গোবর্ধন আচার্য ছিলেন খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর একজন সংস্কৃত কবি ছিলেন যিনি বাংলায় বাস করতেন। তিনি ছিলেন লক্ষ্মণসেনের রাজসভার পঞ্চরত্নের একজন। অন্য চারজন কবি ছিলেন জয়দেব, শরণ, ধোয়ীউমাপতিধর[১]

জীবনী সম্পাদনা

গোবর্ধনের পিতা নীলাম্বর আচার্য ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত। গোবর্ধনের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম আর্যাশপ্তশতী। গাথাশপ্তশতী অনুসরণে এটি রচিত। আর্যাছন্দে রচিত এ গ্রন্থের নামকরণ অনুযায়ী এতে ৭০০ শ্লোক থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবে ৭৬৪টি আছে। শ্লোকগুলি শৃঙ্গাররসপ্রধান, পরস্পর নিরপেক্ষ এবং বর্ণানুক্রমে রচিত। কাব্যটি বিভিন্ন বিভাগ বা ব্রজ্যায় বিভক্ত। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের খন্ড খন্ড চিত্র নিয়ে শ্লোকগুলি রচিত। ধারণা করা হয় রাজা লক্ষণসেনই তাঁকে কাব্য রচনায় সহয়তা করেছিলেন। গোবর্ধনের রচনায় অলঙ্কারশাস্ত্রে নিষ্ঠা ও পরিহাস রসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এতে তৎকালীন গৌড়বঙ্গের রাজকীয় ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির আচরণ ও সমাজের অবস্থা চিত্রিত হয়েছে। দারিদ্রের জন্য মানুষের সামাজিক অধঃপতন, আবার তার মধ্য ভালবাসার চিত্রও এ কাব্যে আছে। হিন্দি কবি বিহারীলালের প্রসিদ্ধ কাবগ্রন্থ সৎসঈ গোবর্ধনের আর্যাশপ্তশতী অনুসরণে রচিত।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "অনুশীলন, অভিধান, বাংলা পাঠ্য-ভাষাংশ এবং সহায়ক বিশ্বকোষ কার্যক্রম"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১ 
  2. "গোবর্ধন আচার্য - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১