnyos rgyal ba lha nang pa sangs rgyas rin chen) (১১৬৪-১২২৪) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের ল্হা-পা (ওয়াইলি: lha pa) নামক একটি ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

গ্ন্যোস-র্গ্যাল-বা-ল্হা-নাং-পা-সাংস-র্গ্যাস-রিন-ছেন

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

গ্ন্যোস-র্গ্যাল-বা-ল্হা-নাং-পা-সাংস-র্গ্যাস-রিন-ছেন ১১৬৪ খ্রিষ্টাব্দে মধ্য তিব্বতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গ্ন্যোস-গ্রাগ্স-পা-দ্পাল (ওয়াইলি: gnyos grags pa dpal) মধ্য তিব্বতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ব্কা'-ব্র্গ্যুদ ধর্মসম্প্রদায়ের ত্শাল-পা-ব্কা'-ব্র্গ্যুদ (ওয়াইলি: tshal bka' brgyud) ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ঝাং-গ্যু-ব্রাগ-পা-ব্র্ত্সোন-'গ্রুস-গ্রাগ্স-পা (ওয়াইলি: zhang g.yu brag pa brtson 'grus grags pa) শৈশবে তাকে ভারতীয় মহাসিদ্ধ কাহ্ন পার পুনর্জন্ম রূপে চিহ্নিত করেন। ১১৯০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভিক্ষুর শপথ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি 'ব্রি-গুং ও কৈলাশ পর্বতের নিকট দীর্ঘকাল সাধনায় লিপ্ত থাকেন। কথিত আছে, ১২১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি র্দো-স্ঙ্গোন-র্দ্জোং (ওয়াইলি: rdo sngon rdzong) নামক ভূটানের প্রথম দুর্গ নির্মাণ করান। ১২১৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ল্হা-থেল-রিন-ছেন-গ্লিং (ওয়াইলি: lha thel rin chen gling) নামক একটি বৌদ্ধবিহার স্থাপন করেন। তিনি ল্হা-পা (ওয়াইলি: lha pa) নামক একটি ধর্মসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীকালে ভূটানে তাদের প্রভাব বিস্তার করে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Martin, Dan (2008-08)। "Nyo Gyelwa Lhanangpa Sanggye Rinchen"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ 2014-12-22  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

আরো পড়ুন সম্পাদনা

  • Aris, Michael. 1980. Bhutan: The Early History of a Himalayan Kingdom. Ghaziabad: Vikas Publishing House, pp. 168–72.
  • Roerich, George, trans. 1996. The Blue Annals. 2nd ed. Delhi: Motilal Banarsidas, pp. 373, 601-2, 608.