গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোকুলখালিতে অবস্থিত একটি বিদ্যালয়। ১৯৪৭ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষা উন্নয়নে সার্জেট পরিকল্পনা মোতাবেক এ বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষে দেশ বিভাগের পূর্বে বিদ্যালয়টি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। এ বিদ্যালয়টি যখন স্থাপিত হয় তখন আশেপাশে অন্য স্কুল ছিল না, তাই বহুদুর দুরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এখানে শিক্ষাগ্রহন করত।[১]

গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
অবস্থান


তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৪৭
ভাষাবাংলা

অবস্থান সম্পাদনা

চুয়াডাঙ্গা হতে ৫ মাইল পশ্চিমে গোকুলখালি বাজারের সন্নিকট চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ধারে এই বিদ্যালয়ের অবস্থান। গোকলদত্ত নামে এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন এখানে। তার নামানুসারে স্থানের নাম হয় গোকুলখালি। যা তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে নদীয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহাকুমার অন্তর্গত ছিল।

প্রতিষ্ঠাকালীন পেক্ষাপট সম্পাদনা

অনগ্রসর সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবার জন্য শিক্ষা উন্নয়নে সার্জেট পরিকল্পনা মোতাবেক গোকুলখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। প্রথমে গোকুলখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে এ স্কুল স্থাপন করা হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরে অন্য জমিতে স্থানান্তর করা হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে অনগ্রসর সাধারণ মানুষের মাঝে শিক্ষা-সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের চতুর্থ দশকে গোকুলখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কোন প্রতিষ্ঠান একদিনে গড়ে উঠে না। এর পিছনে থাকে বহুলোকের শ্রম। প্রয়োজন হয় উদ্যোগী মহৎ প্রাণ ব্যক্তির। যে সমস্ত প্রথিতযশা শিক্ষানুরাগি ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় এ বিদ্যালয় গড়ে উঠে তাদের অন্যতম হলেন ইজ্জত আলি, শাহ মোহাম্মদ, ফতে আলি বিশ্বাস, সৈয়দ আলি বিশ্বাস প্রমুখ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পূর্বে বিদ্যালয়টি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায় এবং ছাত্রছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন পঞ্চানন বিশ্বাস।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান সম্পাদনা

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয় এবং এখানে অস্থায়ী মিলিটারি ক্যাম্প স্থাপন করে। এতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কমিটির সভাপতি এবং ছাত্র সহ অনেকে শহীদ হয়েছেন।"[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গোকুলখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০১ 
  2. ডেস্ক, প্রথম আলো। "নজরুল ইসলাম, বীর প্রতীক"চিরন্তন ১৯৭১ | প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০২