গুলিস্তান আন্ডারপাস

বাংলাদেশের একটি আন্ডারপাস

গুলিস্তান আন্ডারপাস হল বাংলাদেশের ঢাকার গুলিস্তানে চার রাস্তার মোড়ে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত একটি পথচারী আন্ডারপাস। চারদিক বিশিষ্ট এই আন্ডারপাসটি ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করা হয়। চারটি সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট ৮টি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ এই আন্ডারপাসে রয়েছে।[১][২] সুরসপ্তক আন্ডারপাস নির্মাণের পূর্বে এটি ছিল বাংলাদেশের বৃহত্তম আন্ডারপাস।

এই আন্ডারপাসটি পাতাল মার্কেট নামেও পরিচিত। বর্তমানে আন্ডারপাসটি মার্কেটে পরিনত হয়েছে। ১০৪টি দোকান বিশিষ্ট এই মার্কেটে মোবাইল ফোন বেচাকেনা এবং সারাই করা হয়। আন্ডারপাসে মার্কেট বসানোর ফলে তাই জনসাধারণ আন্ডারপাসটি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত বোধ করেন।[২] এই আন্ডারপাস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও সেই ব্যবস্থা অকেজো। আন্ডারপাসের ভেতরের বাজারের কারণে আন্ডারপাসের পথটি সংকুচিত হয়ে গেছে। আন্ডারপাসের মার্কেটটি রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।[৩] এরপর আন্ডারপাস বন্ধ করে দেওয়ার কারণে রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হয় পথচারীদের।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. পারভীন, শাহনাজ (৫ মে ২০০৮)। "Purpose of an underpass undermined"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. ভূঁইয়া, আরমান (২২ জুলাই ২০১৯)। "গুলিস্তান আন্ডারপাস: ব্যবহার করতে চান না পথচারীরা"যুগান্তর 
  3. জামাল, হোসেইন (২০ এপ্রিল ২০১৫)। "রাস্তা পারাপারে মৃত্যুঝুঁকি"কালের কণ্ঠ 
  4. আলম, মাহাবুব (১৫ নভেম্বর ২০১৮)। "Two city underpasses remain closed at night"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)।