গুঠিয়ার সন্দেশ হলো বাংলাদেশের বরিশালের গুঠিয়া নামক স্থানে উৎপন্ন বিশেষ এক ধরনের সন্দেশ[২][৩] এ সন্দেশের একটি বিশেষত্ব হলো এতে গরুর দুধের টাটকা ঘ্রাণ পাওয়া যায়।[৪]

গুঠিয়ার সন্দেশ
ধরননাস্তা
প্রকারমিষ্টান্ন
উৎপত্তিস্থলগুঠিয়া, বরিশাল, বাংলাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যবরিশাল
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলীবাংলাদেশ
প্রস্তুতকারীসতীশ চন্দ্র দাস[১]
প্রধান উপকরণছানা, চিনি

ইতিহাস সম্পাদনা

গুঠিয়ার সন্দেশ ১৯৬২ সালে প্রথম প্রস্তুত করেন সতীশ চন্দ্র দাশ নামক একজন ময়রা।[১] তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা হতে সন্দেশ প্রস্তুতের কৌশল শিখে আসেন। পরে দেশে ফিরে তিনি সেই কৌশলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এই সন্দেশ প্রস্তুত করেন যা স্বাদে ও গুণে ভালো হওয়ায় অল্প সময়েই খ্যাতি অর্জন করে। গুঠিয়া নামক স্থানে উৎপত্তি বলে এটি গুঠিয়ার সন্দেশ নামেই পরিচিত হয়ে উঠে।[২][৫]

উপকরণ সম্পাদনা

[৫]

প্রস্তুতপ্রণালী সম্পাদনা

গুঠিয়ার সন্দেশ তৈরিতে প্রধানত গরুর দুধই ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ৬-৭ কেজি দুধে ১ কেজি ছানা তৈরি করা হয়। এরপর ছানার সঙ্গে ১ কেজি চিনি মিশিয়ে অল্প জ্বাল দিতে হয়। তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর পাকিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট রাখলেই সন্দেশের কাঁচামাল তৈরি হয়ে যায়। এরপর এই ছানার মিশ্রণ পরিমাণমতো নিয়ে কাঠের ওপরে রেখে সন্দেশের আকার দেওয়া হয়।[২][৩] সৌন্দর্যের জন্য সন্দেশের উপর কিসমিস দেয়া হয়।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বরিশালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর গুঠিয়ার সন্দেশ"। প্রতিক্ষণ ডট কম। ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  2. "গুঠিয়ার সন্দেশ এখনো অনন্য"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  3. "Famous Sweets of Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। The world book। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৯ 
  4. "গুঠিয়ার সন্দেশ : বরিশালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর"। ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাব। ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৮ 
  5. "বরিশালের ব্রান্ড-আইটেম হিসেবে পরিণত হয়েছে গুঠিয়ার সন্দেশ"। দৈনিক আল ইহসান। ২০২০-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৯