গিমা

উদ্ভিদের প্রজাতি

গিমা শাক বা ডেমি শাক বা ঢিমা শাক বা গিমে শাক বা ডিমে শাক বা জিমা (বৈজ্ঞানিক নাম: Glinus oppositifolius)[১] Molluginaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি।[২] এটির ইংরেজি নামগুলো হচ্ছে Gima, Jima, Dime shak, Bitter Cumin, Maita, Maitakaduri shak, Indian Chickweed, Kangkong ইত্যাদি।

গিমা
Glinus oppositifolius
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Tracheophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Caryophyllales
পরিবার: Molluginaceae
গণ: Glinus
প্রজাতি: Glinus oppositifolius
দ্বিপদী নাম
Glinus oppositifolius
(L.) Aug.DC.
প্রতিশব্দ

Pharnaceum spergula (L.) Dillwyn
Mollugo spergula L.
Glinus spergula var. rotundifolia (Ewart & A.H.K.Petrie) Ewart & P.H.Jarrett
Glinus oppositifolius var. parviflorus Hauman
Glinus mollugo Fenzl
Glinus cambessedesii var. villosus Fenzl
Glinus cambessedesii var. nudiusculus Fenzl
Glinus cambessedesii Fenzl

গিমে শাকের ফুল

Glinus oppositifolius

বিবরণ সম্পাদনা

গিমা শাক আগাছার মতো জন্মায়। গিমা লতানো বিশিষ্ট শাক। চিকন ডাল বিশিষ্ট এই শাক ঝোপালো হয় ও মাটিতে চাপাভাবে লেগে থাকে। ছোট ছোট সবুজ পাতা হয়। এদের ফুল সাদা বর্ণের।

খাদ্য পদ্ধতি সম্পাদনা

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাধারণত লোকেরা গিমা শাক রান্না করে খায়। এর শুধু পাতা খাওয়া হয়ে থাকে যা তিতা স্বাদের। তবে  ওষুধ তৈরির কাজে এর কাণ্ড, পাতা, ফুল সবই লাগে। আফ্রিকায় গিমা শাক সালাদ এবং জুস হিসেবেও খায়

ঔষধি ব্যবহার সম্পাদনা

এটি অজীর্ণ, জন্ডিস, জ্বর, পিত্ত, কফে উপকারী। তিতা বলে মুখের অরুচি চলে যায়। বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হলেও অতীতে স্থানীয় লোকজন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেষজ গুণসম্পন্ন গিমা শাক ব্যবহার করতো। এই জংলী শাকটি ডায়াবেটিকে উপকারী। হারবাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূলত রিউমেটিকের ব্যাথা ও সোরিয়াসিস হারবাল ওষুধ তৈরির কাজে এর কাণ্ড, পাতা, ফুল সবই কাজে লাগে। কোস্টকাঠিন্য, পাকস্থলি ও অন্ত্রের সমস্যা, রক্তপ্রবাহে সমস্যা, অ্যাজমা, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ, ভিটামিন সি এর অভাব জনিত স্কিন ডিজিজ যেমন স্কার্ভি, চুলকানি, মাংসপেশি ও হাড়ের ব্যথার জন্য গিমা শাক খুবই উপকারী। গিমা শাক খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমে। এছাড়া গিমা শাক ওজন কমাতেও খুবই কার্যকরী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গিমা শাক দারুণ উপকারী। অনেক সময় চোখ উঠলে বা চোখ ব্যথা করলে গিমে পাতা দিয়ে সেক দেয়া হয়। আবার গিমা পাতার রস এবং আধা কাপ আমলকী ভেজানো পানি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।

উপকারিতা সম্পাদনা

প্রতি ১০০ গ্রাম গিমা শাকে রয়েছে :

ক্যালোরি------ ২২ কিলোক্যালোরি,
ফ্যাট ----------০.৬২ গ্রাম,
শর্করা--------- ১.৬ গ্রাম,
খাদ্য আঁশ---------- 8 গ্রাম,
প্রোটিন -----------২.২৯ গ্রাম,
ভিটামিন----------- সি ৭.০৩ মিলিগ্রাম,
ক্যারোটিনয়েডস -----------৭৯৬ মাইক্রোগ্রাম।

এছাড়াও এতে ভিটামিন বি১, বি২, ই ও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাংগানিজ রয়েছে।

সাবধানতা সম্পাদনা

বেশি পরিমাণে খেলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। গর্ভবতী বা প্রসূতি অবস্থায় না খাওয়াই ভালো।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Aug.DC., 1901 In: Bulletin de l'Herbier Boissier ser. 2, 1,
  2. Roskov Y., Kunze T., Orrell T., Abucay L., Paglinawan L., Culham A., Bailly N., Kirk P., Bourgoin T., Baillargeon G., Decock W., De Wever A., Didžiulis V. (ed) (২০১৪)। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2014 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৪