গৌড় গোবিন্দ

গৌড় গোবিন্দ ১৩০০ শতকের শ্রীহট্ট অঞ্চলের খণ্ড রাজ্য গৌড়ের শাসক। তার নাম গোবিন্দ; এর সাথে রাজ্যের নাম গৌর সংযুক্ত হয়ে তিনি 'গৌর গোবিন্দ' নামে অভিহিত হন। রাজা গৌর গোবিন্দ ছিলেন ধার্মিক হিন্দু। শ্রীহট্টের ইতিহাসে তিনি খ্যাত। শাহ জালাল সিলেট অভিযানে মুসলমান সৈন্যবাহিনীর গৌর জয় হলে রাজা গৌড় ছেড়ে যান এবং সিলেট মুসলমানদের শাসনাধীন হয়।

গৌড় গোবিন্দ
গৌড়ের রাজা
রাজত্ব	১২৬০-১৩০৩
পূর্বসূরি	রাজা গোবর্ধন
উত্তরসূরি	উজির সিকান্দার খান গাজী (সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ-এর অধীনস্থ)
প্রধানমন্ত্রী	মনোরঞ্জন রায়
প্রধান সেনাপতি	চক্রপাণি দত্ত
জন্ম	গোবিন্দ ফেঞ্চু ১৩-শ শতাব্দি ব্রহ্মাচল রাজ্য (দক্ষিণ সিলেট)
মৃত্যু	১৪-শ শতাব্দি কামরূপ রাজ্য
স্ত্রী	হীরাবতীনারায়ণ
বংশধর	নির্বাণ গোবিন্দ
উপাসনালয়ের নাম হট্টনাথ মন্দির
পিতা	শ্রীনন্দ জয়ানন্দ
মাতা	অন্নপূর্ণা জৈন্তিয়া
ধর্ম	হিন্দু

ঐতিহাসিক ঘটনা ও গৌড় গোবিন্দ

ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুসারে তুর্কিদের বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে শ্রীহট্টে মুসলমান জনবসতি গড়ে ওঠে ছিল । সিলেটের টুলটিকর মহল্লায় ও হবিগঞ্জের তরফে তত্কালে মুসলমানরা বসতি গড়েছিলেন। এ সময় শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যে গৌড়-গোবিন্দ রাজা ছিলেন। গৌড় রাজ্যের অধিবাসী বুরহান উদ্দীন নামক জনৈক মুসলমান নিজ ছেলের জন্মে উপলক্ষে গরু আকিকা করেন। এতে গৌড়ের হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দ রেগে যান। কারণ হিন্দু ধর্মে গোহত্যা পাপ। এর শাস্তি হিসেবে রাজা বুরহান উদ্দীনের নিষ্পাপ ছেলেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে ও বুরহান উদ্দীনের ডান হাত কেটে দেয়। এই ঘটনার ভিত্তিতে হজরত শাহ জালাল (রহ) এর সিলেট আগমন এবং রাজা গোবিন্দের পতন ঘটে।

পূর্বসূরী রাজা গোবর্ধন	গৌড়ের রাজা ১২৬০-১৩০৩	উত্তরসূরী সিকান্দার খান গাজী (সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ-এর অধীনস্থ)
পূর্বসূরী জয়দেব রায়	ব্রহ্মাচলের শাসক ১২৬০-১৩০৩	উত্তরসূরী সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ