গোবরাতলা ইউনিয়ন
গোবরাতলা ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]
গোবরাতলা | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
২নং গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে গোবরাতলা ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৬′৩″ উত্তর ৮৮°১৬′১″ পূর্ব / ২৪.৬০০৮৩° উত্তর ৮৮.২৬৬৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাইতিহাস
সম্পাদনাউত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রসিদ্ধ জেলা তথা আম, কাঁসা, পিতল, লাক্ষা, নকশিকাঁথা ও গম্ভীরা গান খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার স্বনামধন্য জমিদারদের মধ্যে গোবরাতলা ইউনিয়ন এর সম্ভ্রান্ত মহিপুর গ্রামের জমিদার সাজ্জাদ আহম্মেদ মিঞা ছিলেন অন্যতম। তিনি বাংলা ১২৯২ সনে এবং ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে গোবরাতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আম্রকানন-বেষ্টিত অতি জনবহুল, আদর্শ ও শান্তিকামী ঐতিহ্যবাহী মহিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম হায়দার বক্স বিশ্বাস। তাঁর দাদার নাম শাহাশ বিশ্বাস। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম হাজেরা খাতুন। হাজেরা খাতুন মৃত্যুবরণ করলে তিনি আসমা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের শাসন শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে ভারতের ধুলিয়ান এলাকা থেকে সাজ্জাদ আহম্মেদ মিঞার পূর্বপুরুষেরা মহিপুর গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তাঁর দাদা শাহাশ বিশ্বাসের আমল থেকেই জোতজমা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাঁর বাবা হায়দার বক্স বিশ্বাস তৎকালীন সময়ে প্রখ্যাত জোতদার ছিলেন। হাজার হাজার বিঘা জমির মালিক হায়দার বক্স বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জাদ আহম্মেদ মিঞা পরে ৭টি মৌজার জমিদারি লাভ করেন। জমিদার হওয়া সত্তেও তিনি অন্য জমিদারদের মতো বিলাসী জীবন যাপন করা পছন্দ করেন নাই। তিনি অত্যন্ত আড়ম্বরহীন, সরল ও সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। অতিথিপরায়ণতা তাঁর গুণাবলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুসাফিরদের খাওয়ানোর প্রবণতা এত বেশি ছিল যে সেই সময়ের লোকদের কাছে ছিল সেটা দৃষ্টান্তমূলক গল্পের মতো। কথিত আছে, তিনি যখন গ্রাম থেকে অন্য কোনো স্থানে গমনের সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন গ্রামের লোকদের অবস্থার খোঁজখবর নিতেন। খাবার না থাকলে নিজের গোলা থেকে ধান বের করে দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের হুকুম দিতেন। আবার বাইরে থেকে গ্রামে ফিরে এলে লোকদের ডেকে তাদের অবস্থার কথা জানতেন। এসব গুণাবলির কারণে তিনি বৈষয়িক জীবনযাপনে উদাসীন ছিলেন। তাই তিনি জোতজমা বৃদ্ধি করতে পারেননি। বাড়িঘর, জমিজমা, টাকা- পয়সা সবকিছুই তাঁর বাবার আমলের। এমনকি বর্তমানে যে পুরানো বাড়ি আছে, যা মাদ্রাসাকে তাঁর পৌত্র জামিউল আলম মিঞা দান করেছন, সেটাও তাঁর বাবার আমলেই নির্মিত হয়েছিল।
তিনি ছিলেন ন্যায়বিচারক। বিচারকার্যে কখনো পক্ষপাতিত্ব করতেন না। তিনি তৎকালীন আইন ও ইসলামি শরিয়া অনুসারে বিচার কাজ সম্পন্ন করতেন। প্রজা পালন তাঁর গুণের অন্যতম আকর্ষণ। প্রজাদের ওপর তিনি অন্যায়ভাবে কর আরোপ করতেন না। উৎপাদিত ফসল ও তাদের অবস্থা বিবেচনা করে কর নির্ধারণ করতেন। কাচারি বাড়ির উচ্চপদস্থ বা নিম্নশ্রেণির কর্মচারী সবার প্রতি দয়াবান ছিলেন। কর্মচারী কিংবা দাস-দাসী কোনো অপরাধ করলে তিনি উদারতা প্রদর্শন করতেন এবং মাফ করে দিতেন। উল্লিখিত গুণাবলির কারণে তিনি প্রজাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। এভাবে জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই ১৯৩৭ সালের ৬ আগস্ট মাত্র ৫২ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন। ইন্তেকালের সময় ৫ ছেলে, ১ মেয়ে ও ছোট স্ত্রীকে রেখে যান। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর ছোট স্ত্রী আসমা খাতুন ও ছেলে-মেয়েরা মিলে ৬০ বিঘা জমি দান করে মহিপুর সাজ্জাদ আহম্মেদ মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০ বিঘা জমি দান করে জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে মহিপুর গ্রামে আরো ২- ৩টি মসজিদ, মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা ও কলেজ তাঁর রেখে যাওয়া জমির ওপর তাঁর ওয়ারিশগণ প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ পাক তাঁদের দান কবুল করুন। আমিন।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাআয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাজনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাবর্তমান চেয়ারম্যান-
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
০১ | ||
০২ | ||
০৩ | ||
০৪ | ||
০৫ | ||
০৬ | ||
০৭ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গোবরাতলা ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |